সাংবাদিক পীর হাবিবের নাম জুড়ে দেওয়া চক্রের সন্ধানে গোয়েন্দারা

  • আপডেট: ০৯:৫২:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০১৯
  • ৩৫

নতুনেরকথা ডেস্কঃ

মদ খেয়ে অর্ধনগ্ন হয়ে নাচছেন এক ব্যক্তি। গেল দুইদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি পোস্ট করে বলা হচ্ছে, এই ভিডিওতে থাকা ব্যক্তি সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমান।

কারা এই অশ্লীল ভিডিওটির সাথে সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমানের নাম জুড়ে দিয়ে প্রচার করছে, তা তদন্ত করে দেখছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। ইতোমধ্যে সাইবার ক্রাইম ইউনিট প্রাথমিক তদন্ত শেষ করেছে। বিভিন্ন টেকনোলোজি ব্যবহার করে তারা নিশ্চিত হয়েছে ভিডিও’র লোকটি পীর হাবিবুর রহমান নন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) জনসংযোগ শাখার উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান বলেন, যারা এর পেছনে রয়েছে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।

সাইবার ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, অনলাইনসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে যে অশ্লীল ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, ভিডিও’র লোকটি পীর হাবিবুর রহমান নয়। সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করতে কোনো চক্র এই অপপ্রচার করছে। তবে বিষয়টির নেপথ্যে যারাই থাকুক না কেনো, শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে কাজ করছে সাইবার ক্রাইম ইউনিট।

ভিডিওটি নিয়ে অনুসন্ধান করতে গেলে পীর হাবিবকে চেনেন এমন কেউই বলেননি, ভিডিওটি তার। তথ্যের সত্যতা বাছাইয়ের ওয়েবসাইট বিডি ফ্যাক্ট, ছড়ানোর পর ইন্টারনেটে ভিডিওটির মূল উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয়। এতে সবচেয়ে পুরনো ভিডিওটি তারা পায় ভারতীয় একটি ইউটিউব চ্যানেলে। চলতি অক্টোবর মাসের ২ তারিখ এটি আপলোড করা হয়েছে।

পীর হাবিবকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন এমন একাধিক সাংবাদিক ভিডিওটি দেখে জানিয়েছেন, ভিডিওর ব্যক্তি পীর হাবিব নন। তাদের মতে, পীর হাবিবের সঙ্গে দৃশ্যমান ব্যক্তির চেহারার মিল যতটুকু, অমিল তার চেয়ে বেশি স্পষ্ট। তারা বিশেষভাবে নৃত্যরত ব্যক্তিটির শারীরিক ফিটনেস ও নাচের সময়ের স্বতঃস্ফূর্ত বডি ল্যাংগুয়েজের কথা বলেছেন, যা পীর হাবিবের সাথে কোনোভাবেই যায় না।

এছাড়া হাবিবের বিভিন্ন সময়ের একাধিক ছবির সাথে মিলিয়ে দেখে তার চুলের স্টাইল (কপালের ওপরে লম্বা ও খাড়া চুল) এবং ঘন ভ্রুর সাথে ভিডিওতে দেখা যাওয়া ব্যক্তির চুলের স্টাইল ও ভ্রুর মিল পাওয়া যায়নি।

আরেকটি মজার তথ্য হলো, ব্যাংককে ভিডিওটিতে মাস্তির কথা বলা হলেও পীর হাবিব কোনদিন ব্যাংককই যাননি।

আরো পড়ুন: পদত্যাগের প্রশ্নই ওঠে না : বুয়েট ভিসি

ভিডিওটির ব্যাপারে পীর হাবিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতি বিরোধী অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে এর পক্ষে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কলামে ও টকশোতে পরিষ্কার কঠোর অবস্থান নেয়ার পর একদল বিকৃত নোংরা মস্তিস্কের মানুষ এই মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে অপচেষ্টা চালায়। পরে এটি জামায়াত ও বিএনপির একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার মত কর্মকাণ্ডের সমর্থকরা লুফে নিয়ে জোরেশোরে প্রচারণায় নামে। কারণ পীর হাবিব যুদ্ধাপরাধের বিচার ও বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে সংঘঠিত সকল পাপাচার অপরাধেরও কঠোর সমালোচক যেমন ছিলেন, তেমনি বিগত ১০ বছরের ব্যাংক লুট, শেয়ারলুটসহ একদল উন্মাসিক চক্রের দুর্নীতির কঠোর সমালোচক। তিনি বলেন, যতো মিথ্যাচার জঘন্য নোংরামি হোক না কেন তার অবস্থান থেকে তিনি সরবেন না।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

