রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপির সহযোগিতায় মেডিকেল ভর্তি হলো অদম্য মেধাবী পান্না

  • আপডেট: ০৮:০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০১৯
  • ৩৭

গাজী মহিনউদ্দিন॥
চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের সংসদ সদস্য, মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপির সহযোগিতায় ময়মনসিংহ মেডিকেল ভর্তি হয়েছে হাজীগঞ্জের অদম্য মেধাবী পান্না আক্তার।

সোমবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস চলতি সেশনে ভর্তি হয়েছেন। মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপির তত্ত্বাবধানে পান্না ওই মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি বলেন, পান্নাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল ভর্তি করার জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে কয়েকবার ওই কলেজের অধ্যক্ষের সাথে কথা বলেছি। পান্নার পড়া-লেখার যাবতীয় খরচ আমিই বহন করবো। তিনি বলেন, হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির কোন শিক্ষার্থীর অর্থাভাবে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবেনা।

পান্নার এমবিবিএস ভর্তির মূল টাকা প্রদানসহ গত ক’দিন ধরে পুরো বিষয়টি তদারকি করছেন চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি। এরই মধ্যে পান্না ও তার পরিবারের সাথে কয়েকবার মুঠো ফোনে কথা বলে নগদ টাকা প্রদান করেছেন তিনি।

এর পূর্বে “টাকার অভাবে মেডিকেলে ভর্তি অনিশ্চিত হাজীগঞ্জের পান্নার” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে বহুল প্রচারিত  “নতুনেরকথা” সংস্করণে এরপরেই বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় সাংসদ মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপিসহ চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান, হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন রনিসহ বিশিষ্ট জনের। এতেই মেডিকেলে ভর্তি স্বপ্ন পূরণ হয় পান্নার। সাংসদের অনুকম্পায় পাল্টে যায় রিক্সা চালকের মেয়ে পান্নার শিক্ষাজীবন।

অদম্য মেধাবী পান্না হাজীগঞ্জের রায়চোঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনি পরীক্ষায় পাশ করে বেলচোঁ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হয়। তার লেখা-পড়ার মনোযোগ দেখে শিক্ষকদের নজরে আসে। এইচএসসি পরীক্ষার পর পর পান্না একই কলেজের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক বিলকিস বেগমের কুমিল্লর বাসায় থেকে কলেজের অর্থায়নে মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষার কোচিং করে। শেষ পর্যন্ত পান্না এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা-২০১৯-এ অংশগ্রহণ করে মেধা তালিকায় ৬৭২নং স্থান অর্জন করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা লাভ করে।

পান্নার বাবা দুলাল মিয়ার পক্ষে কোনোভাবেই মেয়ের এমবিবিএস ভর্তির টাকা জোগানো সম্ভব নয় বিষয়টি নতুনেরকথা’ প্রতিনিধি’র নজরে আসে। এ নিয়ে রায়চোঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিরীন শামীম এবং সহকারি শিক্ষক মো. আব্দুল কুদ্দুস ফেসবুকে মানবিক আবেদন জানিয়ে পোস্ট করেন। পরে পান্নার কলেজ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় কয়েক সাংবাদিকের। এরপরেই গত বুধবার হাজীগঞ্জে কর্মরত ওই সকল সাংবাদিক বিভিন্ন অনলাইন ভার্সন ও বৃহস্পতিবারের প্রিন্ট ভার্সনে পান্নাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করান।

ওইদিন দুপরে পান্নার নিজ এলাকার সাংসদ মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি শাহরাস্তি উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আহসান মঞ্জুরুল ইসলাম জুয়েল মুঠোফোনে কথা বলেন পান্না ও তার বাবা-মায়ের সাথে কথা বলে পান্নার পড়া-লেখার সকল দায়-দায়িত্ব মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম নিবে বলে তাদেরকে আশ^স্থ করেন। রাতে পৌর ছাত্রলীগের সাধারনা সম্পাদক মেহেদি হাছান রাব্বির মুঠোফোনে পান্না, ও তার মা-বাবার সাথে কথা বলেন সাংসদ। এ সময় রফিকুল ইসলাম পান্না ও তার বাবা মাকে আশ্বস্ত করেন পান্নার সকল দায়িত্ব আমার। এ বিষয়ে আপনাদের কোন চিন্তা করতে হবেনা। একই দিন সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মা ইলিশ নিধন কার্যক্রম নিয়ে সাংবাদিকদের প্রেস কনফারেন্সে জেলা প্রশাসক জানান, পান্নাকে জেলা প্রশাসকের শিক্ষা উন্নয়ন তহবিল থেকে উচ্চ শিক্ষার জন্য বৃত্তি প্রদান করা হবে।

একই দিন বিকেল হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগির হোসেন রনি, ১৫ হাজার, জনৈক মহিলা ১০ হাজার, একজন সমাজ সেবক ২৫ হাজার টাকা প্রদান করেন।

