“হাজীগঞ্জ বাজারকে যানজট মুক্ত করতে বাইপাস সড়কের জরিপ কাজ চলতি বছরে শুরু হবে”

  • আপডেট: ০৯:৩৮:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২
  • ২৪

শাহরাস্তি প্রতিনিধি॥
চাঁদপুরে কর্মরত সিনিয়র সাংবাদিকদের সাথে চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের সার্বিক উন্নয়ণ কর্মকাণ্ড নিয়ে মতবিনিময় করেছেন মহান মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম।

রোববার বিকেলে শাহরাস্তি পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক হাজী আবদুল লতিফের বাসায় এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম বলেন, দীর্ঘ প্রায় দুই ঘণ্টার এই মতবিনিময় সভায় মহান মুক্তিযুদ্ধের এই বীর সেনানী ১৯৯৬ সাল থেকে চার মেয়াদে তাঁর নির্বাচনী এলাকা হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তির ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সংপ্তি চিত্র তুলে ধরেন। একই সাথে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও উত্তর দেন।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি। আমাদের ল্য তখন একটাই ছিল- মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করা, স্বাধীন করা। মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা এবং দেশপ্রেম ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা। তখন যেমন কোনো কিছু পাওয়ার জন্য, কোনো কিছু হওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করি নি, এখনো যে দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছি, তা কোনো বিনিময় পাওয়ার জন্য নয়। দেশপ্রেম এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। যে চিন্তা-চেতনা থেকে মুক্তিযুদ্ধ করেছি, একই চিন্তা-চেতনা চেতনায় এলাকার উন্নয়ন করে যাচ্ছি। আর এই উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করতে গিয়ে কখনো দলীয় দৃষ্টিকোণে দেখি নি। এলাকার আপামর জনসাধারণের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছি।

মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম বলেন, ১৯৯৫ সাল থেকে প্রায় ২৭ বছর ধরে আমি আমার এলাকার জনগণের সাথে রয়েছি। এলাকার জনগণের কল্যাণে রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছি। আমি চাই সবাই শান্তিতে বসবাস করুক। আমার বিশ্বাস আমার নির্বাচনী এলাকায় এ পরিবেশটা বজায় রাখতে পেরেছি। আমার নির্বাচনী এলাকায় কোনো রাজনৈতিক হানাহানি নেই।

তিনি বলেন, আমি যখন প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হই, তখন দু’উপজেলায় মাত্র ৬ কিলোমিটার রাস্তা পাকা ছিলো। আর বর্তমানে সাড়ে ৬’শ কিলোমিটার রাস্তা পাকা হয়েছে। ডাকাতিয়া নদীর উপর হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি অংশে ৭টি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে, আরও দুটি ব্রিজের কাজ চলমান রয়েছে। সাড়ে ৭’শ থেকে ৮’শ শিা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ১৯৯৬ সালে এ এলাকার মাত্র ১৫ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ পেয়েছে। আর এখন শতভাগ বিদ্যুতের আওতায়। এছাড়াও ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রধান সড়ক নির্মাণ, ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে ওয়াকওয়ে, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, পৌরসভার উন্নয়নসহ অসংখ্য উন্নয়ন হয়েছে। ডাকাতিয়া নদী ড্রেজিং চলছে। এর ফলে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে, মাছের অবাধ বিচরণ ঘটবে, পরিস্কার পানি পাওয়া যাবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, চাঁদপুর আধুনিক নৌ বন্দরের টেন্ডার প্রক্রিয়া আগামী মাসের মধ্যেই শেষ হবে। এছাড়াও যানজট নিরসনে হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তিতে বাইপাস সড়ক নির্মাণের আবেদন প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেয়া হয়েছে, অচিরেই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি তাঁর বক্তব্যে বার বার বলেন, আমার হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি সংসদীয় এলাকায় অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এবার সম-উন্নয়ন ও মানব সম্পদ উন্নয়নে জোর দেবো। দেশের যে পাঁচটি সংসদীয় এলাকাকে পরীামূলকভাবে সম-উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে, তার মধ্যে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি রয়েছে।

