• ঢাকা
  • শনিবার, ১১ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

মোবাইলে ৩ সন্তানের জননীর সাথে, অত:পর যা ঘটলো

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মোবাইলে ৩ সন্তানের জননীর সঙ্গে প্রেম করেন আলমাছ বেপারী (২৭)। পরে বিয়ের জন্য চাপাচাপি করার কারণে ঢাকার সাভারের গার্মেন্টসকর্মী হাসনা বেগমকে (৩৫) শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন তিনি।

আলমাছ গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের হাজী গফুর মণ্ডলেরপাড়া গ্রামের মাহাম বেপারীর ছেলে।

ক্লুহীন এ হত্যাকাণ্ডের ১৮ দিন পর হত্যাকারীকে গ্রেফতার করে খুনের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।

শুক্রবার রাজবাড়ীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লাবণী আক্তারের কাছে ১৬৪ ধারায় হাসনা বেগমকে হত্যার বর্ণনা দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে আলমাছ বেপারী।

গত ৯ সেপ্টেম্বর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের হাবিল মণ্ডলেরপাড়ার গ্রামের রাস্তার পাশ থেকে গার্মেন্টসকর্মী হাসনা বেগমের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি রংপুর জেলার বদরগঞ্জের মিজানুর রহমানের স্ত্রী ও সাভারের আল মুসলিম গার্মেন্টসে কাজ করতেন।

এ ঘটনায় গোয়ালন্দ ঘাট থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে নিহত হাসনা বেগমের ছেলে হাসান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

জবানবন্দিতে গ্রেফতারকৃত আলমাছ বেপারী জানান, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ৩ বছর আগে তিন সন্তানের জননী হাসনা বেগমের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি। এ তিন বছরের মধ্যে তারা একাধিকবার দেখা করে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সম্প্রতি হাসনা বেগম আলমাছকে বিয়ে করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন।

তার ঘরে স্ত্রী-সন্তানের কথা চিন্তা করে হাসনার প্রস্তাবে রাজি হননি আলমাছ। বিভিন্নভাবে হাসনাকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও তিনি তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ সৃষ্টি অব্যাহত রাখেন। এ অবস্থায় চাপ থেকে বাঁচতে হাসনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি।

যার অংশহিসেবে গত ৮ সেপ্টেম্বর গার্মেন্টসে হাসনার কাজ শেষে বিকালে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে গোয়ালন্দে নিয়ে আসেন। ওই দিন রাতে তারা গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ডে এসে হেঁটে উজানচর হাবিল মণ্ডলেরপাড়া এলাকায় নিয়ে গিয়ে হাসনার ওড়না গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশটি রাস্তার পাশে ফেলে দেন।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল তায়েবীর জানান, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আলমাছের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। এ পরিস্থিতিতে গত শুক্রবার আলমাছকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে আদালতে নেয়া হয়। আদালতে আলমাছ হাসনা বেগমকে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • সারা দেশ এর আরও খবর
error: Content is protected !!