নিজ সম্পত্তি রক্ষায় সংবাদ সম্মেলন: আইনী সহযোগিতা চেয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধা হারুনুর রশিদ আকুতি

  • আপডেট: ০৪:৪০:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২০
  • ২৮

নিজস্ব প্রতিনিধি॥
হাজীগঞ্জে নিজ সম্পত্তি রক্ষায় আইনী সহযোগিতা চেয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধা হারুনুর রশিদ মুন্সি সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের কাছে সম্পত্তি ও মান সম্মান রক্ষার আকুতি জানিয়েছেন। বুধবার রাতে হাজীগঞ্জ রোটারী ক্লাবে বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুনুর রশিদ মুন্সি এমন আকুতি জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা, একজন সমাজকর্মী জীবনের এ পর্যায়ে এসে একটা হিন্দু ছেলের দ্বারা এত নিপীড়িত হতে হবে ভাবতে কষ্ট হয়। জীবনে চড়াই উৎরাতে গিয়ে যারা আমাকে চেনে তারা জানে আমি একজন স্পষ্টবাদী, কোন কিছু ভয়ে পিছু হটার ব্যক্তি নই, সত্য কথা বুক ফুলিয়া বলা আমার নীতি। জীবনে বহু অর্থ, সম্পদ হাতের উপর নিয়ে গিয়াছে। কেউ বলতে পারবে না। কাউকে ঠকাইয়া কিছু রেখে দিয়েছি।
আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি হিন্দু সম্প্রদায়ের গোপন সহযোগিতায় এবং হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর এর নিলর্জ সহযোগিতায় আমাকে অপমান এবং অপদস্থ করার জন্য আমার বিরুদ্ধে কয়েকটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে এবং সবগুলি মামলাই মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার পরও একটা জাল দলিল সৃষ্টি করে আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল নিতে চায়।
২০১৫ সালের ঘটনা। আমার ১০১২ দাগ হাজীগঞ্জ বাজারস্থ দক্ষিণ বাজারে আমার .৫ শতক ভুমি আমার দখলে আছে। এর দক্ষিণ পাশে ১০১২/১২৭৮ দাগে মানিক বনিকের .৬ শতক সম্পত্তি আছে। এর মধ্যে ২০১৫ সালে তারা .৩ শতক জায়গা বিক্রি করে। জায়গা মেপে বুঝিয়ে দেওয়ার সময় তারা আমার মালিকীয় সম্পত্তিতে ওয়াল উঠিয়ে ক্রেতাকে বুঝিয়ে দিতে গেলে আমি পুলিশের মাধ্যমে কাজ বন্ধ করি। এরপর এ.ডি.এম কোর্টে ১৫৪ ধারা এবং সীমানা মাপিয়া বের করে দেওয়ার জন্য দরখাস্ত করি। দরখাস্ত মতে নিষেধাজ্ঞা জারী করে। পরবর্তীতে সীমানা নির্ধারণের জন্য দুই পক্ষের উকিল সহ ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার কে সীমানা নির্ধারণের নির্দেশ দেন। সে মতে ২ জন উকিল এবং আমিন সরজমিনে উপস্থিত হয়ে পরিমাপ ঠিক করে সীমানা নির্ধারণ করে দেন এবং একটি হাত নকশা সহ প্রতিবেদন দাখিল করেন। উক্ত পরিমাপে আমার সীমানা আমি পেয়েছি মর্মে স্বীকার করিলে এ.ডি.এম কোর্ট উভয় পক্ষকে জিজ্ঞাসা করিয়া মামলাটি নথি জাত করেন। ২০১৬ সালে এ সার্জশীটটি দেওয়া হয়।
মানিক গং থেকে মোট .৩ শতাংশের ক্রেতা পরিমাপ দেখে পূর্বের সীমানায় অর্থ্যাৎ আমার জায়গা বাদ দিয়ে সম্পত্তি বুঝে নেওয়ার কথা বলিলে ক্রেতাদের নিরুদ্ধে ও মানিক মামলা করে। সেই মামলাগুলিতে ও মানিক আমাকে ১ নং বিবাদী হিসাবে মামলা করে। তাদরে ঘর ভাঙ্গা গেছে এ সম্পত্তি বুঝিয়ে দিতে। তখন আমি ঢাকায় অসুস্থ ছিলাম।
ঢাকা থেকে বাড়ী আসার পর মামলার কথা জানি এবং ২০১৭ সালে ঘর ভাঙ্গার মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। জজকোর্টে দায়ের করার পর মামলাটি খারিজ হয়। এরপর ১৯৬৪ সালে দলিল নং-৩৪৪৯ মহেন্দ্র বাবুর থেকে .৩ শতক সম্পত্তি ক্রয় করার দলিল দিয়ে আমার জায়গা সহ একটি নিষেধাজ্ঞা মামলা করে। যার নং-১৫/১৭। কুমিল্লা তল্লাশী দিয়ে সেই ৩৪৪৯ নং দলিলের কপি সংগ্রহ করে কোর্টে জমা দেই। কুমিল্লার কপি দাতা গ্রহিতার সাথে মিল নাই। এ.ডি.এম কোর্টের রায় জমা দেই। সর্বশেষ ১৫/১৭ নং মামলা গত ০৮/০১/২০২০ তারিখ রায় হয় অর্থ্যাৎ মামলাটি খারিজ করেন।
এমতাবস্থায়, ১১/০১/২০২০ইং আমি আমার জায়গায় কাজ করিতে গেলে পুলিশ এসে কাজে বাধা দেয় এবং কাজ বন্ধ করে রাখে। পুলিশের উপস্থিতিতে আমার করা ওয়াল ভেঙ্গে ফেলে এবং ইট মেরে ২/৩ জন শ্রমিককের আহত করে। একটি মিথ্যা জি.ডি হাজীগঞ্জ থানায় করা হয় এবং ভুয়া ৩৪৪৯ নং দলিল দিয়ে ট্রাইবুন্যাল ১০২২ নং মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
তিনি আরো বলেন, সকল প্রমাণাদি থাকা স্বর্ত্ত্বেও মানিক গং আমার বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে প্রবাহাকান্ড ছড়িয়ে হয়রানি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং অহেতুক মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার মানসম্মান ক্ষুন্ন করার অপ্রচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