দেশে HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক

সাংবাদিক পীর হাবিবের নাম জুড়ে দেওয়া চক্রের সন্ধানে গোয়েন্দারা

আপডেট: ০৯:৫২:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০১৯

নতুনেরকথা ডেস্কঃ

মদ খেয়ে অর্ধনগ্ন হয়ে নাচছেন এক ব্যক্তি। গেল দুইদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি পোস্ট করে বলা হচ্ছে, এই ভিডিওতে থাকা ব্যক্তি সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমান।

কারা এই অশ্লীল ভিডিওটির সাথে সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমানের নাম জুড়ে দিয়ে প্রচার করছে, তা তদন্ত করে দেখছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। ইতোমধ্যে সাইবার ক্রাইম ইউনিট প্রাথমিক তদন্ত শেষ করেছে। বিভিন্ন টেকনোলোজি ব্যবহার করে তারা নিশ্চিত হয়েছে ভিডিও’র লোকটি পীর হাবিবুর রহমান নন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) জনসংযোগ শাখার উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান বলেন, যারা এর পেছনে রয়েছে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।

সাইবার ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, অনলাইনসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে যে অশ্লীল ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, ভিডিও’র লোকটি পীর হাবিবুর রহমান নয়। সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করতে কোনো চক্র এই অপপ্রচার করছে। তবে বিষয়টির নেপথ্যে যারাই থাকুক না কেনো, শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে কাজ করছে সাইবার ক্রাইম ইউনিট।

ভিডিওটি নিয়ে অনুসন্ধান করতে গেলে পীর হাবিবকে চেনেন এমন কেউই বলেননি, ভিডিওটি তার। তথ্যের সত্যতা বাছাইয়ের ওয়েবসাইট বিডি ফ্যাক্ট, ছড়ানোর পর ইন্টারনেটে ভিডিওটির মূল উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয়। এতে সবচেয়ে পুরনো ভিডিওটি তারা পায় ভারতীয় একটি ইউটিউব চ্যানেলে। চলতি অক্টোবর মাসের ২ তারিখ এটি আপলোড করা হয়েছে।

পীর হাবিবকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন এমন একাধিক সাংবাদিক ভিডিওটি দেখে জানিয়েছেন, ভিডিওর ব্যক্তি পীর হাবিব নন। তাদের মতে, পীর হাবিবের সঙ্গে দৃশ্যমান ব্যক্তির চেহারার মিল যতটুকু, অমিল তার চেয়ে বেশি স্পষ্ট। তারা বিশেষভাবে নৃত্যরত ব্যক্তিটির শারীরিক ফিটনেস ও নাচের সময়ের স্বতঃস্ফূর্ত বডি ল্যাংগুয়েজের কথা বলেছেন, যা পীর হাবিবের সাথে কোনোভাবেই যায় না।

এছাড়া হাবিবের বিভিন্ন সময়ের একাধিক ছবির সাথে মিলিয়ে দেখে তার চুলের স্টাইল (কপালের ওপরে লম্বা ও খাড়া চুল) এবং ঘন ভ্রুর সাথে ভিডিওতে দেখা যাওয়া ব্যক্তির চুলের স্টাইল ও ভ্রুর মিল পাওয়া যায়নি।

আরেকটি মজার তথ্য হলো, ব্যাংককে ভিডিওটিতে মাস্তির কথা বলা হলেও পীর হাবিব কোনদিন ব্যাংককই যাননি।

আরো পড়ুন: পদত্যাগের প্রশ্নই ওঠে না : বুয়েট ভিসি

ভিডিওটির ব্যাপারে পীর হাবিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতি বিরোধী অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে এর পক্ষে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কলামে ও টকশোতে পরিষ্কার কঠোর অবস্থান নেয়ার পর একদল বিকৃত নোংরা মস্তিস্কের মানুষ এই মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে অপচেষ্টা চালায়। পরে এটি জামায়াত ও বিএনপির একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার মত কর্মকাণ্ডের সমর্থকরা লুফে নিয়ে জোরেশোরে প্রচারণায় নামে। কারণ পীর হাবিব যুদ্ধাপরাধের বিচার ও বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে সংঘঠিত সকল পাপাচার অপরাধেরও কঠোর সমালোচক যেমন ছিলেন, তেমনি বিগত ১০ বছরের ব্যাংক লুট, শেয়ারলুটসহ একদল উন্মাসিক চক্রের দুর্নীতির কঠোর সমালোচক। তিনি বলেন, যতো মিথ্যাচার জঘন্য নোংরামি হোক না কেন তার অবস্থান থেকে তিনি সরবেন না।