হাজীগঞ্জের গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মান কাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার সকালে স্থানীয় ও এলাকাবাসী বিষয়টি সংবাদকর্মীদের অবহিত করেন। তবে বিষয়টি রাজমিস্ত্রীর ভুল এবং তা সমাধান হয়েছে বলে জানান, উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তার কার্যালয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিদ্যালয় ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মান কাজের সিডিউল অনুযায়ী ১৮টি পিলারে ২৩/১৫ সাইজে করার কথা থাকলেও পিলারগুলো ২০/১২ নির্মাণ করা হচ্ছে। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় ও এলাকাবাসী নির্মাণ কাজে বাধা দেন।
এরপর বিষয়টি তারা সংসদ সদস্য, চাঁদপুর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী, উপজেলা প্রকৌশলী, উপজেলা শিক্ষা (প্রাথমিক) কর্মকর্তাসহ স্থানীয় সংবাদকর্মীদের অবহিত করেন বলে তারা জানান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা এবং তা সমাধানের নির্দেশনা প্রদান করেন।
উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের প্রতিটি পিলারে রড কাভারিং তিন ইঞ্চির স্থলে রাজমিস্ত্রী ভুলবশত দেড় ইঞ্চি করে ঢালাই দিয়েছেন। বিষয়টি জানতে পেরে, এখন নতুন করে আরো তিন ইঞ্চি ঢালাই দিয়ে মোট সাড়ে চার ইঞ্চি রড কাভারিং দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ঠিকাদার মোহাম্মদ হাবিব জানান, আমি ওই ইউনিয়নের সন্তান এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলাম। তাই কাজটি ভালোভাবে করার চেষ্টা করছি। কিন্তু আমি যে কাজটি পেয়েছি, তা অনেকের পছন্দ হয়নি। কারণ, তারা আমার কাছ থেকে চাঁদা চাইতে পারবেনা। এই কারণে আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করছে।
এ সময় তিনি উল্টো অভিযোগ করে বলেন, আমার রাজমিস্ত্রী ও লেবাদের (শ্রমিক) হত্যার হুমকি দিয়েছে ওখানকার লোকজন। এই ভয়ে রাজমিস্ত্রীসহ ২০ জন লেবার কাজের স্থল থেকে চলে গেছে। তারা ওখানে আর কাজ করবেনা। এতে আমি লেবার সংকটে পড়েছি এবং অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আবু ছাদেক জানান, পিলার যেভাবে করার কথা সেভাবে করা হয়নি। পরে এলাকাবাসীর বাধার মুখে এখন ঠিক করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে চাপের মুখে আছেন বলে জানান, বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. মাসুদুজ্জামান। তাই তিনি বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
উপজেলা শিক্ষা (প্রাথমিক) কর্মকর্তা মো. আবু সাইদ চৌধুরী জানান, অনিয়মের বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা প্রকৌশলীকে অবহিত করেছি। ওই কাজ এখন ঠিকভাবে করা হচ্ছে বলে জানতে পেরেছি।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. রেজওয়ানুর রহমান জানান, রাজমিস্ত্রী ভুলবশত পিলারের রড কাভারিংয়ে দেড় ইঞ্চি ঢালাই কম দিয়েছে। তাই এখন আবারো নতুন করে তিন ইঞ্চি ঢালাই দেওয়া হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এতে টেকনিক্যাল কোন সমস্যা হবে না।