হাজীগঞ্জ বাজারের যানজট প্রশ্নে মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম বলেন, হাজীগঞ্জ বাজারের যানজট নিরসনে ২০১৮ সালে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি লিখেছিলাম। সেই চিঠির কপি সাংবাদিকদের মাঝে বিতরণ করে তিনি বলেন, আমি চেয়েছিলাম হাজীগঞ্জ বাজারে একটি ফাইওভার করা হবে। ওই চিঠির আলোকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে পরিদর্শন শেষে জানানো হয়, এখানে ফাইওভার করা সম্ভব নয়। এর পরই নতুন করে বাইপাস সড়ক নির্মাণের জন্য কাজ শুরু করা হয়। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরেই বাইপাস সড়ক করার জন্য জমিনের ম্যাপ করা হবে একই সাথে জমি অধিগ্রহণের কাজ করবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

শাহরাস্তি পৌরসভার মেয়র হাজী আঃ লতিফ মিয়ার বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অত্যন্ত প্রাণবন্ত এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ এ মতবিনিময় সভায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশপ্রেম আমাকে কাজ করতে অনুপ্রেরণা যোগায়। আমি আমার এলাকার জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করছি।

তিনি জানান, আমার মেয়াদে দুই উপজেলায় প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার কাজ হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে কাঁচা রাস্তাগুলো পাকা হবে বলে তিনি জানান।

এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন রশীদ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসরিন জাহান চৌধুরী শেফালী, পৌর মেয়র হাজী আঃ লতিফ, বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আমজাদ হোসেন, চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শামসুদ্দোহা, চাঁদপুর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত, শহীদ পাটোয়ারী, শরীফ চৌধুরী, ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, সিনিয়র সহ-সভাপতি রহিম বাদশা, সহ-সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলম পলাশ, একাত্তর কণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক জিয়াউর রহমান বেলাল, সময় টিভির স্টাফ রিপোর্টার ফারুক আহাম্মদ, ইল্শেপাড়ের প্রধান সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমন, সুদীপ্ত চাঁদপুরের ভারপ্রাপ্ত সম্পদাক এমআর ইসলাম বাবু, একাত্তর কণ্ঠের সাংবাদিক মাসুদ হাসান, শাহরাস্তি প্রেসকাবের সভাপতি কাজী হুমায়ুন কবির, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মোঃ আবুল কালাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল ইসলাম কাজল, হাজীগঞ্জ প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন আজাদ প্রমুখ।

এছাড়া শাহরাস্তি উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ মোস্তফা কামাল মজুমদার, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মঞ্জরুল আহসান জুয়েল’সহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেয়া হবে না-রিজভী

“হাজীগঞ্জ বাজারকে যানজট মুক্ত করতে বাইপাস সড়কের জরিপ কাজ চলতি বছরে শুরু হবে”

আপডেট: ০৯:৩৮:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২

শাহরাস্তি প্রতিনিধি॥
চাঁদপুরে কর্মরত সিনিয়র সাংবাদিকদের সাথে চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের সার্বিক উন্নয়ণ কর্মকাণ্ড নিয়ে মতবিনিময় করেছেন মহান মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম।

রোববার বিকেলে শাহরাস্তি পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক হাজী আবদুল লতিফের বাসায় এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম বলেন, দীর্ঘ প্রায় দুই ঘণ্টার এই মতবিনিময় সভায় মহান মুক্তিযুদ্ধের এই বীর সেনানী ১৯৯৬ সাল থেকে চার মেয়াদে তাঁর নির্বাচনী এলাকা হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তির ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সংপ্তি চিত্র তুলে ধরেন। একই সাথে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও উত্তর দেন।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি। আমাদের ল্য তখন একটাই ছিল- মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করা, স্বাধীন করা। মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা এবং দেশপ্রেম ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা। তখন যেমন কোনো কিছু পাওয়ার জন্য, কোনো কিছু হওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করি নি, এখনো যে দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছি, তা কোনো বিনিময় পাওয়ার জন্য নয়। দেশপ্রেম এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। যে চিন্তা-চেতনা থেকে মুক্তিযুদ্ধ করেছি, একই চিন্তা-চেতনা চেতনায় এলাকার উন্নয়ন করে যাচ্ছি। আর এই উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করতে গিয়ে কখনো দলীয় দৃষ্টিকোণে দেখি নি। এলাকার আপামর জনসাধারণের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছি।

মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম বলেন, ১৯৯৫ সাল থেকে প্রায় ২৭ বছর ধরে আমি আমার এলাকার জনগণের সাথে রয়েছি। এলাকার জনগণের কল্যাণে রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছি। আমি চাই সবাই শান্তিতে বসবাস করুক। আমার বিশ্বাস আমার নির্বাচনী এলাকায় এ পরিবেশটা বজায় রাখতে পেরেছি। আমার নির্বাচনী এলাকায় কোনো রাজনৈতিক হানাহানি নেই।

