চাঁদপুরে বিপুল পরিমান নকল হ্যান্ড স্যানেটাইজার ও জীবানুনাশক জব্দ

  • আপডেট: ০৫:১৮:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মে ২০২০
  • ৩৮

শরিফুল ইসলাম:

চাঁদপুর শহরে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমানে নকল জীবানুনাশক ও কেমিক্যাল জব্দ করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। শনিবার দুপুরে শহরের চিত্রলেখা মোড় এলাকায় অবস্থিত নিলুফা ভবনে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নকল হ্যান্ড স্যানেটাইজার ও জীবানুনাশক বিক্রির দায়ে শোয়েব মো. কালিম নামের এক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। ডিবির ওসি রণজিত কুমার এসআই রেজাউল করিমসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন।

পুলিশ জানায়, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে জীবানুনাশক দ্রব্যের সংকট দেখা দিলে নকল হ্যান্ড স্যানেটাইজার, জীবানুনাশক দ্রব্য ও কেমিক্যাল এনে নিজে প্যাকেটিং করে শহরের বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করে আসছিল। খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে তার বাসভবনে অভিযান চালিয়ে সহ¯্রাধিক পরিমান নকল জীবানু নাশক পণ্যসহ শোয়েবকে গ্রেফতার করা হয়। এই সকল নকল পণ্য ঢাকা থেকে নিয়ে আসতো বলে স্বীকার করেছে বলে জানায় পুলিশ।

চাঁদপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রণজিত কুমার বলেন, মহামারী করোনা ভাইরাসের এই কঠিন সময়ে অধিক মুনাফা লাভের আশায় শোয়েব নকল পণ্য বিক্রি করে আসছিল। খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমানে নকল পণ্য জব্দ করা হয়েছে। রুমে তল্লাশী চালিয়ে সার্বনেক্স, স্যাবলক্স, হ্যান্ড হাইজিন, সেভসহ বিভিন্ন নামের নকল জীবানুনাশক পণ্য ও কেমিক্যাল জব্দ করা হয়। যার কোন বিএসটিআই সনদ নেই। ঢাকা থেকে নকল এসব পণ্য এসে নিজ বাসায় এগুলোর মোড়ক লাগানো ও প্যাকেজিং করে বিক্রি করতো। তাছাড়া কেমিক্যাল বিক্রি করার কোন লাইসেন্সও তার কাছে নেই।

তিনি আরো বলেন, করোনার মত এই মহামারীর সময়ে মানুষের সাথে এই ধরনের প্রতারণা অত্যন্ত ঘৃনিত কাজ। এসকল নকল পণ্য ব্যবহার করে মানুষের উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হচ্ছে। ইতমধ্যে শহরের বিভিন্ন দোকানে এসকল নকল পণ্য ছড়িয়ে পড়েছে। আটককৃত ব্যবসায়ীর দেওয়া তথ্যমতে আগামীতে আরো অভিযান চালানো হবে। এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

আটককৃত ব্যবসায়ী শোয়েব বলেন, কিছু দিন আগে থেকে ঢাকার এক ব্যক্তির মাধ্যমে তিনি এই জীবানুনাশক ও হ্যান্ড স্যানেটাইজার আমদানী করেন। তবে আমদানীর কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই পণ্য আসল কিনা তিনি তা জানেন না। এই ধরনের কাজের জন্য তিনি অনুতপ্ত শিকার করেন।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

সমন্বয়ক আর জামায়াতের কারণে ইউনুছ সরকার ব্যর্থ হবে-ইঞ্জি. মমিনুল হক

চাঁদপুরে বিপুল পরিমান নকল হ্যান্ড স্যানেটাইজার ও জীবানুনাশক জব্দ

আপডেট: ০৫:১৮:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মে ২০২০

শরিফুল ইসলাম:

চাঁদপুর শহরে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমানে নকল জীবানুনাশক ও কেমিক্যাল জব্দ করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। শনিবার দুপুরে শহরের চিত্রলেখা মোড় এলাকায় অবস্থিত নিলুফা ভবনে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নকল হ্যান্ড স্যানেটাইজার ও জীবানুনাশক বিক্রির দায়ে শোয়েব মো. কালিম নামের এক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। ডিবির ওসি রণজিত কুমার এসআই রেজাউল করিমসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন।

পুলিশ জানায়, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে জীবানুনাশক দ্রব্যের সংকট দেখা দিলে নকল হ্যান্ড স্যানেটাইজার, জীবানুনাশক দ্রব্য ও কেমিক্যাল এনে নিজে প্যাকেটিং করে শহরের বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করে আসছিল। খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে তার বাসভবনে অভিযান চালিয়ে সহ¯্রাধিক পরিমান নকল জীবানু নাশক পণ্যসহ শোয়েবকে গ্রেফতার করা হয়। এই সকল নকল পণ্য ঢাকা থেকে নিয়ে আসতো বলে স্বীকার করেছে বলে জানায় পুলিশ।

চাঁদপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রণজিত কুমার বলেন, মহামারী করোনা ভাইরাসের এই কঠিন সময়ে অধিক মুনাফা লাভের আশায় শোয়েব নকল পণ্য বিক্রি করে আসছিল। খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমানে নকল পণ্য জব্দ করা হয়েছে। রুমে তল্লাশী চালিয়ে সার্বনেক্স, স্যাবলক্স, হ্যান্ড হাইজিন, সেভসহ বিভিন্ন নামের নকল জীবানুনাশক পণ্য ও কেমিক্যাল জব্দ করা হয়। যার কোন বিএসটিআই সনদ নেই। ঢাকা থেকে নকল এসব পণ্য এসে নিজ বাসায় এগুলোর মোড়ক লাগানো ও প্যাকেজিং করে বিক্রি করতো। তাছাড়া কেমিক্যাল বিক্রি করার কোন লাইসেন্সও তার কাছে নেই।

তিনি আরো বলেন, করোনার মত এই মহামারীর সময়ে মানুষের সাথে এই ধরনের প্রতারণা অত্যন্ত ঘৃনিত কাজ। এসকল নকল পণ্য ব্যবহার করে মানুষের উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হচ্ছে। ইতমধ্যে শহরের বিভিন্ন দোকানে এসকল নকল পণ্য ছড়িয়ে পড়েছে। আটককৃত ব্যবসায়ীর দেওয়া তথ্যমতে আগামীতে আরো অভিযান চালানো হবে। এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

আটককৃত ব্যবসায়ী শোয়েব বলেন, কিছু দিন আগে থেকে ঢাকার এক ব্যক্তির মাধ্যমে তিনি এই জীবানুনাশক ও হ্যান্ড স্যানেটাইজার আমদানী করেন। তবে আমদানীর কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই পণ্য আসল কিনা তিনি তা জানেন না। এই ধরনের কাজের জন্য তিনি অনুতপ্ত শিকার করেন।