• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭ মার্চ, ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট : ৭ মার্চ, ২০২৩

বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি ছিল বাঙালির স্বাধীনতা অর্জনের শপথ: মেজর রফিক

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

হাজীগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালিত হয়েছে। দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় উপজেলা চত্ত্বরে অবস্থিত মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব চত্ত্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে টেলিকনফারেন্সর মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের সংসদ সদস্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ ই মার্চের জাতির জনক ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণটি ছিল বাঙালির স্বাধীনতা অর্জনের শপথ, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা ও সাড়ে ৭ কোটি বাঙ্গালির শপথ।’

বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তার ভাষণটি আমাদের সঙ্গে ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি ৭ মার্চের এই ভাষণের মাধ্যমেই জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।’

‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ও আকাশ বাণীসহ অন্যান্য রেডিওতে এই ভাষণটি যখন প্রচারিত হতো তখন এটি মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যেতো,’

মহান মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল এবং বহুল প্রত্যাশিত স্বাধীনতার জন্য সম্মিলিতভাবে লড়াইয়ে জাতিকে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য প্রস্তুত করেছিল। কারণ, এই ভাষণে স্বাধীনতা লাভের জন্য সব ধরণের নির্দেশ এবং দিকনির্দেশনা ছিল। একটি মাত্র বক্তব্যে এই মহামানব সমগ্র জাতিকে একটি ছাতার নিচে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছিলেন এবং একটি বাস্তব সার্বভৌম নেতা হিসেবে ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায় নির্বিশেষে সকলের হৃদয় জয় করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

তিনি বলেন, এই ভাষণের তাৎপর্য বিজয় অর্জনের মাধ্যমেই শেষ হয়ে যায়নি, বরং মুক্তিযুদ্ধের এই ভাষণ সারা বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক মানুষ ও স্বাধীনতাকামীদের অনুপ্রাণিত করে আসছে। আগামী দিনেও এই ভাষণের প্রাসঙ্গিকতা তাৎপর্য একইভাবে কার্যকর থাকবে।

মহা মুক্তিযুদ্ধে বীরউত্তম খেতাব প্রাপ্ত ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর রফিক বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে নতুন প্রজন্মের কাছে উপস্থাপনের জন্য ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে কাজ শুরু করেন।

তিনি বলেন, তার উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ২০০৪ সাল থেকে এই ভাষণের ওপর সেমিনারের আয়োজন করে আসছে, যা, সাধারণ মানুষ এবং নতুন প্রজন্মর কাছে এই ভাষণকে ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনার উদ্যোগে ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন এবং প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাস ‘দি হিস্টোরিক সেভেন্থ মার্চ স্পিচ অব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান: এ ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ শীর্ষক একটি পুস্তক জাতিসংঘের ৬টি দাপ্তরিক ভাষা আরবি, চীনা, ইংরেজি, ফরাসি, রুশ ও স্প্যানিশে প্রকাশ করে। প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ জ্যাকব এফ ফিল্ডের বিশ্ববিখ্যাত বক্তৃতা সংগ্রহ গ্রন্থ, ‘উই শ্যাল ফাইট অন দ্য বিচেস: দ্য স্পিচেস দ্যাট ইন্সপায়ারড হিস্ট্রি’তেও বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ অন্যতম হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

ভারপ্রাপ্ত হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি মেহেদী হাসান মানিকের সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী জাকির হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রখেন অফিসার ইনচার্জ জোবাইর সৈয়দ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক মুরাদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মির্জা শিউলী পারভিন মিলি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুল ইসলাম, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা কামাল।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

error: Content is protected !!