এমপি আজিমকে হত্যা করতে ট্র্যাপ হিসেবে ব্যবহার করা হয় লাস্যময়ী শিলাস্তি রহমানকে

  • আপডেট: ০৩:৩৯:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪
  • ৭৭

ছবি-নতুনেরকথা।

এক সময়ের ইন্টারপোলের মোস্টওয়ান্টেড আসামী, স্বর্ণ চোরাচালন, মাদকব্যবসায় জড়িত ছিলেন এমপি আজিম। তার সেই সময়ের ব্যবসায়ীক পার্টনার ছিলেন আমেরিকা প্রবাসি বাল্যবন্ধু আক্তারুজ্জামান শাহীন। তার সেই বাল্যবন্ধুর হাতে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় পরিকল্পিত ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। তাকে কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জিভা গার্ডেনের বিইউ ব্লকের ৫৬ নম্বর ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ টুকরো টুকরো করে ট্রলিব্যাগে ভরে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ফেলে দেয় হত্যাকারীরা।

বুধবার এ ঘটনায় এমপি আনারের মেয়ে ডরিন বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করেছেন। একই সঙ্গে কলকাতায়ও একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।

তদন্তসংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের সূত্র ধরে এমপি আনারকে হত্যার পরিকল্পনা করে তারই বাল্যবন্ধু আক্তারুজ্জামান শাহীন। আনারকে বাগে আনতে ট্র্যাপ হিসেবে ব্যবহার করা হয় শাহীনের বান্ধবী লাস্যময়ী নারী শিলাস্তি রহমানকে।

এরই মধ্যে শিলাস্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিবি সূত্র বলছে, শিলাস্তি রহমান এমপি আনার খুনের মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের বান্ধবী।

এদিকে এমপি আজিম হত্যার অন্যতম সন্দেহভাজন সিয়ামকে কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

কলকাতার একটি সূত্র জানায়, যে ফ্ল্যাটে এমপি আনারকে খুন করা হয়েছে, ১৩ মে সেখানে দুজন পুরুষ ও একজন নারী প্রবেশ করেন। একদিন অবস্থানের পর ফ্ল্যাট থেকে বের হয়ে আসেন এক পুরুষ ও এক নারী। ধারণা করা হচ্ছে, ওই নারীই শিলাস্তি রহমান। ১৩ মে তিনি আমানুল্লাহ ও এমপি আনারের সঙ্গে ফ্ল্যাটে ঢুকে থাকতে পারেন।

ঢাকার ডিবি সূত্রও বলছে, তাদের ধারণা ওই নারীই শিলাস্তি রহমান। কারণ তিনি ১৫ মে বিমানে দেশে ফেরেন। তার সঙ্গে দেশে ফেরেন মূল কিলার আমানুল্লাহ।

ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীন এমপি আনারকে কলকাতা নিতে এই তরুণীকেই ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন। কারণ সব পরিকল্পনা করে শাহীন ১০ মে দেশে ফিরে এলেও শিলাস্তি থেকে যান কলকাতায়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের সময় শিলাস্তি তিনতলা ফ্ল্যাটের একটি তলায় অবস্থান করছিলেন। তবে সামনে ছিলেন না। হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর তিনি নিচে নেমে আসেন। এরপর লাশ গুমে সহায়তা করেন। আমানুল্লাহ ও শিলাস্তি মিলেই এমপি আনারের টুকরো করা লাশ একটি ট্রলি নিয়ে প্রথমে বের হয়েছিলেন বলে তথ্য রয়েছে।’

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

‘ম্যানেজ করে’ এক সাথে দুই স্বামীর সংসার করছিলেন জান্নাতুল!

এমপি আজিমকে হত্যা করতে ট্র্যাপ হিসেবে ব্যবহার করা হয় লাস্যময়ী শিলাস্তি রহমানকে

আপডেট: ০৩:৩৯:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪

এক সময়ের ইন্টারপোলের মোস্টওয়ান্টেড আসামী, স্বর্ণ চোরাচালন, মাদকব্যবসায় জড়িত ছিলেন এমপি আজিম। তার সেই সময়ের ব্যবসায়ীক পার্টনার ছিলেন আমেরিকা প্রবাসি বাল্যবন্ধু আক্তারুজ্জামান শাহীন। তার সেই বাল্যবন্ধুর হাতে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় পরিকল্পিত ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। তাকে কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জিভা গার্ডেনের বিইউ ব্লকের ৫৬ নম্বর ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ টুকরো টুকরো করে ট্রলিব্যাগে ভরে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ফেলে দেয় হত্যাকারীরা।

বুধবার এ ঘটনায় এমপি আনারের মেয়ে ডরিন বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করেছেন। একই সঙ্গে কলকাতায়ও একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।

তদন্তসংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের সূত্র ধরে এমপি আনারকে হত্যার পরিকল্পনা করে তারই বাল্যবন্ধু আক্তারুজ্জামান শাহীন। আনারকে বাগে আনতে ট্র্যাপ হিসেবে ব্যবহার করা হয় শাহীনের বান্ধবী লাস্যময়ী নারী শিলাস্তি রহমানকে।

এরই মধ্যে শিলাস্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিবি সূত্র বলছে, শিলাস্তি রহমান এমপি আনার খুনের মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের বান্ধবী।

এদিকে এমপি আজিম হত্যার অন্যতম সন্দেহভাজন সিয়ামকে কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

কলকাতার একটি সূত্র জানায়, যে ফ্ল্যাটে এমপি আনারকে খুন করা হয়েছে, ১৩ মে সেখানে দুজন পুরুষ ও একজন নারী প্রবেশ করেন। একদিন অবস্থানের পর ফ্ল্যাট থেকে বের হয়ে আসেন এক পুরুষ ও এক নারী। ধারণা করা হচ্ছে, ওই নারীই শিলাস্তি রহমান। ১৩ মে তিনি আমানুল্লাহ ও এমপি আনারের সঙ্গে ফ্ল্যাটে ঢুকে থাকতে পারেন।

ঢাকার ডিবি সূত্রও বলছে, তাদের ধারণা ওই নারীই শিলাস্তি রহমান। কারণ তিনি ১৫ মে বিমানে দেশে ফেরেন। তার সঙ্গে দেশে ফেরেন মূল কিলার আমানুল্লাহ।

ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীন এমপি আনারকে কলকাতা নিতে এই তরুণীকেই ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন। কারণ সব পরিকল্পনা করে শাহীন ১০ মে দেশে ফিরে এলেও শিলাস্তি থেকে যান কলকাতায়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের সময় শিলাস্তি তিনতলা ফ্ল্যাটের একটি তলায় অবস্থান করছিলেন। তবে সামনে ছিলেন না। হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর তিনি নিচে নেমে আসেন। এরপর লাশ গুমে সহায়তা করেন। আমানুল্লাহ ও শিলাস্তি মিলেই এমপি আনারের টুকরো করা লাশ একটি ট্রলি নিয়ে প্রথমে বের হয়েছিলেন বলে তথ্য রয়েছে।’