শাহরাস্তিতে বিড়াল হত্যার ঘটনায় থানায় অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ১৩ আগস্ট, ২০২৩

শাহরাস্তি উপজেলার নিজমেহার দক্ষিন পাড়া মজুমদার বাড়িতে বিড়াল মারার ঘটনা টি ঘটে। এবিষয়ে গৃহস্থ্য মৃত কৃষ্ণ চন্দ্র মজুমদারের পুত্র মন্টু মজুমদার বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগের আলোকে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার মন্টু মজুমদারের বাসা থেকে বিড়ালটি বের হয়। তার কিছুক্ষণ পর মন্টু মজুমদারের স্ত্রী রানু রানী সরকার মারধরের শব্দ শুনে বাসা থেকে বের হয়। তখন তিনি দেখতে পান পাশের বাসার ডাঃ কমলের স্ত্রী সুখলা দে বিড়ালটিকে কাঠের চেলি দিয়ে বেদম প্রহার করে। ঘটনায় বিড়ালটি গুরুতর আহত হয়। শুক্রবার বিকেলে মন্টু মজুমদার থানায় গিয়ে ডাঃ কমল মজুমদারের স্ত্রীর বিরুদ্ধে  অভিযোগ দায়ের করেন। শনিবার সন্ধ্যায় বিড়ালটিকে আবারও থানায় নিয়ে গেলে ডিউটি অফিসারের সামনে বিড়ালটি মারা যায়। এতে মন্টু মজুমদারের কন্যা মল্লিকা মজুমদার (১৪) ও পুত্র অপূর্ব মজুমদার (১১) ভারি কাঁন্নায় ভেঙ্গে পড়ে। তাদের কাঁন্নায় আশপাশের লোকজন ভীড় জমায়।

এব্যাপারে মন্টু মজুমদারের কন্যা মল্লিকা মজুমদার বলেন, বিড়ালটি আমাদের পালিত ছিলো। দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের সাথে বিড়ালটি থাকায় সে আমাদের সব কথা শুনতো। আজ সে আমাদের কাছে নেই। আমরা তার মৃত্যুতে গভীর শোকাহত।

মন্টু মজুমদারের স্ত্রী রানু রানী সরকার বলেন, ডাঃ কমলদের সাথে আমাদের সম্পত্তিগত বিরোধ রয়েছে। কমলের স্ত্রী সুকলা দে সব সময় বাড়িতে আমাদের সাথে বিরোধাচরন করে। আজকে সুযোগ পেয়ে আমাদের বিড়ালটি তার ঘরে আটক করে বেদম মারধর করে। অবশেষ বিড়ালটি মারা যায়। বিড়াল হত্যাকারীর বিচারের দাবি জানান তিনি।

মন্টু মজুমদার জানায়, আমার সন্তানদের কাঁন্নায় আমি নিজেও ভেঙ্গে পড়ি। বিড়ালের ভালোবাসা কোন ভাবে ভুলতে পারছিনা। আমি অপারগ হয়ে আইনের আশ্রয় গ্রহন করেছি। তার সঠিক বিচার হওয়া একান্ত প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

উপস্থিত সকলে বলেন, আমরা পশুর প্রেম বুঝি। যে বা যারা এমন কাজটি করেছেন তার উচিত বিচার হওয়া দরকার। শখের যেকোন জিনিস নষ্ট বা ক্ষতি হলে মানুষ কষ্ট এটাই স্বাভাবিক।

Sharing is caring!

আরও সংবাদ

error: Content is protected !!