অনলাইন ডেস্ক:
কোভিড ১৯-এর উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনকে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) নেয়া হয়েছে। তিনি এখন রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালটি কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য নিবেদিত।
হাসপাতালটির নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ মুনতাসীর মামুনের আইসিইউতে থাকার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রোববার রাতে ভর্তি হওয়ার পরই অধ্যাপক মামুনকে আইসিইউতে নেয়া হয়। তার শারীরিক অবস্থা মোটামুটি স্থিতিশীল আছে। তার হার্টের সমস্যার পাশাপাশি শ্বাসকষ্টও রয়েছে।
তার শারীরিক অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয় জানিয়ে মনিলাল আইচ বলেন, সোমবার দুপুরের মধ্যেই তার করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার ফল আসবে। ৬৯ বছর বয়সী এই অধ্যাপকের শরীরে করোনাভাইরাসের সব লক্ষণ-উপসর্গ বিদ্যমান রয়েছে।
ওই হাসপাতালের করোনাবিষয়ক মুখপাত্র ও সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. মাহবুবুর রহমান কচি জানান, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ১২ তলায় ১২০৭ নম্বর কেবিনে ভর্তি হয়েছেন। তার শরীরে করোনার উপসর্গ রয়েছে। রাত ১টার দিকে তার শরীরের অবস্থা খারাপ হতে থাকে। এর পর তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়।
মো. মাহবুবুর রহমান কচি বলেন, এর আগে বাইরে তার করোনাভাইরাস টেস্ট করানো হয়েছিল। সেখানে রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। তবে আমরা সকালে তার নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করেছি। বিকালের দিকে হয়তো আমরা রিপোর্ট হাতে পাব। তবে তার করোনার সব ধরনের উপসর্গই আছে। পরীক্ষার ফল পেলে বোঝা যাবে।
গত ১৮ এপ্রিল মুনতাসীর মামুনের মা জাহানারা খান কোভিড-১৯ আক্রান্ত হন। তাকে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করতে নিয়ে যান অধ্যাপক মামুন। এর পর তার মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক জানিয়েছেন, অধ্যাপক মামুনের মা জাহানারা খাতুন অনেকটাই সেরে উঠেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহসভাপতি। একাত্তরের গণহত্যা নিয়ে গবেষণা করেছেন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন।
স্বাধীন বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ডাকসুর প্রথম নির্বাচনে সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন মুনতাসীর মামুন। একই সময়ে তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি সংসদের সভাপতি।