আর্সেনিকমুক্ত কল বিতরনে ব্যাপক অনিয়ম। সোহাগ মেম্বারের দাম্ভিকতা

  • আপডেট: ০৩:০৬:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০১৯
  • ২৭

শাহরাস্তি প্রতিনিধি:

চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে নিরাপদ পানি ব্যবস্থায় আর্সেনিকমুক্ত কল বিতরনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানিয় ইউপি সদস্য সোহাগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সরকারী কাজের অর্থ আত্মসাতের বহু অভিযোগ নিয়ে এলাকায় চলছে নানান গুঞ্জন। ঘটনাটি উপজেলার চিতোষী পূর্ব ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামে ঘটে। জানা যায়, ওই গ্রামের স্থানিয় মেম্বার সোহাগ (২৮) চলতি অর্থ বছরে সরকারী ২টি আর্সেনিকমুক্ত কল ইউনিয়ন পরিষদ থেকে গ্রহন করেন। ওই কল দুটি তিনি সর্বসাধারণকে বঞ্চিত করে ব্যক্তি মালিকানা জায়গায় কূপিত করেছেন। ওই গ্রামের পশ্চিম পাড়া বেপারী বাড়ির মৃত জুনাব আলীর পুত্র আবদুল মান্নান ও একই গ্রামের পূর্ব পাড়া কাজী বাড়ির মৃত- দুদু মিয়ার পুত্র আবুল কাশেমের বাড়িতে কল দুটি কূপিত হয়েছে। যা নিয়ে এলাকায় অসুন্তুষ্টের গুঞ্জন রয়েছে। এবিষয়ে আবদুল মান্নান বলেন, এ কলের বিষয়ে আমার ততটা দায়িত্ব অথবা জানা নেই। যতটুকু জানার এবং জানেন তা সোহাগ মেম্বারই ভালো বলতে পারেন। তিনি তার নিজ দায়িত্বে এ কাজটি করেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার বাড়িতে কলটি না বসিয়ে কোথায় বসাবো। টাকা দিবো আমি আর কল বসাবো অন্যদের বাড়িতে এটা কি করে হয়। তাই আমি আমার বাড়িতেই কলটি বসাচ্ছি। অপর গ্রাহক ঠিকাদার আবুল কাশেম তার মুঠো ফোনে জানান, সর্ব সাধারণের স্বার্থে স্থানিয় ইউপি সদস্য সোহাগ আর্সেনিকমুক্ত কলটি আমার বাড়িতে বসিয়েছেন। এখান থেকে সবাই নিরাপদ পানি ব্যবহার করতে পারবেন। আমি ওই ধরনের সার্বিক ব্যবস্থা করেছি।

এবিষয়ে ইউপি সদস্য সোহাগ বলেন, আমি দলীয় লোক। ইউনিয়ন যুবলীগের সাথে জড়িত। দু’একটা কাজ করে নিজের চলার ব্যবস্থা করি। এতে অনেকের পেট পোড়ায়। আমি চুরি করি না, ডাকাতি করি না, কাজ করে খাই। স্থানিয় আওয়ামী সমর্থকরা বলেন, সোহাগ মেম্বার এখন পর্যন্ত যত কাজ এনেছেন সকল কাজই সাদামাটা করে বাকি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এতে সরকার দলের সুনাম ক্ষুন্ন করা হচ্ছে বলে তারা মনে করেন।

স্থানিয় এলাকাবাসীসহ মৃত আবদুস সাত্তারের পুত্র-জাহাঙ্গীর আলম, খোরশেদ আলম, মোরশেদ আলম, মৃত আবদুল বারেকের পুত্র সেলিম মিয়ার স্ত্রী তাসলিমা বেগম, মৃত আবদুল আজিজের পুত্র আবদুল মান্নান বলেন, আমরা এলাকাবাসী অসহায় ও গরীব বলে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সরকারী দান অনুদানগুলো অর্থের বিনিময়ে মেম্বার সোহাগের মাধ্যমে নিজেদের করে নেন আর তা থেকে আমরা বঞ্চিত হই। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এমন অপরাধে জড়িত সোহাগ মেম্বারের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান তারা।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ-অর্থ সম্পাদক হাজীগঞ্জের মাহবুব আলম ২ দিনের রিমান্ডে

