হাজীগঞ্জে স্কুল ছাত্রকে গলাকেটে হত্যা, আটক ৫

  • আপডেট: ০৮:২৫:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২০
  • ৩১

নিজস্ব প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে দোকানের ভিতর থেকে স্কুল ছাত্রের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার সকালে পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ গাইন বাড়ীর ফরিদ হোসেনের দোকান থেকে মারুফ হোসেন রিয়াদ (১৬) নামে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে দোকানে থাকা কর্মচারী ফারুক হোসেন (২৮) পলাতক রয়েছে। ফারুক পাশ্ববর্তী কচুয়া উপজেলার মালছোঁয়া গ্রামের বাসিন্দা। সে দোকানের মালিক সিঙ্গারা বিক্রেতা ফরিদের ভায়রা।
এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দোকানের মালিক ফরিদ হোসেনসহ চারজনকে আটক করেছে বলে নিশ্চিত করেন হাজীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন রনি।
রিয়াদ গাইন বাড়ীর ফারুক মিয়ার বড় ছেলে। সে আমিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
নিহত রিয়াদের মা রোজিনা বেগম বলেন, আমার ছেলের সাথে ফরিদের ভায়রা ফারুকের সাথে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। এক সাথে চলাফেলা করতো। ফারুকের সাথে একটি মোবাইল নম্বর নিয়ে ঝামেলা হওয়ার কথা জানতে পারি। এছাড়া রিয়াদের চাচা শাকিল (১৮) সে আমার বোনকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় তাতে আমরা রাজি হইনি। এ নিয়ে শাকিলের সাথে আমার ছেলে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। প্রায় দুই মাস আগে একটি ব্যাচলাইটকে কেন্দ্র করে রিয়াদকে ছুরিঘাত আঘাত করে। তখন হাসপাতালে নিয়ে সেলাই দেয়া হয়। থানাও একটি অভিযোগ দিয়েছি।
রিয়াদের বাবা ফারুক মিয়া বলেন, আমার চাচাতো ভাই শাকিলের সাথে আমার ছেলে দ্বন্দ্ব রয়েছে। সে তার পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছে। এ নিয়ে থানায় বসে শালিসের মাধ্যমে একটি স্টাম্প হয়েছে। তারা আমার ছেলেকে হুমকি-ধমকি দিয়েছিল। সপ্তাহখানেক আগে আমার নতুন বাড়ীতে আগুন লাগিয়ে দেয় কে বা কারা। আমার সাথে কিসের শত্রুতা। আমার ছেলেকেও খুন করলো। সকাল থেকে শাকিল ও ফারুক পলাতক রয়েছে।
দোকানের মালিকের স্ত্রী শাহিদা বেগম বলেন, ফারুকের সাথে রিয়াদের আগে বন্ধুত্ব ছিল। ইতোমধ্যে একটু খারাপ সম্পর্ক দেখেছি। দোকানটি ফারুক পরিচালনা করতো। প্রতিদিন বিকালেই দোকানটি বন্ধ করা হয়।
স্থানীয় কাউন্সিলর জাহেদুল আজহার আলম বেপারী বলেন, সকালে ফোনের মাধ্যমে জানতে পারি এ দোকানে একটি ছেলেকে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখা হয়েছে। এখানে এসে জানতে পারি দোকানের মালিক ফরিদ দোকানের কর্মচারী ফারুককে ঘুম থেকে জাগাতে এসে দেখে বন্ধ। পরে সার্টার ভেঙ্গে দেখে রিয়াদের লাশ। বিষয়টি জেনে আমি পুলিশ খবর দিয়েছি।
হাজীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন রনি বলেন, হত্যার ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমান পিপিএম ও হাজীগঞ্জ পৌর মেয়র আ.স.ম. মাহবুব-উল আলম লিপন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

যেভাবে হ ত্যা করা হয় তরুণ আইনজীবী সাইফলকে

হাজীগঞ্জে স্কুল ছাত্রকে গলাকেটে হত্যা, আটক ৫

আপডেট: ০৮:২৫:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২০

নিজস্ব প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে দোকানের ভিতর থেকে স্কুল ছাত্রের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার সকালে পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ গাইন বাড়ীর ফরিদ হোসেনের দোকান থেকে মারুফ হোসেন রিয়াদ (১৬) নামে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে দোকানে থাকা কর্মচারী ফারুক হোসেন (২৮) পলাতক রয়েছে। ফারুক পাশ্ববর্তী কচুয়া উপজেলার মালছোঁয়া গ্রামের বাসিন্দা। সে দোকানের মালিক সিঙ্গারা বিক্রেতা ফরিদের ভায়রা।
এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দোকানের মালিক ফরিদ হোসেনসহ চারজনকে আটক করেছে বলে নিশ্চিত করেন হাজীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন রনি।
রিয়াদ গাইন বাড়ীর ফারুক মিয়ার বড় ছেলে। সে আমিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
নিহত রিয়াদের মা রোজিনা বেগম বলেন, আমার ছেলের সাথে ফরিদের ভায়রা ফারুকের সাথে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। এক সাথে চলাফেলা করতো। ফারুকের সাথে একটি মোবাইল নম্বর নিয়ে ঝামেলা হওয়ার কথা জানতে পারি। এছাড়া রিয়াদের চাচা শাকিল (১৮) সে আমার বোনকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় তাতে আমরা রাজি হইনি। এ নিয়ে শাকিলের সাথে আমার ছেলে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। প্রায় দুই মাস আগে একটি ব্যাচলাইটকে কেন্দ্র করে রিয়াদকে ছুরিঘাত আঘাত করে। তখন হাসপাতালে নিয়ে সেলাই দেয়া হয়। থানাও একটি অভিযোগ দিয়েছি।
রিয়াদের বাবা ফারুক মিয়া বলেন, আমার চাচাতো ভাই শাকিলের সাথে আমার ছেলে দ্বন্দ্ব রয়েছে। সে তার পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছে। এ নিয়ে থানায় বসে শালিসের মাধ্যমে একটি স্টাম্প হয়েছে। তারা আমার ছেলেকে হুমকি-ধমকি দিয়েছিল। সপ্তাহখানেক আগে আমার নতুন বাড়ীতে আগুন লাগিয়ে দেয় কে বা কারা। আমার সাথে কিসের শত্রুতা। আমার ছেলেকেও খুন করলো। সকাল থেকে শাকিল ও ফারুক পলাতক রয়েছে।
দোকানের মালিকের স্ত্রী শাহিদা বেগম বলেন, ফারুকের সাথে রিয়াদের আগে বন্ধুত্ব ছিল। ইতোমধ্যে একটু খারাপ সম্পর্ক দেখেছি। দোকানটি ফারুক পরিচালনা করতো। প্রতিদিন বিকালেই দোকানটি বন্ধ করা হয়।
স্থানীয় কাউন্সিলর জাহেদুল আজহার আলম বেপারী বলেন, সকালে ফোনের মাধ্যমে জানতে পারি এ দোকানে একটি ছেলেকে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখা হয়েছে। এখানে এসে জানতে পারি দোকানের মালিক ফরিদ দোকানের কর্মচারী ফারুককে ঘুম থেকে জাগাতে এসে দেখে বন্ধ। পরে সার্টার ভেঙ্গে দেখে রিয়াদের লাশ। বিষয়টি জেনে আমি পুলিশ খবর দিয়েছি।
হাজীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন রনি বলেন, হত্যার ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমান পিপিএম ও হাজীগঞ্জ পৌর মেয়র আ.স.ম. মাহবুব-উল আলম লিপন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।