রোকনুজ্জামান রোকন:
মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাদী উত্তর ইউনিয়নের মধ্য ডিংগা ভাঙ্গা গ্রামের মদিনা জামে মসজিদে আমিন জোরে বলাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে মুসুল্লী রাব্বি ওরপে সাকিল (১৭), ফাতেমা (২৩) ও শাহাদাত (৩৫) আহত হয়। আহতরা মতলব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গতকাল ২৯ মে জুমআৎর নামাজের পূর্বে ঘটনাটি ঘটে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদশীরা জানান, নামাজের পূর্বে মসজিদের ক্যাশিয়ার রুহুল আমিন বকাউল ইমামের সাথে আমিন জোড়ে বলতে পারবেনা বলে ইমামকে সতর্ক করে দেন। এ বিষয়টি নিয়ে মুসুল্লীদের মাঝে তর্ক বিতর্ক শুরু হয়। ইমামের পক্ষ নিয়ে মোঃ শাহাদাত হোসেন বলে, নামাজ শেষ হলে এই বিষয় নিয়ে দলিল দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে। একথা বলায় রুহুল আমিনের লোকজন উত্তেজিত হয় শাহাদাতকে গালমন্দ ও মারধর করে। পরে শাহাদাত দৌড়ে বাড়িতে গেলে উত্তেজিত রুহুল আমিন ও তার লোকজন তার বোন ফাতেমাকে, চাচা শাকিলকেও মারধর করে।
নাম প্রকাশে অনিছুক মুসুল্লি বলেন, কথায় কথায় রুহুল আমিন বকাউল বাড়ীর লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে আসে মারামারি করতে। হুজুরকেও গালমন্দ করে।
মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি নামাজ পড়তে মসজিদে গেলে এক পর্যায়ে রুহুল আমিন ও ইমাম আমিন জোড়ে বলাকে নিয়ে তর্ক করছে। আমি শুধু বলেছি নামাজের শেষে এই বিষয় নিয়ে দলিল দেখে সিধান্ত নিয়েন। এ কথা বলায় রুস্তম বকাউলের ছেলে জাহাঙ্গীর বকাউল ও কামরুল বকাউল, লোকমান বকাউলের ছেলে কাঊসার ও আলম বকাঊল, কায়ুঊম বকাঊলের ছেলে রাকিব, নূর বকাউলের ছেলে মনির আমাকে মারধর করে। পরে আমি বাড়ীতে গেলেও আমার ভাতিজা ও বোনকে মারধর করে।
রুহুল আমিন বকাউল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার সাথে ইমামের এ বিষয়ে কথা হচ্ছিল। ওর (শাহাদাত) মাঝখানে কথা বলার কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে।
ওসি স্বপন কুমার আইচ বলেন, বিষয়টি আমি এখনো জানিনা। জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।