যেভাবে হ ত্যা করা হয় তরুণ আইনজীবী সাইফলকে

নিজ সম্পত্তি রক্ষায় সংবাদ সম্মেলন: আইনী সহযোগিতা চেয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধা হারুনুর রশিদ আকুতি

আপডেট: ০৪:৪০:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২০

নিজস্ব প্রতিনিধি॥
হাজীগঞ্জে নিজ সম্পত্তি রক্ষায় আইনী সহযোগিতা চেয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধা হারুনুর রশিদ মুন্সি সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের কাছে সম্পত্তি ও মান সম্মান রক্ষার আকুতি জানিয়েছেন। বুধবার রাতে হাজীগঞ্জ রোটারী ক্লাবে বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুনুর রশিদ মুন্সি এমন আকুতি জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা, একজন সমাজকর্মী জীবনের এ পর্যায়ে এসে একটা হিন্দু ছেলের দ্বারা এত নিপীড়িত হতে হবে ভাবতে কষ্ট হয়। জীবনে চড়াই উৎরাতে গিয়ে যারা আমাকে চেনে তারা জানে আমি একজন স্পষ্টবাদী, কোন কিছু ভয়ে পিছু হটার ব্যক্তি নই, সত্য কথা বুক ফুলিয়া বলা আমার নীতি। জীবনে বহু অর্থ, সম্পদ হাতের উপর নিয়ে গিয়াছে। কেউ বলতে পারবে না। কাউকে ঠকাইয়া কিছু রেখে দিয়েছি।
আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি হিন্দু সম্প্রদায়ের গোপন সহযোগিতায় এবং হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর এর নিলর্জ সহযোগিতায় আমাকে অপমান এবং অপদস্থ করার জন্য আমার বিরুদ্ধে কয়েকটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে এবং সবগুলি মামলাই মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার পরও একটা জাল দলিল সৃষ্টি করে আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল নিতে চায়।
২০১৫ সালের ঘটনা। আমার ১০১২ দাগ হাজীগঞ্জ বাজারস্থ দক্ষিণ বাজারে আমার .৫ শতক ভুমি আমার দখলে আছে। এর দক্ষিণ পাশে ১০১২/১২৭৮ দাগে মানিক বনিকের .৬ শতক সম্পত্তি আছে। এর মধ্যে ২০১৫ সালে তারা .৩ শতক জায়গা বিক্রি করে। জায়গা মেপে বুঝিয়ে দেওয়ার সময় তারা আমার মালিকীয় সম্পত্তিতে ওয়াল উঠিয়ে ক্রেতাকে বুঝিয়ে দিতে গেলে আমি পুলিশের মাধ্যমে কাজ বন্ধ করি। এরপর এ.ডি.