বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতের কোন এক সময়ে ওই গ্রামের পাইন্না বাড়ির (কালা শিকদার বাড়ী) দুলাল সাহার ঘরে জানালা কেটে দুর্বৃত্তরা এই ঘটনা ঘটায়।উত্তম বর্মন কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার হরমন চন্দ্র বর্মনের ছেলে। তিনি ও তার স্ত্রী ঘটনাস্থল দুলাল সাহার বাড়ি কেয়ারটেকার ছিলেন। উত্তম বর্মন স্থানীয় মাছের আড়তে শ্রমিকের কাজ করতেন এবং তার স্ত্রী কাজলী রানী মানুষের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এসব তথ্য জানিয়ে উত্তম বর্মনের মেয়ে রিনা রানী বর্মন বলেন, তারা দুই বোন। তার বিয়ে হয়েছে মতলবে। সকালে এই ঘটনার সংবাদ পেয়ে তিনি এসেছেন। তাদের বাড়ি লাকসাম হলেও দীর্ঘদিন হাজীগঞ্জে বসবাস করে আসছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা সবিতা সাহা জানান, সকালে ফুল তুলতে গিয়ে দেখেন উত্তম বর্মন ও তার স্ত্রী ঘুম থেকে উঠেনি। ডাকার পর সাড়া শব্দ না পেয়ে ভিতরে যাওয়ার চেষ্টা করে। ভেতরে দরজা খোলা দেখে পাশের বাসার লোকজনকে খবর দেন। পরে দেখেন দু’জনের হাত-পা বাঁধা লাশ পড়ে আছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মজিব জানান, এলাকায় চোর-ডাকাতির ঘটনা বেড়ে চলছে। চুরির বা ডাকাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।
এদিকে সংবাদ পেয়ে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজিগঞ্জ সার্কেল) পঙ্কজ কুমার দেবনাথ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)’র ওসি এনামুল হক চৌধুরী, হাজিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসেন।
ওসি তদন্ত নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট কাজ করছে।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক দ্বন্দ্বে স্বামী-স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে। তারা মূলত ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। তাদেরকে হাত পা বেধে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার করে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের খুব সহসাই গ্রেফতার করা হবে। ঘটনাস্থলে পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই তদন্ত করছে।