শরীফুল ইসলাম:
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ৪টি ইট ভাটায় অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় ইট ভাটার মালিক পক্ষকে ৪৪ লাখ টাকা জরিমানা ও ইটভাটাগুলো গুড়িয়ে দেয়া হয়। অভিযানে র্যাব, পুলিশ ও ফায়ারসার্ভিস যৌথভাবে অংশগহণ করেন।
সোমবার ১১টায় হাজীগঞ্জের আলিগঞ্জ এলাকায় মেসার্স কামাল ব্রিকস, ১টায় রনি ব্রিকস ও মেসার্স এমবিএম বিকস ও বিকেলে গন্ধর্ব্যপুরের জগন্নাথপুর আবদুল গণি ব্রিকস ফিল্ডে- এ অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ ইট ভাটাগুলো গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
অভিযানকালে মেসার্স কামাল ব্রির্কসের সত্ত্বাধিকারী শাহজাহান বেপারী ও কামাল বেপারীকে ৬ লাখ টাকা, মেসার্স বসিরউদ্দিন মজুমদারকে ৬ লাখ টাকা এবং রনি ব্রিক ফিল্ডকে ৬ লাখ টাকা এবং আবদুল গণি ব্রিক ফিল্ডকে ২৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদফতরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তানজীদ আহমেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এএইচ এম রাসেদ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এএইচ এম রাসেদ বলেন, মেসার্স কামাল ব্রিকস, মেসার্স বসিরউদ্দিন মজুমদার ব্রিকস এবং রনি বিকস ফিল্ড, শাহরাস্তির আবদুল গণি ব্রিকস ২০১২ সাল থেকে অবৈধভাবে ইটভাটা চলছে। আমরা তাদের নির্দেশনা দেওয়া সত্ত্বেও তারা ইটভাটা বন্ধ করেনি। তাই পরিবেশ অধিদপ্তের নিয়মানুসারে ইটভাটা গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
পরিবেশ অধিদফতরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তানজীম আহমেদ বলেন, মেসার্স কামাল ব্রিকস, মেসার্স বসিরউদ্দিন মজুমদার ব্রিকস এবং রনি বিকস ফিল্ড, শাহরাস্তির আবদুল গণি ব্রিকস মোট ৪টি ব্রিকস ২০১২ সাল থেকে অবৈধভাবে চলছে। এছাড়া তারা যে স্থান থেকে মাটি কাটছে তাও অবৈধ। তারা সরকারি নিয়ম না মানায় ৬ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়াও শাহরাস্তির আবদুল গণি ব্রিকস ফিল্ড নিয়ম না মেনে ইট পোড়ানোর দায়ে তাকে ২৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।