অনলাইন ডেস্কঃ
নারী বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশের মেয়েরা। নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপে তৃতীয় ম্যাচে এসে অধরা জয়ের দেখা পেল নিগার সুলতানার দল। পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ জয় ৯ রানে। যেটা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর সেরা উপহার।
পাকিস্তান যেন নিগারদের ‘প্রিয়’ প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ এই দলকেই বাছাইপর্বে হারিয়ে মূল পর্বের টিকিট নিশ্চিত হয়েছিল। এবার তাদের বিপক্ষেই এল ইতিহাস গড়া জয়। মিল আছে আরেক জায়গাতেও। ১৯৯৯ সালে ছেলেদের প্রথম বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ইতিহাস গড়েছিল এই পাকিস্তানকে হারিয়ে। মেয়েদেরও তা-ই ৷
সম্পর্কিত খবর
ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দেওয়া ২৩৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শেষ ৩ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার ছিল ২৫ রান। বাংলাদেশের দরকার ২ উইকেটে।
কিন্তু ২০ রান বাকি থাকতে রিতু মুনির থ্রোয়ে সিদরা আমিন রান আউটে কাটা পড়লে পাকিস্তানের জয়ের আশা সেখানেই শেষ হয়ে যায়। ইনিংসের শুরু থেকে দলকে এত দূর টেনে আনেন এই পাকিস্তান ওপেনার। ১০৪ রানে তিনি ফিরলে তাই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে পাকিস্তান। তবু পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে যায় শেষ ওভারে।
৬ বলে তখন পাকিস্তানের দরকার ১৬ রান। শেষ ওভারে বোলিংয়ে আসেন নাহিদা আক্তার। প্রথম ৫ বলে দেন ৬ রান। ইনিংসের শেষ বলের আগে ইতিহাস গড়তে এক কদম দূরে বাংলাদেশ। নাহিদার ইয়র্কার লেংথের বল মিড উইকেটের দিকে ঠেলে ১ রানের বেশি নিতে পারেননি গুলাম ফাতিমা। আর তাতেই ৯ রানের জয়ে ততক্ষণে উল্লাস শুরু করে দেয় সালমা-জাহানারারা।
এর আগে টস হেরে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৩৪ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশের মেয়েরা। যা নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে বাংলাদেশ নারী দলের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭১ রান করেন ফারজানা হক।
অধিনায়ক নিগারের ব্যাট থেকে আসে ৪৬ আর সারমিন আক্তার করেন ৪৪ রান। আর বাংলাদেশের পক্ষে ফাহিমা খাতুন ৩টি ও রুমানা আহমেদ নেন ২ উইকেট।