মূল্যবৃদ্ধির কারণে পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা ভারতের

  • আপডেট: ০২:৪১:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ২০

অনলাইন ডেস্ক:

মূল্যবৃদ্ধির কারণে পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত সরকার। বেশ কিছুদিন ধরেই পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। দাম নিয়ন্ত্রণে আনতেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

রবিবার ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেইন ট্রেড (ডিজিএফটি)’এর পক্ষ থেকে এক বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে- ‘আজ থেকে সমস্ত ধরনের (টাটকা ও হিমায়িত) পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পেঁয়াজের রফতানির ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বজায় থাকবে।’
ভারতে পেঁয়াজের ফলন হয় মূলত মহারাষ্ট্রের নাসিক, কর্ণাটকের মাকলি এলাকায়। সেখান থেকেই গোটা ভারতের পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। আবার নাসিকের পেঁয়াজ রফতানি হয় প্রতিবেশি বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আরব আমিরাতেও। চলতি বছরে অতি বর্ষণের কারণে কার্যত বন্যায় ভাসছে নাসিক ও মাকলি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানকার বিঘার পর বিঘা কৃষি জমি। যার প্রভাব পড়েছে পেঁয়াজ চাষেও। ফলে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে উৎপাদন। যার প্রভাব পড়েছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে।

গত এক মাসে পেঁয়াজের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। প্রতি কিলোগ্রাম পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ রূপিতে। আর সেই কারণে পেঁয়াজের এই মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতেই রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দেশীয় বাজারে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি ঠেকাতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ডিজিএফটি’এর পক্ষ থেকে টন প্রতি ন্যূনতম মূল্য বেধে দেয়া হয় ৮৫০ মার্কিন ডলার।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯-২০ অর্থ-বছরে গত শেষ চার মাসে যত (টাটকা ও হিমায়িত) পরিমাণ পেঁয়াজ রফতানি হয়েছে-তার মূল্য ১৫৪.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থ-বছরে ৪৯৬.৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পেঁয়াজ রফতানি করে ভারত।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

চাঁদপুরে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা

মূল্যবৃদ্ধির কারণে পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা ভারতের

আপডেট: ০২:৪১:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

মূল্যবৃদ্ধির কারণে পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত সরকার। বেশ কিছুদিন ধরেই পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। দাম নিয়ন্ত্রণে আনতেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

রবিবার ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেইন ট্রেড (ডিজিএফটি)’এর পক্ষ থেকে এক বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে- ‘আজ থেকে সমস্ত ধরনের (টাটকা ও হিমায়িত) পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পেঁয়াজের রফতানির ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বজায় থাকবে।’
ভারতে পেঁয়াজের ফলন হয় মূলত মহারাষ্ট্রের নাসিক, কর্ণাটকের মাকলি এলাকায়। সেখান থেকেই গোটা ভারতের পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। আবার নাসিকের পেঁয়াজ রফতানি হয় প্রতিবেশি বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আরব আমিরাতেও। চলতি বছরে অতি বর্ষণের কারণে কার্যত বন্যায় ভাসছে নাসিক ও মাকলি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানকার বিঘার পর বিঘা কৃষি জমি। যার প্রভাব পড়েছে পেঁয়াজ চাষেও। ফলে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে উৎপাদন। যার প্রভাব পড়েছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে।

গত এক মাসে পেঁয়াজের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। প্রতি কিলোগ্রাম পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ রূপিতে। আর সেই কারণে পেঁয়াজের এই মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতেই রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দেশীয় বাজারে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি ঠেকাতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ডিজিএফটি’এর পক্ষ থেকে টন প্রতি ন্যূনতম মূল্য বেধে দেয়া হয় ৮৫০ মার্কিন ডলার।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯-২০ অর্থ-বছরে গত শেষ চার মাসে যত (টাটকা ও হিমায়িত) পরিমাণ পেঁয়াজ রফতানি হয়েছে-তার মূল্য ১৫৪.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থ-বছরে ৪৯৬.৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পেঁয়াজ রফতানি করে ভারত।