আর্সেনিকমুক্ত কল বিতরনে ব্যাপক অনিয়ম। সোহাগ মেম্বারের দাম্ভিকতা

আপডেট: ০৩:০৬:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০১৯

শাহরাস্তি প্রতিনিধি:

চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে নিরাপদ পানি ব্যবস্থায় আর্সেনিকমুক্ত কল বিতরনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানিয় ইউপি সদস্য সোহাগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সরকারী কাজের অর্থ আত্মসাতের বহু অভিযোগ নিয়ে এলাকায় চলছে নানান গুঞ্জন। ঘটনাটি উপজেলার চিতোষী পূর্ব ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামে ঘটে। জানা যায়, ওই গ্রামের স্থানিয় মেম্বার সোহাগ (২৮) চলতি অর্থ বছরে সরকারী ২টি আর্সেনিকমুক্ত কল ইউনিয়ন পরিষদ থেকে গ্রহন করেন। ওই কল দুটি তিনি সর্বসাধারণকে বঞ্চিত করে ব্যক্তি মালিকানা জায়গায় কূপিত করেছেন। ওই গ্রামের পশ্চিম পাড়া বেপারী বাড়ির মৃত জুনাব আলীর পুত্র আবদুল মান্নান ও একই গ্রামের পূর্ব পাড়া কাজী বাড়ির মৃত- দুদু মিয়ার পুত্র আবুল কাশেমের বাড়িতে কল দুটি কূপিত হয়েছে। যা নিয়ে এলাকায় অসুন্তুষ্টের গুঞ্জন রয়েছে। এবিষয়ে আবদুল মান্নান বলেন, এ কলের বিষয়ে আমার ততটা দায়িত্ব অথবা জানা নেই। যতটুকু জানার এবং জানেন তা সোহাগ মেম্বারই ভালো বলতে পারেন। তিনি তার নিজ দায়িত্বে এ কাজটি করেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার বাড়িতে কলটি না বসিয়ে কোথায় বসাবো। টাকা দিবো আমি আর কল বসাবো অন্যদের বাড়িতে এটা কি করে হয়। তাই আমি আমার বাড়িতেই কলটি বসাচ্ছি। অপর গ্রাহক ঠিকাদার আবুল কাশেম তার মুঠো ফোনে জানান, সর্ব সাধারণের স্বার্থে স্থানিয় ইউপি সদস্য সোহাগ আর্সেনিকমুক্ত কলটি আমার বাড়িতে বসিয়েছেন। এখান থেকে সবাই নিরাপদ পানি ব্যবহার করতে পারবেন। আমি ওই ধরনের সার্বিক ব্যবস্থা করেছি।

এবিষয়ে ইউপি সদস্য সোহাগ বলেন, আমি দলীয় লোক। ইউনিয়ন যুবলীগের সাথে জড়িত। দু’একটা কাজ করে নিজের চলার ব্যবস্থা করি। এতে অনেকের পেট পোড়ায়। আমি চুরি করি না, ডাকাতি করি না, কাজ করে খাই। স্থানিয় আওয়ামী সমর্থকরা বলেন, সোহাগ মেম্বার এখন পর্যন্ত যত কাজ এনেছেন সকল কাজই সাদামাটা করে বাকি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এতে সরকার দলের সুনাম ক্ষুন্ন করা হচ্ছে বলে তারা মনে করেন।

স্থানিয় এলাকাবাসীসহ মৃত আবদুস সাত্তারের পুত্র-জাহাঙ্গীর আলম, খোরশেদ আলম, মোরশেদ আলম, মৃত আবদুল বারেকের পুত্র সেলিম মিয়ার স্ত্রী তাসলিমা বেগম, মৃত আবদুল আজিজের পুত্র আবদুল মান্নান বলেন, আমরা এলাকাবাসী অসহায় ও গরীব বলে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সরকারী দান অনুদানগুলো অর্থের বিনিময়ে মেম্বার সোহাগের মাধ্যমে নিজেদের করে নেন আর তা থেকে আমরা বঞ্চিত হই। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এমন অপরাধে জড়িত সোহাগ মেম্বারের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান তারা।