হাজীগঞ্জ:
চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর হাজীগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ব্যস্তময় লোকারন্ন হিসাবে পরিচিত বাকিলা বাজার। যেখানে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ বিভিন্ন মালামাল ক্রয়-বিক্রয়সহ ইউনিয়ন পরিষদ, ভূমি অফিস এবং স্বাস্থ্যসেবার জন্য যাতায়াত করে আসছে। যে কারনে বাকিলা বাজারের পরিধি বেড়ে শাখা-প্রশাখার চারদিকে রাস্তার দুই পাশে সারিবদ্ধ ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। কাচাঁ বাজারের বাহিরেও প্রতি সোম ও শুক্রবার সাপ্তাহিক বাজারে উপজেলার একমাত্র গরুর হাট হিসাবে পরিচিত বাকিলা বাজার। সব মিলিয়ে উপজেলার বড় ডাকের হাট বাজার হিসাবে প্রতি বছর সরকার বাকিলা বাজার থেকে প্রায় অধ্য কোটি টাকা রাজস্ব পাচ্ছে।
সাম্পত্তিক সময়ে বাকিলা বাজারে সিঁচকে চোরের উৎপাতে একাধিক দোকানে চুরি হওয়ার ঘটনা বেড়েছে। বাজারের ফকিরবাজার সড়কের বিসবিল্লাহ্ ভ্যারাইটিজ ষ্টোর ও মুক্তা ভ্যারাইটিজ ষ্টোর, মোবাইলের দোকানসহ প্রায় সময়ে বিভিন্ন মালামাল চুরির ঘটনা ঘটে আসছে।
এমনকি বাকিলা মধ্যবাজার থেকে চৌধুরী বাড়ীর রাস্তা পর্যন্ত অভিমূখে সিএনজি, অটো রিক্সা যাত্রীদের সন্ধ্যা বেলায় ঠেক দিয়ে একাধিক মোবাইল, টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল চিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে বাজারের চার পাশে সড়ক গুলোতে রাতের বেলায় মাদক সেবী ও বিক্রেতাদের দৌরাত্ব বেড়েছে। সিএনজি স্টান্ড থেকে দৈনিক চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম গড়ে উঠলেও এসব অনিয়মের পেছনে যাদের হাত রয়েছে তারা অনেকটা ক্ষমতাধর বলে জানা যায়।
সর্বশেষ ২০১২ সালে বাকিলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতি তিন বছরের জন্য কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির সভাপতি জসিম উদ্দিন ও সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নির্বাচিত হয়। তিন বছর পালন শেষে নির্বাচনের জোরদাবি জানিয়ে সভাপতি জসিম পদত্যাগ করেলেও সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নিজ পদে থেকে নিয়ন্ত্রে নিয়ে আসে পুরো বাজার। যে কারণে চুরি, ছিনতাই, মাদক, চাঁদাবাজি বেড়েছে বলে অভিযোগ উঠে।
অভিযোগ রয়েছে সাধারণ সম্পাদক জসিম এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছে।
বাকিলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নিজ ক্ষমতা বলে বাজারের দুই পাশে ছোট ছোট ছটির মাধ্যমে দোকান বরাদ্ধ দিয়ে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এছাড়া কয়েকশ ছোট বড় ব্যবসায়ী থেকে প্রতি মাসে ৫০ থেকে ১০০ টাকা উত্তলণ হলেও দৃশ্যমান কোন কাজ এখন পর্যন্ত হয়নি। পাহারাদার নামে মাত্র থাকলেও ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে আসছে। জাহাঙ্গীর আলম নিজে নেতৃত্বে থেকে ফকির বাজার ও রেলগেট সড়কের সিএনজি স্টান্ডের চাদাঁ আদায় করে আসছে। সব মিলিয়ে এক রামরাজত্ব কায়েম করে আসছে মেয়াদ উত্তিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। আর এতে সাধারন ব্যবসায়ীসহ সচেতনমহলের প্রশ্ন জাহাঙ্গীরের খুঁটির জোর কোথায় যার কারনে বছরের পর বছর নির্বাচন না হয়ে এভাবে কার্যক্রম চলে আসছে বাকিলা বাজার।
এ বিষয়ে বাকিলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ২০১১ সালে আমি সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর যতটুকু চেষ্টা করে যাচ্ছি ব্যবসায়ীদের সেবা করার। তবে আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো সত্য নয়। আমাদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওমল কান্দি ধর এর সাথে পরামর্শক্রমে সকল কাজ করা হচ্ছে। আমিসহ আমরা চাই যেন সহসায় আমাদের চেয়ারম্যান বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
২নং বাকিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান ইউসুফ পাটওয়ারী বলেন, আমি কয়েকবার চেষ্টা করেছি বাকিলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন করতে। তবে এখন আর সহসায় কোন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন হওয়ার সম্ভবনা নেই।
নতুনেরকথা: বিশেষ প্রতিবেদক।