নতুন আইন জারি ব্রিটেনে, কুমারীত্ব ফেরানোর অস্ত্রোপচার অপরাধ

  • আপডেট: ০৯:০৮:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২২
  • ৩২

ছবি-সংগৃহিত।

২০২২ সালে দাঁড়িয়েও কুমারীত্ব নিয়ে সমাজের মনোভাব বদলায়নি। কুমারীত্ব নষ্ট হয়েছে মানেই সে নারী বিবাহযোগ্য নয়, এমন এক ভ্রান্ত ধারণা গ্রাস করে আছে সমাজের একাংশকে। এর জন্য কেউ কেউ বিয়ের আগে অস্ত্রোপচার করে কুমারীত্ব ফিরিয়ে আনেন।

অর্থাৎ সতীচ্ছদের পর্দা ফের আগের অবস্থায় নিয়ে যাওয়া। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যার পোশাকি নাম ‘হাইমেনোপ্লাস্টি’। এবার এই অস্ত্রোপচারই অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে চলেছে ব্রিটেনে।

সম্প্রতি ব্রিটেনের একটি স্বাস্থ্য বিলের সংশোধনীতে বলা হয়েছে, নারীর ইচ্ছা বা অনিচ্ছা যাই হোক, হাইমেনোপ্লাস্টি বেআইনি বলে গণ্য হবে। গত বছর জুলাইতেই এই আইন আনার অঙ্গীকার করে ব্রিটেন সরকার। সে সময় থেকেই চিকিৎসক, নার্স এবং এ নিয়ে প্রতিবাদীরা এই অস্ত্রোপচারকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি জানায়। এই নতুন আইন সেই সকল নারীদের সাহায্য করবে যাদের পরিবার দিনের পর দিন হাইমেনোপ্লাস্টি করার জন্য চাপ দিতে থাকে।

রয়্যাল কলেজ অফ অবস্টেট্রিসিয়ান অ্যান্ড গাইনোকলজির প্রেসিডেন্ট ড. এডওয়ার্ড মরিস বলছেন, চিকিৎসা শাস্ত্রের নীতিতে হাইমেনোপ্লাস্টি কোনওভাবেই ন্যায়সঙ্গত নয়। কুমারীত্ব পরীক্ষা এবং তথাকথিত কুমারীত্ব ফেরানোর এই শল্য চিকিৎসার বিরুদ্ধে অনেকদিন ধরেই প্রচার চালাচ্ছেন তিনি।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

‘ম্যানেজ করে’ এক সাথে দুই স্বামীর সংসার করছিলেন জান্নাতুল!

নতুন আইন জারি ব্রিটেনে, কুমারীত্ব ফেরানোর অস্ত্রোপচার অপরাধ

আপডেট: ০৯:০৮:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২২

২০২২ সালে দাঁড়িয়েও কুমারীত্ব নিয়ে সমাজের মনোভাব বদলায়নি। কুমারীত্ব নষ্ট হয়েছে মানেই সে নারী বিবাহযোগ্য নয়, এমন এক ভ্রান্ত ধারণা গ্রাস করে আছে সমাজের একাংশকে। এর জন্য কেউ কেউ বিয়ের আগে অস্ত্রোপচার করে কুমারীত্ব ফিরিয়ে আনেন।

অর্থাৎ সতীচ্ছদের পর্দা ফের আগের অবস্থায় নিয়ে যাওয়া। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যার পোশাকি নাম ‘হাইমেনোপ্লাস্টি’। এবার এই অস্ত্রোপচারই অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে চলেছে ব্রিটেনে।

সম্প্রতি ব্রিটেনের একটি স্বাস্থ্য বিলের সংশোধনীতে বলা হয়েছে, নারীর ইচ্ছা বা অনিচ্ছা যাই হোক, হাইমেনোপ্লাস্টি বেআইনি বলে গণ্য হবে। গত বছর জুলাইতেই এই আইন আনার অঙ্গীকার করে ব্রিটেন সরকার। সে সময় থেকেই চিকিৎসক, নার্স এবং এ নিয়ে প্রতিবাদীরা এই অস্ত্রোপচারকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি জানায়। এই নতুন আইন সেই সকল নারীদের সাহায্য করবে যাদের পরিবার দিনের পর দিন হাইমেনোপ্লাস্টি করার জন্য চাপ দিতে থাকে।

রয়্যাল কলেজ অফ অবস্টেট্রিসিয়ান অ্যান্ড গাইনোকলজির প্রেসিডেন্ট ড. এডওয়ার্ড মরিস বলছেন, চিকিৎসা শাস্ত্রের নীতিতে হাইমেনোপ্লাস্টি কোনওভাবেই ন্যায়সঙ্গত নয়। কুমারীত্ব পরীক্ষা এবং তথাকথিত কুমারীত্ব ফেরানোর এই শল্য চিকিৎসার বিরুদ্ধে অনেকদিন ধরেই প্রচার চালাচ্ছেন তিনি।