চাঁদপুরে গত কয়েকদিন ধরে টানা বর্ষণে বিভিন্ন উপজেলায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে বাতাসের তীব্রতাও বেড়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টির কারণে প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাসা বাড়ি থেকে বের হয়নি। বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঘর থেকে বের হয়েছে হকার, রিকশা চালক ও শ্রমিকরা।
সদর উপজেলার অটোরিকশা চালক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে ভাড়া নিয়ে রামপুর ইউনিয়নের রাড়িচর এসেছি। এখন বৃষ্টির কারণে কোনো দিকে যেতে পারছি না। অনেক অটোরিকশা চালক বৃষ্টির কারণে ঘর থেকেও বের হতে পারছে না।’
শহরের পুরাণ বাজার বাণিজ্যিক এলাকার বাসিন্দা মাহমুদুল আহসান বলেন, ‘সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। দুপুর হলেও অনেকেই ঘর থেকে বের হতে পারছে না। টানা বৃষ্টিতে জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। সড়কও অনেকটা ফাঁকা। অটোরিকশা ও অটোবাইকের সংখ্যা খুবই কম।
একই এলাকার বাসিন্দা শেখ আল মামুন বলেন, ‘টানা বৃষ্টি ও বাতাসের তীব্রতায় নদীতে ঢেউ বেড়েছে। পানি বাড়েনি। তবে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় জেলেরা নদীতে নামেনি। পুরো নদীই ফাঁকা
শহরের নিউ ট্রাক রোড এলাকার ব্যবসায়ী হারুনঅর রশিদ বলেন, ‘গতরাত থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। সকালে দোকান খুলেছি দেরিতে। কারণ ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। একান্ত দরকার ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। দুপুর ১২টার পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে শুরু করেছে।’
এদিকে, গত এক সপ্তাহের অধিক চাঁদপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শহরে প্রতিদিন কমপক্ষে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে এবং গ্রামাঞ্চলে থাকে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা।
চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক শাহ মো. শোয়েব বলেন, ‘শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত চাঁদপুরে ৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আজকে চাঁদপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।’