নিজস্ব প্রতিনিধি:
হাজীগঞ্জ রয়েল মার্কেটের মালিক আব্দুল লতিফ তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে পুনরায় বিয়ে করে স্ত্রীর হাতে মার খেয়ে এখন মৃত্যু শয্যায়। চিকিৎসাধীন রয়েছেন রাজধানীর স্কোয়ার হাসপাতালে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার মধ্যে ওষুধের বোতল ছুঁড়ে মারায় এই মারাত্মক ঘটনা ঘটে।
বৃদ্ধ স্বামী চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারের রয়েল সুপার মার্কেট ও মক্কা মদিনা শপিং সেন্টারের মালিক হাজী আবদুল লতিফ (৭৮)। জাতীয় পরিচয়পত্রনুযায়ী শখের স্ত্রী ফাতেমা আফসার (৩৮) এর স্বামী সায়েম জাফরী। মাতার নাম সুরাইয়া বেগম, গাজীপুর সদর উপজেলার মোগরখাল গ্রামের বাসিন্দা। পূর্বে স্বামীর ঘরে এক সন্তান নিয়ে হাজী আবদুল লতিফের সাথে সংসার করছেন।
বৃদ্ধের একমাত্র মেয়ে রয়েলী বেগম বলেন, আমার বাবাকে রাতে মেরে রক্তাক্ত করে ওই মহিলা। প্রথমে হাজীগঞ্জ বাজারের গোল্ডেন হাসপাতালে চোখের কিনায় তিনটি সেলাই দেয়া হয়েছে। পরে বারডেম হাসপাতাল থেকে স্কোয়ার হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তার ছেলে হাবিবুর রহমান জীবন বলেন, বাবা এখনও কথা বলতে পারছে না। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ওই মহিলা একচক্রের হয়ে আমাদের সংসারে ঢুকেছে। বাবা আমার ভাই আল আমিন লিটনকে সম্পত্তি বিক্রি করে ৫ লাখ টাকা দিয়েছে। এ নিয়ে ওই মহিলা বাবার সাথে বিবেদ শুরু করে। মঙ্গলবার বাড়ীর কয়েকজনসহ একটি বৈঠকও হয়। রাতে বাবাকে হত্যার চেষ্টা করে ওই মহিলা। বাবা চিকিৎসা শেষে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।
তবে স্ত্রী ফাতেমা আফসারী বলেছেন, স্বামী লতিফ খাট থেকে পড়ে আঘাত পেয়েছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শখের স্ত্রী ফাতেমা আফসারীর (৩৮) সাথে ২০১২ সালে হাজী আবদুল লতিফের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। দুই বছরের মাথায় তালাক দিয়ে মোটা অংকের অর্থ নিয়ে লোপাট। পাঁচ বছর পর ২০১৯ সালে আবার নতুন করে বিয়ে হয় এই দম্পত্তির। এরপূর্বে একাধিকবার এই স্ত্রীর হাতে মারধরের শিকার হন হাজী আবদুল লতিফ। তিনি নিজের সন্তানদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে ওই স্ত্রীকে পুনরায় বিয়ে করেন। হাজী আবদুল লতিফের দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। সবাইকে সম্পত্তি বন্টন করে দিয়েছেন। ২০০৬ সালে হাজী আবদুল লতিফের প্রথম স্ত্রী মারা যান।
শিরোনাম:
হাজীগঞ্জ রয়েল মার্কেটের মালিক আব্দুল লতিফ তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে পুনরায় বিয়ে করে স্ত্রীর হাতে মার খেয়ে মৃত্যু শয্যায়
Tag :
সর্বাধিক পঠিত