বিশেষ প্রতিনিধি:
চাঁদপুর পুরানবাজারের শ্রী শ্রী রাম ঠাকুর দোল মন্দির প্রাঙ্গণ মেঘনার তীব্র স্রোতের নদী ভাঙ্গণে বিলিন হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। শুধু তাই নয় সেই সাথে নদীতে তলিয়ে যেতে পারে বিভিন্ন কারখান, বাজার,ম সজিদ সহ শত শত মানুষের বাড়িঘর। স্থানীয়দের দাবী,রাম ঠাকুর দোল মন্দির প্রাঙ্গণ হতে হরিসভা মন্দির এলাকার প্রায় ৪’শ মিটার এলাকা নদীর ঢেউয়ের আঘাতে হুমকির মুখে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার(৪ঠা জুন) সরজমিনে পুরানবাজারে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়,রামঠাকুর দোল মন্দির প্রাঙ্গণ এলাকার বেশ কিছু স্থানের ব্লক দেবে গেছে।ফাঁটল দেখা দিয়ে বেঁড়ি বাধের আশপাশ স্থানে।
স্থানীয়রা জানান, হরিসভার দিকটায় বালু বোজাই জিও ব্যাগ নদীতে সামান্য পরিমানে ফেলা হচ্ছে। তবে রাম ঠাকুর দোল মন্দিরের এদিকটাই এখনো কোন নজরি দেওয়া হয়নি।এতে যেকোন সময় নদীতে তলিয়ে যেতে পারে শতবছরের পুরোনো মন্দির সহ পুরো এলাকা।গৃহহীন হতে পারে স্থানীয় কয়েকহাজার মানুষ। তাই দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নজর প্রয়োজন।
এ ব্যপারে শ্রী শ্রী রাম ঠাকুর দোল মন্দির কমিটির সভাপতি পরেশ মালাকার জানান,শত বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী রাম ঠাকুর মন্দিরটি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই সাথে পুরানবাজার বাতাসাপট্টী এলাকার মেইল, কারখানা,বড় মসজিদসহ কয়েকহাজার মানুষ নদী ভাঙ্গণের দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত। তাই এর পদক্ষেপ নিতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি আপাসহ সংশ্লিষ্টদের সুনজর প্রত্যাশা করছি।
এ ব্যপারে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন বাবর জানান, হরিসভা এলাকায় ধীর গতিতে কিছু বালু বোজাই জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।তবে শহর রক্ষা বাঁধে নেইকোন জোড়ালো পদক্ষেপ।
এদিকে রাম ঠাকুর দোল মন্দির এলাকার নদীর তীব্র ঢেউয়ের আঘাতে ব্লক দেবে গেছে।লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।বড় কোন দূর্ঘটনা হলে এসব এলাকার মানুষজন কোথায় যাবে কিভাবে থাকবে। তাই এখনি এ ব্যপারে সুন্দর পদক্ষেপ নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি আপার সুনজর কামনা করছি।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়,পুরানবাজারের হরিসভা ও রামঠাকুর দোলমন্দির এলাকার প্রায় ৩’শ ৯৫ মিটার জায়গা কে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করা হয়েছে। তাই সাময়িক মেরামতের অংশ হিসেবে ৫ কোটি ২৫ লক্ষ টাকার বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।যারমধ্যে আড়াই’শ কেজি ওজনের প্রায় ৯৪ হাজার বালু ভর্তি জিও ব্যাগ চিহ্নিত স্থানে ফেলার কথা রয়েছে।ইতিমধ্যে প্রায় ৫৩ হাজার বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করার হয়ে গেছে। আর এই মেরামত কাজ চলতি বছরের মার্চের ১ম থেকে কাজ শুরু হলেও শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ৩০শে জুন।অথচ চলমান কাজ গুটি কয়েক লেবার দিয়ে ধীরগতিতে নানা অনিয়মেরসহিত করা হচ্ছে বলেও গুঞ্জন রয়েছে।
এ ব্যপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ বাবুল আখতার জানান, গুনে গুনে বস্তা ফেলা হচ্ছে। সব হিসাব আমাদের কাছে রয়েছে। তাই অনিয়মের সুযোগ নেই। আর করোনা পরিস্থিতির জন্য লেবার সংকটনের জন্য চলমান কাজে ধীর গতি দেখা যাচ্ছে। আমরা পুরানবাজারের রামঠাকুর দোল মন্দির প্রাঙ্গণের দেবে যাওয়া স্থান পরিদর্শন করে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবো।