জাপান সফরে গিয়ে ইরানকে শান্তির বার্তা দিলো ট্রাম্প

  • আপডেট: ০৩:৫৬:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০১৯
  • ৬১

অনলাইন ডেস্ক:

শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের পরামর্শ উপেক্ষা করে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ করতে এসেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। পারস্য উপসাগরে একের পর এক বাড়াচ্ছিলেন সামরিক উপস্থিতি, তেহরানকে উদ্বিগ্ন করতে দেখাচ্ছিলেন মার্কিন সামরিক সক্ষমতা, একই সঙ্গে ইরানকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার হুমকি-ধমকিও চলছিল সমানতালে। এমনি এক ভীষণ তর্জন-গর্জনের পর সবাইকে অবাক করে দিয়ে ইরানকে শেষ পর্যন্ত শান্তির বার্তা দিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প। এখন রাতারাতি ভোল পাল্টে তিনি বলছেন, ‌’ইরানে আমরা শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন খুঁজছি না। এমনকি আমরা কোনো পরমাণু অস্ত্রও খুঁজছি না।’

তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের শান্তির বার্তাকে ইরান কতটুকু বিশ্বাস করে তা এখনো স্পষ্ট নয়। পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কারণে তাকে ইতোমধ্যে ‘চুক্তি লঙ্ঘনকারী’ আখ্যা দিয়েছে ইরান।

অবশ্য অনেক সমালোচনার পরও ট্রাম্প এখনও বিশ্বাস করেন তার দেশ তেহরানের সঙ্গে একটি চুক্তি করবে, এমনটি তিনি স্পষ্টও করেছেন। যদিও ‘চুক্তি লংঘনের’ অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসতেই রাজি নয় ইরান।

সোমবার (২৭ মে) টোকিওতে জাপানিজ প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে যৌথ প্রেস কনফারেন্সে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের চলমান সংকটের প্রসঙ্গ আসলে ইরানের সঙ্গে চুক্তি করার দাবি করেন ট্রাম্প।

চারদিনের সরকারি সফর করতে মার্কিন এ নেতা জাপানে অবস্থান করছেন। সেখানে ট্রাম্পকে ওয়াশিংটন এবং তেহরানের মধ্যে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দেয় জাপান। শিনজো আবে ট্রাম্পের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন।

এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ইতোমধ্যেই ওয়াশিংটন এবং তেহরানের মধ্যে মধ্যস্থতা করার কথা বলেছেন এবং আমি বিশ্বাস করি ইরান জাপানের এই কথা পছন্দ করবে। আর ইরান যদি এ কথা পছন্দ করে, তাহলে আমরাও করবো।

সরকারি সফরে গিয়ে ট্রাম্প এও বলেন, আমরা দেখছি, কী ঘটতে যাচ্ছে। কেউই ভয়ানক কিছু দেখতে চায় না। বিশেষ করে আমিও এ ধরনের কিছু দেখতে চাই না।

তবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, যদিও ট্রাম্প শান্তির কথা বলছেন, কিন্তু ইরানের সঙ্গে ‘যুদ্ধের বার্তা’ হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্র এবং সামরিক সদস্য পাঠানো তিনি বন্ধ করছেন না। জাপানে যাওয়ার আগেও পারস্য উপসাগরে আরও দেড় হাজার সৈন্য পাঠিয়ে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তুতি হিসেবে ‘তুলনামুলক ছোট’ পদক্ষেপ এটি। এছাড়া তার নির্দেশে পারস্য উপসাগরে অবস্থান করছে মার্কিন এয়াক্রাফট বাহক স্ট্রাইক গ্রুপ, বি-২৫ বোমা হামলার দ্রুততম স্থাপনাসহ বড় ধরনের সামরিক শক্তি। অবশ্য ট্রাম্প শুরু থেকেই বলে আসছেন ইরানের সঙ্গে তারা যুদ্ধে যেতে চান না। শুধু মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ বাঁচিয়ে রাখতে তৎপর তারা।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

‘ম্যানেজ করে’ এক সাথে দুই স্বামীর সংসার করছিলেন জান্নাতুল!