পান্নার মুঠোফোনে কথা হলে সে জানায়, এমপি স্যারের সহযোগিতায় ভর্তি সম্পন্ন হয়েছে। আমার শিক্ষক বিলকিস বেগম আমার সাথে আছেন। বিলকিস বেগম জানান, হাজীগঞ্জ থেকে রওনার পর এমপি স্যার আমাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। এখানকার কলেজ অধ্যক্ষের সাথেও এমপি স্যার কথা বলেছেন। এমপি স্যারের পরামর্শে সোমবার দুপুরে ভর্তি হয়েছি। এমপি স্যার যদি আমার দায়িত্ব না নিতেন হয়তো মেডিকেলে ভর্তি হওয়া আমার পরিবারের পক্ষে সম্ভব ছিল না। স্যার হাজীগঞ্জ শাহরাস্তির একজন আর্দশবান অভিভাবক, স্যার আমার অভিভাবকের দায়িত্ব নিয়ে যে ভাবে তদারকি করছেন তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

এ বিষয়ে মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি বলেন, মেয়েটির ভর্তির বিষয়ে ইতিমধ্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষের সাথে আমার বেশ কয়েবার কথা হয়েছে। তার পড়ালেখার সকল বিষয় আমি দেখছি। সেই সাথে মেয়েটির যেখানে যা কিছু দরকার তার সব আমি দেখবো।

তিনি বলেন, হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি আমার নির্বাচনী এলায়ক কোন অসহায় লোকের অর্থাভাবে লেখাপড়া বন্ধ হবেনা। আমি সকলকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করে সুশিক্ষিত করে এগিয়ে নেবো।

উল্লেখ্য, মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম শিক্ষাক্ষেত্রে গোপনে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি সহ দেশে বিভিন্ন প্রান্তে অনেক শিক্ষার্থীকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করছেন। শুধু শিক্ষাক্ষেত্রেই নয়, বাসস্থান, চিকিৎসা সহ বিভিন্নভাবে সাধারন মানুষকে সহযোগিতা করছেন।

রায়চোঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিরীন শামীম জানান, পান্ন প্রাইমারী স্কুলে আমাদের স্কুলের শিক্ষার্থী ছিল। পান্না ছিল খুবই মেধাবী। প্রাইমারীতে আমরা তাকে অনেক সহযোগিতা করেছি। তার ইচ্ছা ছিল চিকিৎসক হওয়া। আমার মাননীয় সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলামের উছিলায় মেয়েটির স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এজন্য রায়চোঁবাসি এমপি মহোদয়ের কাছে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ভারতে মসজিদের স্থানে মন্দির দাবি করে জরিপের চেস্টায় উত্তেজনা, পুলিশের গুলিতে ৩ মুসল্লি নিহত (ভিডিওসহ)

রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপির সহযোগিতায় মেডিকেল ভর্তি হলো অদম্য মেধাবী পান্না

আপডেট: ০৮:০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০১৯

গাজী মহিনউদ্দিন॥
চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের সংসদ সদস্য, মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপির সহযোগিতায় ময়মনসিংহ মেডিকেল ভর্তি হয়েছে হাজীগঞ্জের অদম্য মেধাবী পান্না আক্তার।

সোমবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস চলতি সেশনে ভর্তি হয়েছেন। মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপির তত্ত্বাবধানে পান্না ওই মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি বলেন, পান্নাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল ভর্তি করার জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে কয়েকবার ওই কলেজের অধ্যক্ষের সাথে কথা বলেছি। পান্নার পড়া-লেখার যাবতীয় খরচ আমিই বহন করবো। তিনি বলেন, হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির কোন শিক্ষার্থীর অর্থাভাবে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবেনা।

পান্নার এমবিবিএস ভর্তির মূল টাকা প্রদানসহ গত ক’দিন ধরে পুরো বিষয়টি তদারকি করছেন চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি। এরই মধ্যে পান্না ও তার পরিবারের সাথে কয়েকবার মুঠো ফোনে কথা বলে নগদ টাকা প্রদান করেছেন তিনি।

এর পূর্বে “টাকার অভাবে মেডিকেলে ভর্তি অনিশ্চিত হাজীগঞ্জের পান্নার” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে বহুল প্রচারিত  “নতুনেরকথা” সংস্করণে এরপরেই বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় সাংসদ মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপিসহ চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান, হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন রনিসহ বিশিষ্ট জনের। এতেই মেডিকেলে ভর্তি স্বপ্ন পূরণ হয় পান্নার। সাংসদের অনুকম্পায় পাল্টে যায় রিক্সা চালকের মেয়ে পান্নার শিক্ষাজীবন।

অদম্য মেধাবী পান্না হাজীগঞ্জের রায়চোঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনি পরীক্ষায় পাশ করে বেলচোঁ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হয়। তার লেখা-পড়ার মনোযোগ দেখে শিক্ষকদের নজরে আসে। এইচএসসি পরীক্ষার পর পর পান্না একই কলেজের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক বিলকিস বেগমের কুমিল্লর বাসায় থেকে কলেজের অর্থায়নে মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষার কোচিং করে। শেষ পর্যন্ত পান্না এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা-২০১৯-এ অংশগ্রহণ করে মেধা তালিকায় ৬৭২নং স্থান অর্জন করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা লাভ করে।

