কোন পথে হাঁটছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন!

  • আপডেট: ০৪:৩৩:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ মার্চ ২০২০
  • ১৯

বিশেষ প্রতিনিধি:

কোন পথে হাঁটছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বুঝটা বড়ই কঠিন হয়ে উঠছে।  শ্রীলঙ্কা যেখানে জাতীয় নির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করেছে, সেখানে বাংলাদেশের সিটি নির্বাচন সঠিক সময়েই হবে বলে জানান নির্বাচন কমিশন। এ নিয়ে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

চীনের উহান থেকে উৎপত্তি করোনাভাইরাস সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। গোটা বিশ্ব প্রাণঘাতী এই ভাইরাস আতংকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে।

এ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশে তাদের সরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ, শপিং মলসহ জনসমাগম হয় এমন সব স্থান বন্ধ করে দিয়েছে। বাংলাদেশেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সব অনুষ্ঠান, পর্যটন এলাকা বন্ধ করে দিয়েছে।

অথচ সারা বিশ্বের একেবারেই উল্টো স্রোতে হাঁটছে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন। করোনার কারণে শ্রীলঙ্কা তাদের জাতীয় নির্বাচন স্থগিত করেছে। অপরদিকে স্পেনের স্থানীয় নির্বাচন স্থগিত হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন শনিবার ঢাকাসহ সংসদীয় তিন আসনে উপনির্বাচন করতে যাচ্ছে। তিন আসনের মধ্যে ঢাকা-১০ আসনে ভোটগ্রহণ হবে ইভিএমে।

শুধু তাই নয়; করোনা ঝুঁকি থাকায় জনসমাগম এড়িয়ে চলার বিষয়টির তোয়াক্কাই করছে না ইসি। যেখানে করোনা বিস্তার রোধে সারা দেশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেখানে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ঝুঁকির মধ্যেই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনের ভোটগ্র্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। জেলা নির্বাচনী কার্যালয়ে ৬ দিন চলবে এই প্রশিক্ষণ।

দেশে করোনার ঝুঁকির মধ্যে ইসির এমন সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষরা।

সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ইসির বৈঠক থেকে নির্বাচন স্থগিতের কোনা সিদ্ধান্ত আসবে- এমনটাই আশা ছিল সবার। এমনকি নির্বাচন পেছানোর কথা বলেছেন অনেক প্রার্থীও। কিন্তু ইসি বিষয়টি আমলে না নিয়ে তাদের সিদ্ধানেই অনড় থেকে যায়।

বৃহস্পতিবার এক বৈঠক শেষে ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর হোসেন বলেন, করোনাভাইরাসের কোনো প্রভাব ভোটে পড়বে না। এই দিন ভোট করা অসুবিধার চেয়ে সুবিধা বেশি। কমিশন এ ভোটের বিষয়ে সুবিধা-অসুবিধা দুটি বিষয়ই বিবেচনা করেছে। সুবিধা বেশি মনে হয়েছে বলেই ভোটের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব আরও বলেন, ভোটাররা হাত ধুয়ে ভোট দেবেন। ভোট দিয়ে আবার হাত ধোবেন। প্রতি ভোটকেন্দ্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার থাকবে। ভোট দেয়ার আগে-পরে তারা এটা ব্যবহার করবেন। কেউ যদি নিজেকে করোনায় আক্রান্ত বলে মনে করেন, আমাদের পরামর্শ থাকবে, আপনারা ভোট দিতে আসবেন না।

এদিকে ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচন করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়াবে বলে মন্তব্য করেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।

শুক্রবার আইইডিসিআরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ইভিএম সিস্টেম ব্যবহার করলে অবশ্যই ঝুঁকি রয়েছে। ইভিএম সিস্টেম যদি ব্যবহার করা হয়, একই ইভিএম বাটনে বিভিন্ন ব্যক্তি টাচ করলে এটাতে অবশ্যই ঝুঁকি আছে।

এদিকে শুক্রবার নগরীর চারটি ভোটকেন্দ্রে চসিক নির্বাচনের ভোটগ্র্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। ৬ দিনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে জেলা নির্বাচনী কার্যালয়। এগুলো হচ্ছে- কুলগাঁও সিটি কর্পোরেশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সিডিএ পাবলিক স্কুল, খাজা আজমেরি উচ্চ বিদ্যালয় এবং পাহাড়তলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

