আকাশ চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নে জাকির হোসেনের ছেলে। তিনি হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও হাজীগঞ্জ বাজার এলাকার একটি ফ্লাট বাড়িতে গড়ে ওঠা মেসে থাকতেন।
আকাশের চাচা দৈনিক ইত্তেফাক-এর মতলব উত্তর প্রতিনিধি শামসুজ্জামান ডলার জানান, মেসে থাকাকালে গত শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেল থেকে আকাশকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি সন্ধ্যার পর থেকে বন্ধ থাকায় তার পরিবারের মধ্যে উৎকণ্ঠা বাড়ে। পরের দিন ২০ অক্টোবর সকালে আমরা হাজীগঞ্জ থানায় উপস্থিত হয়ে একটি মিসিং ডায়েরি করি। ডায়েরি করার পরই পুলিশ আকাশের নাম্বার তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার অবস্থানের স্থান পায় হাজীগঞ্জ বাজার এর পর মাওয়া ঘেরিঘাট এলাকা।
শামসুজ্জামান ডলার আরো বলেন, আকাশের অবস্থান মাওয়া ঘেরিঘাট, বিষয়টি পুলিশের কাছে জেনে আমরা ঢাকা থেকে রাতে রওনা দিয়ে আকাশকে ঢাকায় নিয়ে আসি। সে এতটা অসুস্থ তার কাছ থেকে কিছুই জানা সম্ভব হয়নি। এর পরই তাকে চিকিৎসার জন্য আমরা রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করি। সে কিছুটা সুস্থ হলে বিষয়গুলো জানা যাবে।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলগমীর হোসেন রনি জানান, আকাশের মোবাইল নম্বর ট্র্যাকিং করে ওইদিন সন্ধ্যা ৬টায় হাজীগঞ্জ এলাকায় পাওয়া যায়। এরপর তার অবস্থান পাওয়া যায় মাওয়া ফেরিঘাট এলাকায়। এর কয়েক মিনিট পরই পলাশের বাবার ফোনে পলাশ ফোন করে বলে বাবা আমি আকাশ। আমি কোথায় আছি, কীভাবে আছি কিছুই জানি না। পরে ওই মোবাইল মালিক শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে কথা হয় আকাশের বাবার।
পেশায় রাজমিস্ত্রী শাহাবুদ্দিনের কাছে বিস্তারিত শুনে আমরা মাওয়া ফেরিঘাট এলাকার থানা পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের মাধ্যমে আকাশকে উদ্ধার করি।