কচুয়া প্রতিনিধি ॥
কচুয়া উপজেলার তেতৈয়া আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শ্রেনী কক্ষের পাঠদানের পরিবর্তে রমরমা কোচিং বানিজ্য চলছে। বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ওমর ফারুক বি.এসসিসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক রমরমা কোচিং বানিজ্যের সাথে সম্পৃক্ত।
সোমবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় তেতৈয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্মুখের একটি ভবনে কোচিং সেন্টার খুলে সহকারি শিক্ষক ওমর ফারুক বি.এসসি র্দীঘদিন যাবৎ বিভিন্ন ক্লাসের শিক্ষার্থীদের অর্থের বিনিময়ে পাঠদান করে আসছে।অভিভাবকগন জানান শ্রেণি কক্ষে ঠিকমত পাঠদান না দিয়ে শিক্ষার্থীদের কোচিং এর জন্য বাধ্য করেছে। কোচিং সেন্টারে কোনো শিক্ষার্থী পড়তে অপারগতা প্রকাশ করলে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন পরীক্ষায় ঠিকমত নাম্বার না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া যেসব শিক্ষার্থী ওমরু ফরুকের কাছে কোচিং বা প্রাইভেট পড়ে, পরীক্ষার আগে তাদেরকে প্রশ্নপত্র দিয়ে দেয় হয়। প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয় কিছু লোকজনকে ম্যানেজ করে শিক্ষক ওমর ফারুক কোচিং সেন্টার খুলে অর্থের বিনিময়ে প্রাইভেট পড়ানোর বা রমরমা কোচিং বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।এতে করে মেধ শুন্য হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীগন।
কোচিং বা পাইভেট পড়ারানোর বিষয়ে ওমর ফারুককে জিজ্ঞাস করলে সে সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে।
এব্যাপারে বিদ্যালয়ে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো.জসিম উদ্দিন মোল্লা বলেন,বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকগন কোচিং বা পাইভেট পড়ার কোনো সুযোগ নেই। যেসব শিক্ষক প্রাইভেট পড়ায় পরিচালনা পর্ষর্দের পরবর্তী সভায় এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোতাছেম বিল্যাহ বলেন,বিদ্যালয়ে কোন শিক্ষক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরকে পাইভেট পড়াতে পারবেনা। যদি কোন শিক্ষক ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়িয়ে থাকে তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।