যদিও সারা দেশে সভা-সমাবেশ না করার জন্য নির্দেশনা রয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে চট্টগ্রামে কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও প্রচারণা সীমিত করতে বলা হয়েছে। বিএনপিসহ বিভিন্ন মহল চসিক নির্বাচন স্থগিতের দাবি জানিয়েছে। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ।

রিটার্নিং অফিসারে কার্যালয় সূত্র জানায়, সকাল ৯টা থেকে চারটি স্কুলে এ প্রশিক্ষণ শুরু হয়। অতিরিক্ত ৫ শতাংশসহ মোট ১৬ হাজার ১৬৩ জন ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ হবে।

প্রশিক্ষণ নিতে আসা একাধিক কর্মকর্তা বলেন, করোনা নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে আছি। এর মধ্যে আবার নির্বাচনী প্রশিক্ষণ। নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহে আছি। তার পরও প্রশিক্ষণ হচ্ছে। এ অবস্থার মধ্যে নির্বাচন করার কোনো মানে হয় না।

সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনির হোসাইন খান জানান, নির্বাচনে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রথম ধাপে প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপে দুই হাজারের বেশি কর্মকর্তা অংশ নিয়েছে। ২৫ তারিখ পর্যন্ত প্রশিক্ষণ চলবে। নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে কমিশন থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি সংক্রান্ত কার্যক্রম চালানো হবে।

এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, দেশে করোনা ঝুঁকির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা ইসির চরম স্বেচ্ছাচারিতা। তারা মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।

তিনি বলেন, একটি গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা বা খুশি করার জন্য নির্বাচনের নামে যা ইচ্ছে তাই করেছে চলেছে নির্বাচন কমিশন। আমাদের নিরব দর্শকের ভূমিকায় থাকা ছাড়া কোনো উপায় নেই।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

অধ্যক্ষ চিন্ময় দাস ইস্যুতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি যা বললো

কোন পথে হাঁটছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন!

আপডেট: ০৪:৩৩:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ মার্চ ২০২০

বিশেষ প্রতিনিধি:

কোন পথে হাঁটছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বুঝটা বড়ই কঠিন হয়ে উঠছে।  শ্রীলঙ্কা যেখানে জাতীয় নির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করেছে, সেখানে বাংলাদেশের সিটি নির্বাচন সঠিক সময়েই হবে বলে জানান নির্বাচন কমিশন। এ নিয়ে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

চীনের উহান থেকে উৎপত্তি করোনাভাইরাস সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। গোটা বিশ্ব প্রাণঘাতী এই ভাইরাস আতংকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে।

এ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশে তাদের সরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ, শপিং মলসহ জনসমাগম হয় এমন সব স্থান বন্ধ করে দিয়েছে। বাংলাদেশেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সব অনুষ্ঠান, পর্যটন এলাকা বন্ধ করে দিয়েছে।

অথচ সারা বিশ্বের একেবারেই উল্টো স্রোতে হাঁটছে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন। করোনার কারণে শ্রীলঙ্কা তাদের জাতীয় নির্বাচন স্থগিত করেছে। অপরদিকে স্পেনের স্থানীয় নির্বাচন স্থগিত হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন শনিবার ঢাকাসহ সংসদীয় তিন আসনে উপনির্বাচন করতে যাচ্ছে। তিন আসনের মধ্যে ঢাকা-১০ আসনে ভোটগ্রহণ হবে ইভিএমে।

শুধু তাই নয়; করোনা ঝুঁকি থাকায় জনসমাগম এড়িয়ে চলার বিষয়টির তোয়াক্কাই করছে না ইসি। যেখানে করোনা বিস্তার রোধে সারা দেশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেখানে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ঝুঁকির মধ্যেই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনের ভোটগ্র্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। জেলা নির্বাচনী কার্যালয়ে ৬ দিন চলবে এই প্রশিক্ষণ।

