সবে মাত্র ৫ ম শ্রেনিতে পড়ে আবু ছায়েদ। বয়স বড় জোর ১০ বছর। নিখোঁজের দিন গত রোববাব ( ২ জুলাই ) দুপুরের পরে বলাখাল রেল ষ্টেশান এলাকায় দেখেছে তার সহপাঠীরা। ইতিমধ্যে সকল আত্বীয়-স্বজনের বাড়ি খোঁজ করা শেষ কিন্তু হদিস মেলেনি ছায়েদের। গত ৫ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে সে। একমাত্র পুত্র আর বড় সন্তানকে হারিয়ে পাগল প্রায় কাঠ মিন্ত্রী বাবা মো: কাউসার গাজী আর গৃহিনী মা নাসরিন বেগমের। তাঁর ছেলে কি সত্যি নিখোঁজ আছে নাকি কোন অনাকাঙ্গিত দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এ নিয়ে নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন এই দম্পত্তি। এ নিয়ে পরের দিন সোমবার (৩ জুলাই ) ছায়েদের বাবা বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় নিখোঁজ ডায়েরী করেছেন যার নং ১৭৬/ তারিখ ৩/৭/২০২৩ খ্রি: ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আবু ছায়েদ হাজীগঞ্জ পৌরসসভাধীন পৌর ২ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বলাখাল বেপারী বাড়ির কাউসার গাজীর একমাত্র পুত্র সন্তান। সে স্থানীয় উচ্চগাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনির শিক্ষার্থী। গত ২ জুলাই ( রোববার ) দুপুরের কিছু আগে খাবার খাওয়া শেষে লাল বার্মিজ জুতা, লুঙ্গি আর লাল একটি গেঞ্জি পড়ে রাস্তার দিকে ঘুরতে বা হাটতে বেরিয়ে যায়। এর পর থেকে এ সংবাদ লিখা পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে শিশুটি।
শিশুটির বাবা কাউসার গাজী কান্না জড়িত জানান, ছেলেটি বাড়িতে ছিলো। তার সাথের কয়েকজন নিখোঁজের দিন দুপুরে বলাখাল রেল ষ্টেশানে দেখেছে বলে জানায়। সেখান থেকে নাকি সে রেলে উঠে চট্টগ্রামের দিকে ভূলে চলে গেছে কিছু বুঝিনা। নিখোঁজের দিনই রাতে আমি লাকসাম পাহাড়তলীসহ কয়েকটি রেল ষ্টেশানে গিয়ে ছেলেটিকে তন্য তন্য করে খুঁজেছি।
ছেলেটি দেখতে ফর্সা,মুখমন্ডল একটু লম্বাটে, পায়ের পাতায় কাটা দাগ রয়েছে। কোন হৃদয়বান ব্যক্তি ছেলেটির দেখা পেলে ০১৮২২-৮৫৪৭৭৮ (বাবা) ও ০১৮৩০-০১৮৩১৮ (দাদী) এই নাম্বারে জানানো জন্য অনুরোধ করেছেন ছেলেটির বাবা।
নিখোঁজ ছেলেটি উদ্ধারে অগ্রগতি কি জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা ও হাজীগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক মেসবাহুল আলম চৌধুরী জানান, শিশুটিকে উদ্ধারের বিষয়ে বিভিন্ন থানায় ম্যাসেজ দেয়াসহ কাজ চলমান রয়েছেন।