ঢাকা ১১:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বালিশকান্ডের দূর্ণীতিবাজদের বিরুদ্ধে এ্যাকশান দেখতে চান হাইকোর্ট

  • আপডেট: ০৪:১৯:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জুলাই ২০১৯
  • ১৩৪

অনলাইন ডেস্ক:

পাবনার রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার জন্য বিছানা, বালিশ ও আসবাবপত্র কেনায় দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, তা দেখতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে সরকারকে আগামী ২০ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দিয়েছেন আদালত। এ সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

রোববার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে বালিশকাণ্ডের ঘটনায় গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

হাজার পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদন বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার জন্য বিছানা, বালিশ ও আসবাবপত্র অস্বাভাবিক মূল্যে ক্রয় দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

হিসাবে মালামালের প্রকৃত মূল্যের চেয়ে ৩৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা বেশি দেখানো হয়েছে। এ টাকা সরকারের কোষাগারে ফিরিয়ে নেয়ার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।

গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪টি ভবনে আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম সরবরাহ কাজের চুক্তি মূল্য ১১৩ কোটি ৬২ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। অথচ মালামাল সরবরাহ করা হয়েছে ৭৭ কোটি ২২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ চুক্তি মূল্য সরবরাহ করা মালামালের প্রকৃত মৃল্যের চেয়ে ৩৬ কোটি ৪০ লাখ ৯ হাজার টাকা বেশি।

এই বাড়তি পরিশোধিত অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরত আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে বালিশকাণ্ডের মূলহোতা প্রকৌশলী মাসুদ আলমসহ প্রায় ৫০ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও সুপারিশ করা হয়েছে।

গত ১৯ মে পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প এলাকায় কর্মকর্তা কর্মচারীদের থাকার জন্য গ্রীনসিটি আবাসন পল্লীর বিছানা, বালিশ, আসবাবপত্র অস্বাভাবিক মূল্যে কেনা ও তা ভবনে তোলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন জনস্বার্থে এই রিট আবেদনটি করেন। রিট শুনানির এক পর্যায়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন এবং একই সঙ্গে এ ঘটনায় গঠিত গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেন।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

সর্বাধিক পঠিত

মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ছাড়া আইসক্রিম-দধি তৈরী, ব্যবসায়ীকে জরিমানা

বালিশকান্ডের দূর্ণীতিবাজদের বিরুদ্ধে এ্যাকশান দেখতে চান হাইকোর্ট

আপডেট: ০৪:১৯:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জুলাই ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

পাবনার রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার জন্য বিছানা, বালিশ ও আসবাবপত্র কেনায় দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, তা দেখতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে সরকারকে আগামী ২০ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দিয়েছেন আদালত। এ সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

রোববার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে বালিশকাণ্ডের ঘটনায় গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

হাজার পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদন বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার জন্য বিছানা, বালিশ ও আসবাবপত্র অস্বাভাবিক মূল্যে ক্রয় দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

হিসাবে মালামালের প্রকৃত মূল্যের চেয়ে ৩৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা বেশি দেখানো হয়েছে। এ টাকা সরকারের কোষাগারে ফিরিয়ে নেয়ার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।

গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪টি ভবনে আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম সরবরাহ কাজের চুক্তি মূল্য ১১৩ কোটি ৬২ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। অথচ মালামাল সরবরাহ করা হয়েছে ৭৭ কোটি ২২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ চুক্তি মূল্য সরবরাহ করা মালামালের প্রকৃত মৃল্যের চেয়ে ৩৬ কোটি ৪০ লাখ ৯ হাজার টাকা বেশি।

এই বাড়তি পরিশোধিত অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরত আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে বালিশকাণ্ডের মূলহোতা প্রকৌশলী মাসুদ আলমসহ প্রায় ৫০ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও সুপারিশ করা হয়েছে।

গত ১৯ মে পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প এলাকায় কর্মকর্তা কর্মচারীদের থাকার জন্য গ্রীনসিটি আবাসন পল্লীর বিছানা, বালিশ, আসবাবপত্র অস্বাভাবিক মূল্যে কেনা ও তা ভবনে তোলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন জনস্বার্থে এই রিট আবেদনটি করেন। রিট শুনানির এক পর্যায়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন এবং একই সঙ্গে এ ঘটনায় গঠিত গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেন।