হাজীগঞ্জে মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলার শিকার অসহায় পরিবার

  • আপডেট: ০৩:৫৯:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২০
  • ৩৭

হাজীগঞ্জ প্রতিনিধি:
হাজীগঞ্জে মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে এক অসহায় পরিবার। বার বার হামলার শিকার হয়ে আসছে এ পরিবারটি। উপজেলার ৫নং হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বাড্ডা গ্রামের কুয়েত প্রবাসী ইব্রাহিম খলিল স্বপনের পরিবারের উপর বার বার হামলা করে আসছে খোরশেদ আলম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। খোরশেদ আলম বাড্ডা হাজী বাড়ির আনোয়ার হোসেন নান্নুর ছেলে। খোরশেদ আলম একের পর এক অপকর্ম করায় বাড্ডা গ্রামের জনমনে আতংক বিরাজ করছে।
প্রায় দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে খোরশেদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ স্বপনের পরিবার। পান থেকে চুন খষতেই হামলা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ জানুয়ারী শুক্রবার সকালে ক্রয়কৃত মাটি শ্রমিকের মাধ্যমে কেটে আনার জন্য স্বপনের স্ত্রী নাছিমা বেগম তার জমিতে গেলে কোন কারণ ছাড়াই দলবল নিয়ে স্বপনের চাচাতো ভাই খোরশেদ আলম অর্তকিত হামলা চালায়। এসময় খোরশেদের ভাই জাহিদ, আশরাফুল আলম পলাশ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নাছিমা বেগমকে মারধর করতে থাকে। মারধরের শিকার নাছিমা বেগম মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মাটি কাটার শ্রমিক শারীরিক প্রতিবন্ধী নসু এগিয়ে আসলে তার উপরও হামলা করা হয়। নসুর মাথায় দা’র উল্টো পাশ দিয়ে আঘাত করে, বুকে পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে লিলা ফুঁলা দেখা যায়। এ সময় তার মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। পরে স্থানীয় নাছিমা বেগম এবং নসুকে উদ্বার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।
স্বপনের পরিবারের উপর হামলা এবং হয়রানির ঘটনা নিয়ে খোরশেদ আলম ও তার ভাইদের দেওয়া প্রায় ৫০টির বেশি আপস নামা এবং মুছলেকা রয়েছে। বার বার মুছলেকা দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে খোরশেদ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, খোরশেদ বহু অপকর্মের হোতা। সে এরপূর্বে মাদক মামলায় কারাবরণ করে। হাজীগঞ্জ বাজারের এক হিন্দু মেয়েকে বিয়ে করে মুসলাম করে তার টাকা পয়সা আত্মসাতের পর তালাক দিয়ে দেয়। বড় ভাই মাহবুব আলম মন্ত্রনালয়ে পিয়নের চাকরি করার সুবাদে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছে খোরশেদ আলম। মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে তদবির করে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে খোরশেদ আলম। খোরশেদ আলমকে বৌকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে মেহেদী নামের এক যুবক ১ লক্ষ টাকা দেয়। চাকরি না হওয়ায় টাকা চাইতে গিয়ে হয়রানি হতে হচ্ছে তার কাছে।
খোরশেদ আলমের অপকর্ম একের পর এক ফুঁসে উঠেছে। হাজীগঞ্জ রজনীগন্ধা মার্কেটের নিচ তলার ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন খোরশেদের আলমের সাথে যৌথ ভাবে সৌর বিদ্যুতের ব্যবসা করতে গেলে সেও প্রতারণার শিকার হতে হয়েছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

যেভাবে হ ত্যা করা হয় তরুণ আইনজীবী সাইফলকে

হাজীগঞ্জে মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলার শিকার অসহায় পরিবার

আপডেট: ০৩:৫৯:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২০

হাজীগঞ্জ প্রতিনিধি:
হাজীগঞ্জে মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে এক অসহায় পরিবার। বার বার হামলার শিকার হয়ে আসছে এ পরিবারটি। উপজেলার ৫নং হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বাড্ডা গ্রামের কুয়েত প্রবাসী ইব্রাহিম খলিল স্বপনের পরিবারের উপর বার বার হামলা করে আসছে খোরশেদ আলম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। খোরশেদ আলম বাড্ডা হাজী বাড়ির আনোয়ার হোসেন নান্নুর ছেলে। খোরশেদ আলম একের পর এক অপকর্ম করায় বাড্ডা গ্রামের জনমনে আতংক বিরাজ করছে।
প্রায় দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে খোরশেদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ স্বপনের পরিবার। পান থেকে চুন খষতেই হামলা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ জানুয়ারী শুক্রবার সকালে ক্রয়কৃত মাটি শ্রমিকের মাধ্যমে কেটে আনার জন্য স্বপনের স্ত্রী নাছিমা বেগম তার জমিতে গেলে কোন কারণ ছাড়াই দলবল নিয়ে স্বপনের চাচাতো ভাই খোরশেদ আলম অর্তকিত হামলা চালায়। এসময় খোরশেদের ভাই জাহিদ, আশরাফুল আলম পলাশ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নাছিমা বেগমকে মারধর করতে থাকে। মারধরের শিকার নাছিমা বেগম মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মাটি কাটার শ্রমিক শারীরিক প্রতিবন্ধী নসু এগিয়ে আসলে তার উপরও হামলা করা হয়। নসুর মাথায় দা’র উল্টো পাশ দিয়ে আঘাত করে, বুকে পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে লিলা ফুঁলা দেখা যায়। এ সময় তার মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। পরে স্থানীয় নাছিমা বেগম এবং নসুকে উদ্বার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।
স্বপনের পরিবারের উপর হামলা এবং হয়রানির ঘটনা নিয়ে খোরশেদ আলম ও তার ভাইদের দেওয়া প্রায় ৫০টির বেশি আপস নামা এবং মুছলেকা রয়েছে। বার বার মুছলেকা দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে খোরশেদ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, খোরশেদ বহু অপকর্মের হোতা। সে এরপূর্বে মাদক মামলায় কারাবরণ করে। হাজীগঞ্জ বাজারের এক হিন্দু মেয়েকে বিয়ে করে মুসলাম করে তার টাকা পয়সা আত্মসাতের পর তালাক দিয়ে দেয়। বড় ভাই মাহবুব আলম মন্ত্রনালয়ে পিয়নের চাকরি করার সুবাদে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছে খোরশেদ আলম। মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে তদবির করে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে খোরশেদ আলম। খোরশেদ আলমকে বৌকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে মেহেদী নামের এক যুবক ১ লক্ষ টাকা দেয়। চাকরি না হওয়ায় টাকা চাইতে গিয়ে হয়রানি হতে হচ্ছে তার কাছে।
খোরশেদ আলমের অপকর্ম একের পর এক ফুঁসে উঠেছে। হাজীগঞ্জ রজনীগন্ধা মার্কেটের নিচ তলার ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন খোরশেদের আলমের সাথে যৌথ ভাবে সৌর বিদ্যুতের ব্যবসা করতে গেলে সেও প্রতারণার শিকার হতে হয়েছে।