তিনি বলেন, আমি যখন প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হই, তখন দু’উপজেলায় মাত্র ৬ কিলোমিটার রাস্তা পাকা ছিলো। আর বর্তমানে সাড়ে ৬’শ কিলোমিটার রাস্তা পাকা হয়েছে। ডাকাতিয়া নদীর উপর হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি অংশে ৭টি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে, আরও দুটি ব্রিজের কাজ চলমান রয়েছে। সাড়ে ৭’শ থেকে ৮’শ শিা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ১৯৯৬ সালে এ এলাকার মাত্র ১৫ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ পেয়েছে। আর এখন শতভাগ বিদ্যুতের আওতায়। এছাড়াও ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রধান সড়ক নির্মাণ, ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে ওয়াকওয়ে, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, পৌরসভার উন্নয়নসহ অসংখ্য উন্নয়ন হয়েছে। ডাকাতিয়া নদী ড্রেজিং চলছে। এর ফলে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে, মাছের অবাধ বিচরণ ঘটবে, পরিস্কার পানি পাওয়া যাবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, চাঁদপুর আধুনিক নৌ বন্দরের টেন্ডার প্রক্রিয়া আগামী মাসের মধ্যেই শেষ হবে। এছাড়াও যানজট নিরসনে হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তিতে বাইপাস সড়ক নির্মাণের আবেদন প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেয়া হয়েছে, অচিরেই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি তাঁর বক্তব্যে বার বার বলেন, আমার হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি সংসদীয় এলাকায় অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এবার সম-উন্নয়ন ও মানব সম্পদ উন্নয়নে জোর দেবো। দেশের যে পাঁচটি সংসদীয় এলাকাকে পরীামূলকভাবে সম-উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে, তার মধ্যে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি রয়েছে।

হাজীগঞ্জ বাজারের যানজট প্রশ্নে মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম বলেন, হাজীগঞ্জ বাজারের যানজট নিরসনে ২০১৮ সালে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি লিখেছিলাম। সেই চিঠির কপি সাংবাদিকদের মাঝে বিতরণ করে তিনি বলেন, আমি চেয়েছিলাম হাজীগঞ্জ বাজারে একটি ফাইওভার করা হবে। ওই চিঠির আলোকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে পরিদর্শন শেষে জানানো হয়, এখানে ফাইওভার করা সম্ভব নয়। এর পরই নতুন করে বাইপাস সড়ক নির্মাণের জন্য কাজ শুরু করা হয়। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরেই বাইপাস সড়ক করার জন্য জমিনের ম্যাপ করা হবে একই সাথে জমি অধিগ্রহণের কাজ করবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

শাহরাস্তি পৌরসভার মেয়র হাজী আঃ লতিফ মিয়ার বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অত্যন্ত প্রাণবন্ত এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ এ মতবিনিময় সভায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশপ্রেম আমাকে কাজ করতে অনুপ্রেরণা যোগায়। আমি আমার এলাকার জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করছি।

তিনি জানান, আমার মেয়াদে দুই উপজেলায় প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার কাজ হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে কাঁচা রাস্তাগুলো পাকা হবে বলে তিনি জানান।

এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন রশীদ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসরিন জাহান চৌধুরী শেফালী, পৌর মেয়র হাজী আঃ লতিফ, বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আমজাদ হোসেন, চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শামসুদ্দোহা, চাঁদপুর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত, শহীদ পাটোয়ারী, শরীফ চৌধুরী, ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, সিনিয়র সহ-সভাপতি রহিম বাদশা, সহ-সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলম পলাশ, একাত্তর কণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক জিয়াউর রহমান বেলাল, সময় টিভির স্টাফ রিপোর্টার ফারুক আহাম্মদ, ইল্শেপাড়ের প্রধান সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমন, সুদীপ্ত চাঁদপুরের ভারপ্রাপ্ত সম্পদাক এমআর ইসলাম বাবু, একাত্তর কণ্ঠের সাংবাদিক মাসুদ হাসান, শাহরাস্তি প্রেসকাবের সভাপতি কাজী হুমায়ুন কবির, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মোঃ আবুল কালাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল ইসলাম কাজল, হাজীগঞ্জ প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন আজাদ প্রমুখ।

এছাড়া শাহরাস্তি উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ মোস্তফা কামাল মজুমদার, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মঞ্জরুল আহসান জুয়েল’সহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।