এম কোর্টে ১৫৪ ধারা এবং সীমানা মাপিয়া বের করে দেওয়ার জন্য দরখাস্ত করি। দরখাস্ত মতে নিষেধাজ্ঞা জারী করে। পরবর্তীতে সীমানা নির্ধারণের জন্য দুই পক্ষের উকিল সহ ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার কে সীমানা নির্ধারণের নির্দেশ দেন। সে মতে ২ জন উকিল এবং আমিন সরজমিনে উপস্থিত হয়ে পরিমাপ ঠিক করে সীমানা নির্ধারণ করে দেন এবং একটি হাত নকশা সহ প্রতিবেদন দাখিল করেন। উক্ত পরিমাপে আমার সীমানা আমি পেয়েছি মর্মে স্বীকার করিলে এ.ডি.এম কোর্ট উভয় পক্ষকে জিজ্ঞাসা করিয়া মামলাটি নথি জাত করেন। ২০১৬ সালে এ সার্জশীটটি দেওয়া হয়।
মানিক গং থেকে মোট .৩ শতাংশের ক্রেতা পরিমাপ দেখে পূর্বের সীমানায় অর্থ্যাৎ আমার জায়গা বাদ দিয়ে সম্পত্তি বুঝে নেওয়ার কথা বলিলে ক্রেতাদের নিরুদ্ধে ও মানিক মামলা করে। সেই মামলাগুলিতে ও মানিক আমাকে ১ নং বিবাদী হিসাবে মামলা করে। তাদরে ঘর ভাঙ্গা গেছে এ সম্পত্তি বুঝিয়ে দিতে। তখন আমি ঢাকায় অসুস্থ ছিলাম।
ঢাকা থেকে বাড়ী আসার পর মামলার কথা জানি এবং ২০১৭ সালে ঘর ভাঙ্গার মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। জজকোর্টে দায়ের করার পর মামলাটি খারিজ হয়। এরপর ১৯৬৪ সালে দলিল নং-৩৪৪৯ মহেন্দ্র বাবুর থেকে .৩ শতক সম্পত্তি ক্রয় করার দলিল দিয়ে আমার জায়গা সহ একটি নিষেধাজ্ঞা মামলা করে। যার নং-১৫/১৭। কুমিল্লা তল্লাশী দিয়ে সেই ৩৪৪৯ নং দলিলের কপি সংগ্রহ করে কোর্টে জমা দেই। কুমিল্লার কপি দাতা গ্রহিতার সাথে মিল নাই। এ.ডি.এম কোর্টের রায় জমা দেই। সর্বশেষ ১৫/১৭ নং মামলা গত ০৮/০১/২০২০ তারিখ রায় হয় অর্থ্যাৎ মামলাটি খারিজ করেন।
এমতাবস্থায়, ১১/০১/২০২০ইং আমি আমার জায়গায় কাজ করিতে গেলে পুলিশ এসে কাজে বাধা দেয় এবং কাজ বন্ধ করে রাখে। পুলিশের উপস্থিতিতে আমার করা ওয়াল ভেঙ্গে ফেলে এবং ইট মেরে ২/৩ জন শ্রমিককের আহত করে। একটি মিথ্যা জি.ডি হাজীগঞ্জ থানায় করা হয় এবং ভুয়া ৩৪৪৯ নং দলিল দিয়ে ট্রাইবুন্যাল ১০২২ নং মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
তিনি আরো বলেন, সকল প্রমাণাদি থাকা স্বর্ত্ত্বেও মানিক গং আমার বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে প্রবাহাকান্ড ছড়িয়ে হয়রানি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং অহেতুক মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার মানসম্মান ক্ষুন্ন করার অপ্রচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।