শ্রেণিকক্ষের অভাবে সিঁড়ির নিচে ক্লাস করছে মোল্লাডহর সপ্রাবির কোমলমতি শিক্ষার্থীরা

  • আপডেট: ০৬:১৪:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২০
  • ২৪

গাজী মহিনউদ্দিন:
হাজীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের অবহেলিত জনপদে অবস্থিত মোল্লাডহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মোল্লাডহর গ্রামের উত্তর প্রান্তে নানান সমস্যায় জর্জরিত সদ্য জাতীয়করণকৃত মোল্লাডহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শ্রেণি কক্ষের অভাবে সিঁড়ির নিচে ক্লাস করছে।
উপজেলা একমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যেখানে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে একটি শ্রেণিকক্ষ! প্রায় দু’শত শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষের সংকটে ক্লাস করতে না পারার কারণে বিদ্যালয়ের সিঁড়ির নিচে টেবিল বেঞ্চ বসিয়ে ক্লাস নিতে হচ্ছে শিক্ষকদের। এ বিদ্যালয়ের একতলা বিশিষ্ট ভবনে মাত্র তিনটি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। যার মধ্য একটি অফিসকক্ষ, আরেকটি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহৃত হওয়ার কারণে একটি শ্রেণি কক্ষে ক্লাস করলে অন্য ক্লাসের ছাত্রদের ক্লাস করার স্থান নেই। যার কারণে বাধ্য হয়ে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ের সিঁড়ির নিচে ক্লাস করছে।
বিদ্যালয়ের মাঠের পূর্ব পাশে ভাঙ্গা টিনের জরাজীর্ণ ক্লাসরুম রয়েছে; সেগুলোতে ক্লাস নেওয়া মত পরিবেশ নেই বললে চলে। জরাজীর্ণ টিনের ঘরটি যে কোন সময়ে ভেঙ্গে পড়ে দূর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর পরিসংখ্যান অনুযায়ী যে পরিমান শিক্ষক এবং ক্লাসরুম থাকার কথা: তা না থাকার কারণে হিমশিম খেতে হচ্ছে শিক্ষকদের। এ দিকে বিদ্যালয়ের নৈশ্যপ্রহরী না থাকায় চুরিসহ বিভিন্ন ধরণের ঘটনার সম্মুখিন হচ্ছে বিদ্যালয়টি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসিনা আক্তার বলেন, শ্রেণিকক্ষের অভাবে ক্লাস নিতে পারছি না। একটি মাত্র ক্লাসে পাঁচটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া সম্ভব নয়। তারপরও বিদ্যালয়ের সিঁড়ির নিচে বেঞ্চ বসিয়ে ক্লাস নিতে হচ্ছে। মাননীয় সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম স্যারের দৃষ্টি কামনা করছি। স্যার যদি এ বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রতি সহানুভূতি দেখান তাহলে শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমের সংকট দূর হবে। বিদ্যালয়ের বর্তমান ভবনটি উর্ধ্বমূখী সম্প্রসারণ করা হলে শ্রেণি কক্ষের সংকট দূর হবে।
তবে তাৎক্ষণিক জরাজীর্ণ টিনের ঘরটি যদি মেরামতের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে কিছুটা সমস্যা সমাধান হবে। এ বিষয়ে শিক্ষা অফিসের সাথে বহুবার যোগাযোগ করেছি। এখনো এর কোন সূরাহা হয়নি।
বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী জামাল উদ্দিন বলেন, বিদ্যালয়টি সবে মাত্র জাতীয়করণ করা হয়েছে। কঠিন সময় পার করে বিদ্যালয়টি এ পর্যায়ে এসেছে। তিন রুম বিশিষ্ট যে একতলা ভবন রয়েছে। তা আমাদের স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম স্যারের অবদান। স্যারের মাধ্যমে এখানে ভবন এসেছে। স্যার যদি এ বিদ্যালয়ের প্রতি দৃষ্টি দেন তাহলে আর শ্রেণি কক্ষ সংকট থাকবে না।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

