নিজস্ব প্রতিবেদক:
চাঁদপুর মা ও শিশু হাসপাতালে সিজার করতে গিয়ে ডাক্তার নাজমুন্নাহার মুন্নির বিরুদ্ধে সিজার করতে গিয়ে ভুল চিকিৎসায় হালিমা আক্তার ( ২৩) নামে এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৬ অক্টোবর রোববার সন্ধ্যায় চাঁদপুর শহরের মিশন রোডস্থ বঙ্গুবন্ধু সড়কে অবস্থিত মা ও শিশু হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নিহত হালিমা আক্তার চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২ নং চান্দ্রা ইউনিয়নের দক্ষিন বালিয়া গ্রামের রুবেল পাটওয়ারীর স্ত্রী।
ঘটনার পর পরই ডাক্তার ও হাসপাতালের সকল নার্স ও স্টাফরা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় বলেও অভিযোগ স্বজনদের। প্রসূতি মৃত্যুর খবর শুনে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাসিম উদ্দিন, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হারুনুর রশিদ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা সেখানে ছুটে যান।
নিহত হালিমার বড় ভাই লিটন শেখ জানায়, গত ৫ অক্টোবর শনিবার তার বোন হালিমাকে সিজার করানোর জন্য ওই হাসপাতালের পরিচালক মারুফের মাধ্যমে হাসপাতালে ভর্তি করান। পরদিন রোববার সন্ধ্যা পৌনে ৭ টায় গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নাজমুন্নাহার মুন্নি হালিমার সিজার করালে তার একটি ছেলে সন্তান হয়। কিন্তু নবজাতক জীবত থাকলেও প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়। তাদের অভিযোগ অপারেশন শেষ হলে হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা মারুফ তাদেরকে বলেন, রোগীর অবস্থা ভালোনা তাকে ঢাকা হাসপাতালে নিতে হবে। এই বলে তারা তাদেরকে কিছু না জানিয়ে রোগীকে এ্যাম্বুলেন্সে উঠিয়ে দেন। তাদের কথায় স্বজনদের সন্দেহ হলে তারা রোগীকে ঢাকায় না নিয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করেছে যে, ডাক্তার এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব অবহেলার কারনে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়েছে। তবে আমরা কথা বলার জন্য হাসপাতাল কর্তৃৃপক্ষের কাউকে খুঁজে পাইনি। এখন নিহতের স্বজরা যদি মামলা দেয় আমরা মামলা নিবো। পরে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কাউকে পাওয়া না যাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।