নিজস্ব প্রতিনিধি:
প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে চাঁদপুরে ৭৫২ গৃহহীন ও ভুমিহীন পরিবার পাচ্ছে ভূমিসহ ঘর। মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রাধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ৩য় পর্যায়ে এসব গৃহহীন ও ভুমিহীন পরিবার ঘর পাচ্ছে।
২৬ এপ্রিল সারা দেশে একযোগে ঘর প্রদান উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় ও প্রেস ব্রিফিং করেছেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।
রোববার (২৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এই মতবিনিময় ও প্রেস ব্রিফি এর আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রাধানমন্ত্রীর ভূমিসহ ঘর কার্যক্রমের প্রেজেনটেশন উপস্থাপন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ। এতে জানানো হয়, তৃতীয় পর্যায়ে উপজেলা ভিত্তিক একক গৃহ নির্মাণ হয়েছে ১২৩টি। এর মধ্যে চাঁদপুর সদরে ২২টি, কচুয়া ২০টি, ফরিদগঞ্জ ৫টি, হাজীগঞ্জ ৩৪টি, শাহরাস্তি ২৩টি, মতলব দক্ষিণে ১৯টি। এছাড়া হাইমচর উপজেলায় ৬২৯টি পরিবারকে ভূমিসহ ঘর প্রদান করা হবে।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ তার বক্তব্যে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি সবসময় এদেশের মানু্ষের কথা চিন্তা করেন। তিনি স্বপ্ন দেখেন এদেশের প্রতিটা মানুষের একটি স্থায়ী ঠিকানা হবে। সেই স্বপ্ন থেকেই তিনি মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে এদেশের ভূমিহীনদের ভূমি এবং গৃহহীনদের ঘর দেয়ার প্রকল্প হাতে নিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে ১ম এবং দ্বিতীয় ধাপের পর এবার ৩য় ধাপে ভূমিসহ ঘর দেয়া হবে। এবারের ঘরগুলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার। আগে ঈদের আগে চাল-ডাল, ঈদবস্ত্র দেয়া হতো। এবারে আমাদের প্রধানমন্ত্রী অসহায়দের ভূমিসহ ঘর দিবেন। এতে করে গৃহহীনদের মুখে হাসি ফুটবে।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চাঁদপুরে যারা ঘর পাচ্ছে তাদের নাম ২ বছর আগেই যাচাই-বাছাই করে প্রস্তুত করা হয়েছে। শাহরাস্তি ও হাজীগঞ্জের ঘরগুলো প্রস্তুত হয়নি। কারণ সেখানে যে জমিগুলো পাওয়া গেছে তা অত্যন্ত নিচু। সরকারের পক্ষ থেকে নিচু জমিতে ঘর না করতে বলা হয়েছে ।
তিনি আরো বলেন, এবারে আমরা একক ঘরগুলো লোকালয়ে করছি। এতে করে সুবিধাভোগীরা সহজে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে। কারণ চর এলাকায় ঘর করলে সেখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকে না। সেখানে আলাদা শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার, পুকুর, মসজিদ দরকার। প্রতিটি ঘর ৩৯৫ বর্গফুটের দুইকক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা। প্রতি ঘরে থাকছে একটি করে টয়লেট, রান্না ঘর ও ইউলিটি স্পেস থাকছে।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন, সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া জীবন, শরীফ চৌধুরী, ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল রুশদী, চাঁদপুর টেলিভিশন সংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক কাদের পলাশ ও চাঁদপুর ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি এমএ লতিফ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দাউদ হোসেন চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোসাম্মৎ রাশেদা আক্তার, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত ও জালাল চৌধুরী প্রমুখ।