তাপমাত্র নেমে আসবে ৪ ডিগ্রিতে

  • আপডেট: ০৩:৪৩:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ১৬

অনলাইন ডেস্ক:

গতকাল রবিবার থেকে তিন দিনের শৈত্যপ্রবাহের কথা থাকলেও গতকাল ও আজ সোমবার সকাল থেকে সূর্যের দেখা মিলেছে। সঙ্গে বেড়েছে তাপমাত্রাও। তবে দেশের ৪৩টি অঞ্চলের মধ্যে ১৮টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে মাঝারি ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

ওদিকে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, জানুয়ারির শুরুতেই একটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে, যেখানে তাপমাত্রা নামতে পারে ৬ থেকে ৪ ডিগ্রিতে। দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, শীতের তীব্রতা জানুয়ারির দিকে আরো বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রিতেও নামতে পারে। হতে পারে আরেকটা শৈত্যপ্রবাহ।

এদিকে, ২ থেকে ৩ জানুয়ারির মধ্যে আবারও হালকা বৃষ্টি হতে পারে। ফলে তাপমাত্রা কমে ফের শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। সোমবার আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, ‘তাপমাত্রা আবার বেড়ে যাবে। তবে ২ থেকে ৩ জানুয়ারি বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি হলেও হালকা হতে পারে। তখন আবার তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আবার শৈত্যপ্রবাহ বইতে পারে।’

আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, রবিবার দেশের ৪৩টি অঞ্চলের মধ্যে ১৮টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। এর মধ্যে ৫টি অঞ্চলে মাঝারি ধরনের (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা) এবং ১৩টি অঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি) বয়ে যাচ্ছে। এ শৈত্যপ্রবাহ আগামী ৩ দিন অব্যাহত থাকতে পারে।

মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়া অঞ্চলগুলোর মধ্যে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি, দিনাজপুরে ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি, শ্রীমঙ্গলে ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি, ডিমলায় ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি ও রাজারহাটে ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।

মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়া অঞ্চলগুলোর মধ্যে রাজশাহীতে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ঈশ্বরদীতে ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি, বগুড়ায় ১০ ডিগ্রি, বদলগাছীতে ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি, তাড়াশে ১০ ডিগ্রি, রংপুরে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি, সৈয়দপুরে ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি, চুয়াডাঙ্গায় ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি, কুমারখালীতে ১০ ডিগ্রি, টাঙ্গাইলে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ময়মনসিংহে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি এবং নেত্রকোনায় ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।

এছাড়া ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ ২০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

হাজীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মাইনুদ্দিন মিয়াজী আটক

তাপমাত্র নেমে আসবে ৪ ডিগ্রিতে

আপডেট: ০৩:৪৩:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

গতকাল রবিবার থেকে তিন দিনের শৈত্যপ্রবাহের কথা থাকলেও গতকাল ও আজ সোমবার সকাল থেকে সূর্যের দেখা মিলেছে। সঙ্গে বেড়েছে তাপমাত্রাও। তবে দেশের ৪৩টি অঞ্চলের মধ্যে ১৮টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে মাঝারি ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

ওদিকে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, জানুয়ারির শুরুতেই একটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে, যেখানে তাপমাত্রা নামতে পারে ৬ থেকে ৪ ডিগ্রিতে। দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, শীতের তীব্রতা জানুয়ারির দিকে আরো বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রিতেও নামতে পারে। হতে পারে আরেকটা শৈত্যপ্রবাহ।

এদিকে, ২ থেকে ৩ জানুয়ারির মধ্যে আবারও হালকা বৃষ্টি হতে পারে। ফলে তাপমাত্রা কমে ফের শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। সোমবার আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, ‘তাপমাত্রা আবার বেড়ে যাবে। তবে ২ থেকে ৩ জানুয়ারি বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি হলেও হালকা হতে পারে। তখন আবার তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আবার শৈত্যপ্রবাহ বইতে পারে।’

আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, রবিবার দেশের ৪৩টি অঞ্চলের মধ্যে ১৮টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। এর মধ্যে ৫টি অঞ্চলে মাঝারি ধরনের (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা) এবং ১৩টি অঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি) বয়ে যাচ্ছে। এ শৈত্যপ্রবাহ আগামী ৩ দিন অব্যাহত থাকতে পারে।

মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়া অঞ্চলগুলোর মধ্যে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি, দিনাজপুরে ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি, শ্রীমঙ্গলে ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি, ডিমলায় ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি ও রাজারহাটে ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।

মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়া অঞ্চলগুলোর মধ্যে রাজশাহীতে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ঈশ্বরদীতে ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি, বগুড়ায় ১০ ডিগ্রি, বদলগাছীতে ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি, তাড়াশে ১০ ডিগ্রি, রংপুরে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি, সৈয়দপুরে ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি, চুয়াডাঙ্গায় ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি, কুমারখালীতে ১০ ডিগ্রি, টাঙ্গাইলে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ময়মনসিংহে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি এবং নেত্রকোনায় ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।

এছাড়া ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ ২০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।