দেশে করোনার ঝুঁকির মধ্যে ইসির এমন সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষরা।

সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ইসির বৈঠক থেকে নির্বাচন স্থগিতের কোনা সিদ্ধান্ত আসবে- এমনটাই আশা ছিল সবার। এমনকি নির্বাচন পেছানোর কথা বলেছেন অনেক প্রার্থীও। কিন্তু ইসি বিষয়টি আমলে না নিয়ে তাদের সিদ্ধানেই অনড় থেকে যায়।

বৃহস্পতিবার এক বৈঠক শেষে ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর হোসেন বলেন, করোনাভাইরাসের কোনো প্রভাব ভোটে পড়বে না। এই দিন ভোট করা অসুবিধার চেয়ে সুবিধা বেশি। কমিশন এ ভোটের বিষয়ে সুবিধা-অসুবিধা দুটি বিষয়ই বিবেচনা করেছে। সুবিধা বেশি মনে হয়েছে বলেই ভোটের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব আরও বলেন, ভোটাররা হাত ধুয়ে ভোট দেবেন। ভোট দিয়ে আবার হাত ধোবেন। প্রতি ভোটকেন্দ্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার থাকবে। ভোট দেয়ার আগে-পরে তারা এটা ব্যবহার করবেন। কেউ যদি নিজেকে করোনায় আক্রান্ত বলে মনে করেন, আমাদের পরামর্শ থাকবে, আপনারা ভোট দিতে আসবেন না।

এদিকে ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচন করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়াবে বলে মন্তব্য করেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।

শুক্রবার আইইডিসিআরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ইভিএম সিস্টেম ব্যবহার করলে অবশ্যই ঝুঁকি রয়েছে। ইভিএম সিস্টেম যদি ব্যবহার করা হয়, একই ইভিএম বাটনে বিভিন্ন ব্যক্তি টাচ করলে এটাতে অবশ্যই ঝুঁকি আছে।

এদিকে শুক্রবার নগরীর চারটি ভোটকেন্দ্রে চসিক নির্বাচনের ভোটগ্র্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। ৬ দিনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে জেলা নির্বাচনী কার্যালয়। এগুলো হচ্ছে- কুলগাঁও সিটি কর্পোরেশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সিডিএ পাবলিক স্কুল, খাজা আজমেরি উচ্চ বিদ্যালয় এবং পাহাড়তলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

যদিও সারা দেশে সভা-সমাবেশ না করার জন্য নির্দেশনা রয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে চট্টগ্রামে কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও প্রচারণা সীমিত করতে বলা হয়েছে। বিএনপিসহ বিভিন্ন মহল চসিক নির্বাচন স্থগিতের দাবি জানিয়েছে। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ।

রিটার্নিং অফিসারে কার্যালয় সূত্র জানায়, সকাল ৯টা থেকে চারটি স্কুলে এ প্রশিক্ষণ শুরু হয়। অতিরিক্ত ৫ শতাংশসহ মোট ১৬ হাজার ১৬৩ জন ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ হবে।

প্রশিক্ষণ নিতে আসা একাধিক কর্মকর্তা বলেন, করোনা নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে আছি। এর মধ্যে আবার নির্বাচনী প্রশিক্ষণ। নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহে আছি। তার পরও প্রশিক্ষণ হচ্ছে। এ অবস্থার মধ্যে নির্বাচন করার কোনো মানে হয় না।

সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনির হোসাইন খান জানান, নির্বাচনে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রথম ধাপে প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপে দুই হাজারের বেশি কর্মকর্তা অংশ নিয়েছে। ২৫ তারিখ পর্যন্ত প্রশিক্ষণ চলবে। নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে কমিশন থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি সংক্রান্ত কার্যক্রম চালানো হবে।

এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, দেশে করোনা ঝুঁকির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা ইসির চরম স্বেচ্ছাচারিতা। তারা মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।

তিনি বলেন, একটি গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা বা খুশি করার জন্য নির্বাচনের নামে যা ইচ্ছে তাই করেছে চলেছে নির্বাচন কমিশন। আমাদের নিরব দর্শকের ভূমিকায় থাকা ছাড়া কোনো উপায় নেই।