পুলিশকে জনবান্ধব হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

  • আপডেট: ০৩:৫৫:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২০
  • ২৫

অনলাইন ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের আরো জনবান্ধব হওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, আসলে পুলিশকে জনতারই হতে হবে, জনগণ যেন আস্থা পায়, বিশ্বাস পায় এবং পুলিশের কাছে দাঁড়াতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশের প্রতি আগে মানুষের যে একটা অনীহা ছিল সেটা কিন্তু আর নেই। বরং পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস বৃদ্ধি পেয়েছে। আসলে এটাই সব থেকে বেশি প্রয়োজন। কাজেই আপনারা সেভাবেই কাজ করবেন।

তিনি নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন এবং অগ্রযাত্রায় অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্যও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহবান জানান।-বাসস।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা আপনাদের ওপর স্ব-স্ব দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত করবেন।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে তাঁর কার্যালয়ে (পিএমও) ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২০’ উপলক্ষে উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণে একথা বলেন।

দেশের মানুষের নিরপত্তা প্রদানকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবার আপনারা মুজিব বর্ষে পুলিশ সপ্তাহের যে প্রতিপাদ্য ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ চালু হওয়ায় মানুষের মাঝে একটা

আত্মবিশ্বাস এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,কোথাও কেউ কোন অন্যায় দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে ফোন করছে এবং পুলিশ সেখানে পৌঁছে যাচ্ছে, ব্যবস্থা নিচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের অর্থনীতি যত শক্তিশালী ও মজবুত হবে তত বেশি আমরা আমাদের সকল প্রতিষ্ঠানকে আরো উন্নত করতে পারবো।

তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে আন্তর্জাাতিক বিশ্বে উন্নয়নের রোলমডেল এবং উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে। এটা আমাদের ২০২৪ সাল পর্যন্ত ধরে রাখতে হবে যাতে উন্নয়নশীল দেশের স্থায়ী স্বীকৃতি অর্জন করতে পারি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৭৫-এর পর অনেকের ধারণা ছিল আওয়ামী লীগ আর জীবনে সরকার গঠন করতে পারবে না। কিন্তু বাংলার জনগণের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা জানাই। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সহায় ছিলেন বলেই এতবড় একটা গুরু দায়িত্ব নিতে পেরেছি এবং দেশটাকে উন্নত করতে পেরেছি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন এবং আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

এছাড়া, অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. সফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ কমিশনার আমেনা বেগম, খুলনার পুলিশ কমিশনার খন্দোকার লুৎফুল কবির এবং ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ পুলিশ সদস্যদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রী ২০১৭ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনকালকে মুজিব বর্ষ হিসেবে তাঁর সরকারের ঘোষণার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে ক্ষুধামুক্ত হয়েছে ঠিকই কিন্তু এখনও বাংলাদেশে যারা দরিদ্র বা গৃহহীন, কর্মক্ষমতাহীন তাদের প্রত্যেকের জীবনমানটা যাতে উন্নত হয়, তারা কেউ যেন ক্ষুধার কষ্টে না ভোগে, রোগে শোকে কষ্ট না পায়।’

‘সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর মধ্য দিয়েই মানুষকে একটা সুন্দর জীবন উপহার দেয়াই তাঁর সরকারের লক্ষ্য’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার মূল্যবোধ যেটা আমরা ’৭৫ এর পর হারিয়ে ফেলেছিলাম তা আজকে আবার ফিরে পেয়েছি। মানুষের মনে আজ স্বাধীনতার মূল্যবোধ জাগ্রত। আবার সেই নতুন চেতনা নিয়েই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’
সকলকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন,আমাদের স্বাধীনতার মূল্যরোধটা আর যেন হারিয়ে না যায়। এই অগ্রযাত্রা ভবিষ্যতে যাতে কেউ আর ব্যাহত করতে না পারে।

‘ইনশাল্লাহ বাংলাদেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত করবো, ’যোগ করেন তিনি।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ-অর্থ সম্পাদক হাজীগঞ্জের মাহবুব আলম ২ দিনের রিমান্ডে

