• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১ এপ্রিল, ২০২২
সর্বশেষ আপডেট : ১ এপ্রিল, ২০২২

ঈদের পরে মেঘনার বালু সন্ত্রাসীরা জেলে যাবেঃ জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন এর চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

নিজিস্ব প্রতিনিধি ॥

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন এর চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, জেলা প্রশাসক আমাকে দেখিয়েছেন মেঘনায় নৌ যুদ্ধ হচ্ছে। এত ড্রেজার এত বাল্কহেড বালু উত্তোলন করছে। বালু সন্ত্রাসীরা মেঘনার বুক চিরে চিরে খেয়েছে। চাঁদপুরের প্রশাসনের তাদেরকে বিতাড়িত করেছে। এখন তারা কোথায়? তারা মামলার হুমকি দেয়। বালু সন্ত্রাসীদের উদ্দেশ্যে আমি বলে যাচ্ছি, ঈদের পরে বালু সন্ত্রাসীরা সম্ভবত জেলে যাবে। তাদের কাছে চয়েজ থাকবে কেরানিগঞ্জ এবং কাশিমপুর। তাদেরকে আবার মেঘনার বুক চিরে বালু উত্তোলন করতে দেয়া হবে না। তারা যদি আবার আসে, আমরাও আবার আসব। সুতরাং তারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড এবং চুরি চামারি অন্য জায়গায় করুক।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) বিকেলে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা নদী রক্ষা কমিটির বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মেঘনার বুকে আর বালু উত্তোলন করতে পারবে না। কারণ মেঘনার এই এলাকার আমাদের জাতীয় সম্পদ ইলিশের অভয়াশ্রম। শুধুমাত্র ইলিশ নয়, অন্যান্য অনেক মাছের বিচরণ ক্ষেত্র এই স্থানে। মৎস্য বিভাগের বিজ্ঞানিরা বার বার তাদেরকে বুঝিয়ে বলেছে। আর কত বোঝাবে। কারণ বালুর উপরে যে খাবার থাকে তা না থাকায় মাছগুলো ৩০-৩৭% বালু খাচ্ছে। বালু খেয়ে কোন মাছ বড় হতে পারে না। সে জন্য আজকে ইলিশের সাইজ ছোট হয়ে যাচ্ছে। জাটকা সাইজের ইলিশের মধ্যে এখন ডিম পাওয়া যাচ্ছে। বালু উত্তোলনের কারণে সমস্যা হচ্ছে তা এখন স্পষ্ট।

মনজুর আহমেদ চৌধুরী টেলিভিশন সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের বুম নিয়ে ঘুরার কোন রাইট নাই। ওগুলো ছুড়ে পেলে দেন। অন্য চাকরী করেন। সাংবাদিকতা করতে হলে সাহসী হতে হবে। এই কথাটা ন্যাশনাল কোন টেলিভিশনে আসে নাই। এই আমি কথাগুলো বলছি, এটাও আসবে না। কোন একটি ন্যাশনাল টেলিভিশন এখানে আসে নাই। কিন্তু আমি ন্যাশনাল টেলিভিশনে যাই। আমি প্রত্যেকের বিষয়গুলো উন্মোচন করব। এখানে কি তারা ভয়ে আসেন নাই, নাকি টাকার বিনিময়ে আসেন নাই। দৈনিক দক্ষিণা পেয়ে আপনারা সাংবাদিকতা করবেন, এটা সাংবাদিকতা না। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হচ্ছে সাংবাদিকতা। তিনটি স্তম্ভ হচ্ছে নির্বাহী, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগ এবং সংবাদপত্রকে বলা হয় চতুর্থ স্তম্ভ। চাঁদপুরে সেই চার পায়ের এক পায় খোড়া হয়েগেছে। আমি সেই কথাটিই বলতে চাই।

তিনি বলেন, আজকে এই সভায় যে ক’জন সাংবাদিক এসেছেন তারা সাহস করে এসেছেন। তাদেরকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই। কারণ তারা এই সংবাদ কভার করতে পেরেছেন।

জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ এর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, নদী রক্ষা কমিশনের উপ-পরিচালক মো. কবির, মো. আখতারুজ্জামান, প্রোগ্রামার মো. খালেকুজ্জামান, পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার), নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কামরুজ্জামান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের সাবেক মহাপরিচালক খান হাবিবুর রহমান।

সভায় নদী রক্ষ কমিটির সদস্য ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • চাঁদপুর সদর এর আরও খবর
error: Content is protected !!