“প্রিয় বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতা অর্জন করে, তখন সাত দফার ভিত্তিতে স্বাধীনতা অর্জিত হয়। এখানে যারা বয়স্ক মানুষ আছেন, তারা অনেকেই জানেন বাংলাদেশ কিভাবে স্বাধীন হয়েছে। দ্বিতীয় স্বাধীনতা যে বৈষম্যের কারণে হয়েছে, ১৯৭১ সালেও বৈষম্যের কারণে আমরা যুদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছি। তৎকালিন পশ্চিম পাকিস্তান স্বৈরসরকার দ্বারা আমরা বৈষম্যের শিকার হয়েছি। এমন কোনো সেক্টর নেই যেখানে তৎকালিন পূর্ব পাকিস্তানিরা বৈষম্যের শিকার হয়নি। তারপর অনেক প্রানের বিনিময়ে আমরা আমাদের সেই কাঙ্খিত স্বাধীনতা অর্জন করি।
৭১ সালের মতো বিগত ১৬ বছর বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। মত প্রকাশের মতো মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলো মানুষ। মানুষের পিঠ যখন দেওয়ালে ঠেকে গেছে, তখই ছাত্র জনতার অভ্যুথানের সৃষ্টি হয়। গত ৫ আগস্ট জনরোশে ভেসে যায় ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। আমরা পাই দ্বিতীয় স্বাধীনতার স্বাধ।” উক্ত কথাগুলো বলেন, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি)’র সভাপতি কে.এম আবু তাহের।
এনডিপির সভাপতির আগমন উপলক্ষে ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে ফরিদগঞ্জ পৌর বাসস্ট্যান্ডে জনসমাবেশ ও উপহার সামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ফরিদগঞ্জ এনডিপি শাখা। জেলা এনডিপির সভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে, কেন্দ্রীয় এনডিপি কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সুমন জামানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব আবদুল্লা আল হারুন সোহেল, গাজীপুর জেলা সভাপতি জুয়েল রানা, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক খান। অনুষ্ঠান শেষে এক হাজার অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়।