পান্নার বাবা দুলাল মিয়ার পক্ষে কোনোভাবেই মেয়ের এমবিবিএস ভর্তির টাকা জোগানো সম্ভব নয় বিষয়টি নতুনেরকথা’ প্রতিনিধি’র নজরে আসে। এ নিয়ে রায়চোঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিরীন শামীম এবং সহকারি শিক্ষক মো. আব্দুল কুদ্দুস ফেসবুকে মানবিক আবেদন জানিয়ে পোস্ট করেন। পরে পান্নার কলেজ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় কয়েক সাংবাদিকের। এরপরেই গত বুধবার হাজীগঞ্জে কর্মরত ওই সকল সাংবাদিক বিভিন্ন অনলাইন ভার্সন ও বৃহস্পতিবারের প্রিন্ট ভার্সনে পান্নাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করান।

ওইদিন দুপরে পান্নার নিজ এলাকার সাংসদ মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি শাহরাস্তি উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আহসান মঞ্জুরুল ইসলাম জুয়েল মুঠোফোনে কথা বলেন পান্না ও তার বাবা-মায়ের সাথে কথা বলে পান্নার পড়া-লেখার সকল দায়-দায়িত্ব মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম নিবে বলে তাদেরকে আশ^স্থ করেন। রাতে পৌর ছাত্রলীগের সাধারনা সম্পাদক মেহেদি হাছান রাব্বির মুঠোফোনে পান্না, ও তার মা-বাবার সাথে কথা বলেন সাংসদ। এ সময় রফিকুল ইসলাম পান্না ও তার বাবা মাকে আশ্বস্ত করেন পান্নার সকল দায়িত্ব আমার। এ বিষয়ে আপনাদের কোন চিন্তা করতে হবেনা। একই দিন সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মা ইলিশ নিধন কার্যক্রম নিয়ে সাংবাদিকদের প্রেস কনফারেন্সে জেলা প্রশাসক জানান, পান্নাকে জেলা প্রশাসকের শিক্ষা উন্নয়ন তহবিল থেকে উচ্চ শিক্ষার জন্য বৃত্তি প্রদান করা হবে।

একই দিন বিকেল হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগির হোসেন রনি, ১৫ হাজার, জনৈক মহিলা ১০ হাজার, একজন সমাজ সেবক ২৫ হাজার টাকা প্রদান করেন।

পান্নার মুঠোফোনে কথা হলে সে জানায়, এমপি স্যারের সহযোগিতায় ভর্তি সম্পন্ন হয়েছে। আমার শিক্ষক বিলকিস বেগম আমার সাথে আছেন। বিলকিস বেগম জানান, হাজীগঞ্জ থেকে রওনার পর এমপি স্যার আমাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। এখানকার কলেজ অধ্যক্ষের সাথেও এমপি স্যার কথা বলেছেন। এমপি স্যারের পরামর্শে সোমবার দুপুরে ভর্তি হয়েছি। এমপি স্যার যদি আমার দায়িত্ব না নিতেন হয়তো মেডিকেলে ভর্তি হওয়া আমার পরিবারের পক্ষে সম্ভব ছিল না। স্যার হাজীগঞ্জ শাহরাস্তির একজন আর্দশবান অভিভাবক, স্যার আমার অভিভাবকের দায়িত্ব নিয়ে যে ভাবে তদারকি করছেন তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

এ বিষয়ে মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি বলেন, মেয়েটির ভর্তির বিষয়ে ইতিমধ্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষের সাথে আমার বেশ কয়েবার কথা হয়েছে। তার পড়ালেখার সকল বিষয় আমি দেখছি। সেই সাথে মেয়েটির যেখানে যা কিছু দরকার তার সব আমি দেখবো।

তিনি বলেন, হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি আমার নির্বাচনী এলায়ক কোন অসহায় লোকের অর্থাভাবে লেখাপড়া বন্ধ হবেনা। আমি সকলকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করে সুশিক্ষিত করে এগিয়ে নেবো।

উল্লেখ্য, মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম শিক্ষাক্ষেত্রে গোপনে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি সহ দেশে বিভিন্ন প্রান্তে অনেক শিক্ষার্থীকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করছেন। শুধু শিক্ষাক্ষেত্রেই নয়, বাসস্থান, চিকিৎসা সহ বিভিন্নভাবে সাধারন মানুষকে সহযোগিতা করছেন।

রায়চোঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিরীন শামীম জানান, পান্ন প্রাইমারী স্কুলে আমাদের স্কুলের শিক্ষার্থী ছিল। পান্না ছিল খুবই মেধাবী। প্রাইমারীতে আমরা তাকে অনেক সহযোগিতা করেছি। তার ইচ্ছা ছিল চিকিৎসক হওয়া। আমার মাননীয় সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলামের উছিলায় মেয়েটির স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এজন্য রায়চোঁবাসি এমপি মহোদয়ের কাছে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।