জাপান সফরে গিয়ে ইরানকে শান্তির বার্তা দিলো ট্রাম্প

আপডেট: ০৩:৫৬:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের পরামর্শ উপেক্ষা করে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ করতে এসেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। পারস্য উপসাগরে একের পর এক বাড়াচ্ছিলেন সামরিক উপস্থিতি, তেহরানকে উদ্বিগ্ন করতে দেখাচ্ছিলেন মার্কিন সামরিক সক্ষমতা, একই সঙ্গে ইরানকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার হুমকি-ধমকিও চলছিল সমানতালে। এমনি এক ভীষণ তর্জন-গর্জনের পর সবাইকে অবাক করে দিয়ে ইরানকে শেষ পর্যন্ত শান্তির বার্তা দিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প। এখন রাতারাতি ভোল পাল্টে তিনি বলছেন, ‌’ইরানে আমরা শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন খুঁজছি না। এমনকি আমরা কোনো পরমাণু অস্ত্রও খুঁজছি না।’

তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের শান্তির বার্তাকে ইরান কতটুকু বিশ্বাস করে তা এখনো স্পষ্ট নয়। পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কারণে তাকে ইতোমধ্যে ‘চুক্তি লঙ্ঘনকারী’ আখ্যা দিয়েছে ইরান।

অবশ্য অনেক সমালোচনার পরও ট্রাম্প এখনও বিশ্বাস করেন তার দেশ তেহরানের সঙ্গে একটি চুক্তি করবে, এমনটি তিনি স্পষ্টও করেছেন। যদিও ‘চুক্তি লংঘনের’ অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসতেই রাজি নয় ইরান।

সোমবার (২৭ মে) টোকিওতে জাপানিজ প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে যৌথ প্রেস কনফারেন্সে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের চলমান সংকটের প্রসঙ্গ আসলে ইরানের সঙ্গে চুক্তি করার দাবি করেন ট্রাম্প।

চারদিনের সরকারি সফর করতে মার্কিন এ নেতা জাপানে অবস্থান করছেন। সেখানে ট্রাম্পকে ওয়াশিংটন এবং তেহরানের মধ্যে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দেয় জাপান। শিনজো আবে ট্রাম্পের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন।

এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ইতোমধ্যেই ওয়াশিংটন এবং তেহরানের মধ্যে মধ্যস্থতা করার কথা বলেছেন এবং আমি বিশ্বাস করি ইরান জাপানের এই কথা পছন্দ করবে। আর ইরান যদি এ কথা পছন্দ করে, তাহলে আমরাও করবো।

সরকারি সফরে গিয়ে ট্রাম্প এও বলেন, আমরা দেখছি, কী ঘটতে যাচ্ছে। কেউই ভয়ানক কিছু দেখতে চায় না। বিশেষ করে আমিও এ ধরনের কিছু দেখতে চাই না।

তবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, যদিও ট্রাম্প শান্তির কথা বলছেন, কিন্তু ইরানের সঙ্গে ‘যুদ্ধের বার্তা’ হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্র এবং সামরিক সদস্য পাঠানো তিনি বন্ধ করছেন না। জাপানে যাওয়ার আগেও পারস্য উপসাগরে আরও দেড় হাজার সৈন্য পাঠিয়ে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তুতি হিসেবে ‘তুলনামুলক ছোট’ পদক্ষেপ এটি। এছাড়া তার নির্দেশে পারস্য উপসাগরে অবস্থান করছে মার্কিন এয়াক্রাফট বাহক স্ট্রাইক গ্রুপ, বি-২৫ বোমা হামলার দ্রুততম স্থাপনাসহ বড় ধরনের সামরিক শক্তি। অবশ্য ট্রাম্প শুরু থেকেই বলে আসছেন ইরানের সঙ্গে তারা যুদ্ধে যেতে চান না। শুধু মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ বাঁচিয়ে রাখতে তৎপর তারা।