পুলিশকে জনবান্ধব হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট: ০৩:৫৫:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২০

অনলাইন ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের আরো জনবান্ধব হওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, আসলে পুলিশকে জনতারই হতে হবে, জনগণ যেন আস্থা পায়, বিশ্বাস পায় এবং পুলিশের কাছে দাঁড়াতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশের প্রতি আগে মানুষের যে একটা অনীহা ছিল সেটা কিন্তু আর নেই। বরং পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস বৃদ্ধি পেয়েছে। আসলে এটাই সব থেকে বেশি প্রয়োজন। কাজেই আপনারা সেভাবেই কাজ করবেন।

তিনি নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন এবং অগ্রযাত্রায় অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্যও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহবান জানান।-বাসস।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা আপনাদের ওপর স্ব-স্ব দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত করবেন।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে তাঁর কার্যালয়ে (পিএমও) ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২০’ উপলক্ষে উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণে একথা বলেন।

দেশের মানুষের নিরপত্তা প্রদানকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবার আপনারা মুজিব বর্ষে পুলিশ সপ্তাহের যে প্রতিপাদ্য ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ চালু হওয়ায় মানুষের মাঝে একটা

আত্মবিশ্বাস এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,কোথাও কেউ কোন অন্যায় দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে ফোন করছে এবং পুলিশ সেখানে পৌঁছে যাচ্ছে, ব্যবস্থা নিচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের অর্থনীতি যত শক্তিশালী ও মজবুত হবে তত বেশি আমরা আমাদের সকল প্রতিষ্ঠানকে আরো উন্নত করতে পারবো।

তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে আন্তর্জাাতিক বিশ্বে উন্নয়নের রোলমডেল এবং উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে। এটা আমাদের ২০২৪ সাল পর্যন্ত ধরে রাখতে হবে যাতে উন্নয়নশীল দেশের স্থায়ী স্বীকৃতি অর্জন করতে পারি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৭৫-এর পর অনেকের ধারণা ছিল আওয়ামী লীগ আর জীবনে সরকার গঠন করতে পারবে না। কিন্তু বাংলার জনগণের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা জানাই। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সহায় ছিলেন বলেই এতবড় একটা গুরু দায়িত্ব নিতে পেরেছি এবং দেশটাকে উন্নত করতে পেরেছি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন এবং আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

এছাড়া, অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. সফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ কমিশনার আমেনা বেগম, খুলনার পুলিশ কমিশনার খন্দোকার লুৎফুল কবির এবং ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ পুলিশ সদস্যদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রী ২০১৭ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনকালকে মুজিব বর্ষ হিসেবে তাঁর সরকারের ঘোষণার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে ক্ষুধামুক্ত হয়েছে ঠিকই কিন্তু এখনও বাংলাদেশে যারা দরিদ্র বা গৃহহীন, কর্মক্ষমতাহীন তাদের প্রত্যেকের জীবনমানটা যাতে উন্নত হয়, তারা কেউ যেন ক্ষুধার কষ্টে না ভোগে, রোগে শোকে কষ্ট না পায়।’

‘সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর মধ্য দিয়েই মানুষকে একটা সুন্দর জীবন উপহার দেয়াই তাঁর সরকারের লক্ষ্য’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার মূল্যবোধ যেটা আমরা ’৭৫ এর পর হারিয়ে ফেলেছিলাম তা আজকে আবার ফিরে পেয়েছি। মানুষের মনে আজ স্বাধীনতার মূল্যবোধ জাগ্রত। আবার সেই নতুন চেতনা নিয়েই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’
সকলকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন,আমাদের স্বাধীনতার মূল্যরোধটা আর যেন হারিয়ে না যায়। এই অগ্রযাত্রা ভবিষ্যতে যাতে কেউ আর ব্যাহত করতে না পারে।

‘ইনশাল্লাহ বাংলাদেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত করবো, ’যোগ করেন তিনি।