যেভাবে হ ত্যা করা হয় তরুণ আইনজীবী সাইফলকে

শ্রেণিকক্ষের অভাবে সিঁড়ির নিচে ক্লাস করছে মোল্লাডহর সপ্রাবির কোমলমতি শিক্ষার্থীরা

আপডেট: ০৬:১৪:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২০

গাজী মহিনউদ্দিন:
হাজীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের অবহেলিত জনপদে অবস্থিত মোল্লাডহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মোল্লাডহর গ্রামের উত্তর প্রান্তে নানান সমস্যায় জর্জরিত সদ্য জাতীয়করণকৃত মোল্লাডহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শ্রেণি কক্ষের অভাবে সিঁড়ির নিচে ক্লাস করছে।
উপজেলা একমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যেখানে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে একটি শ্রেণিকক্ষ! প্রায় দু’শত শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষের সংকটে ক্লাস করতে না পারার কারণে বিদ্যালয়ের সিঁড়ির নিচে টেবিল বেঞ্চ বসিয়ে ক্লাস নিতে হচ্ছে শিক্ষকদের। এ বিদ্যালয়ের একতলা বিশিষ্ট ভবনে মাত্র তিনটি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। যার মধ্য একটি অফিসকক্ষ, আরেকটি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহৃত হওয়ার কারণে একটি শ্রেণি কক্ষে ক্লাস করলে অন্য ক্লাসের ছাত্রদের ক্লাস করার স্থান নেই। যার কারণে বাধ্য হয়ে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ের সিঁড়ির নিচে ক্লাস করছে।
বিদ্যালয়ের মাঠের পূর্ব পাশে ভাঙ্গা টিনের জরাজীর্ণ ক্লাসরুম রয়েছে; সেগুলোতে ক্লাস নেওয়া মত পরিবেশ নেই বললে চলে। জরাজীর্ণ টিনের ঘরটি যে কোন সময়ে ভেঙ্গে পড়ে দূর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর পরিসংখ্যান অনুযায়ী যে পরিমান শিক্ষক এবং ক্লাসরুম থাকার কথা: তা না থাকার কারণে হিমশিম খেতে হচ্ছে শিক্ষকদের। এ দিকে বিদ্যালয়ের নৈশ্যপ্রহরী না থাকায় চুরিসহ বিভিন্ন ধরণের ঘটনার সম্মুখিন হচ্ছে বিদ্যালয়টি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসিনা আক্তার বলেন, শ্রেণিকক্ষের অভাবে ক্লাস নিতে পারছি না। একটি মাত্র ক্লাসে পাঁচটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া সম্ভব নয়। তারপরও বিদ্যালয়ের সিঁড়ির নিচে বেঞ্চ বসিয়ে ক্লাস নিতে হচ্ছে। মাননীয় সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম স্যারের দৃষ্টি কামনা করছি। স্যার যদি এ বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রতি সহানুভূতি দেখান তাহলে শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমের সংকট দূর হবে। বিদ্যালয়ের বর্তমান ভবনটি উর্ধ্বমূখী সম্প্রসারণ করা হলে শ্রেণি কক্ষের সংকট দূর হবে।
তবে তাৎক্ষণিক জরাজীর্ণ টিনের ঘরটি যদি মেরামতের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে কিছুটা সমস্যা সমাধান হবে। এ বিষয়ে শিক্ষা অফিসের সাথে বহুবার যোগাযোগ করেছি। এখনো এর কোন সূরাহা হয়নি।
বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী জামাল উদ্দিন বলেন, বিদ্যালয়টি সবে মাত্র জাতীয়করণ করা হয়েছে। কঠিন সময় পার করে বিদ্যালয়টি এ পর্যায়ে এসেছে। তিন রুম বিশিষ্ট যে একতলা ভবন রয়েছে। তা আমাদের স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম স্যারের অবদান। স্যারের মাধ্যমে এখানে ভবন এসেছে। স্যার যদি এ বিদ্যালয়ের প্রতি দৃষ্টি দেন তাহলে আর শ্রেণি কক্ষ সংকট থাকবে না।