• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯

গুরুত্বপুর্ণ স্থানে বয়া না থাকায় এবং নাব্যতা সংকট
ঘনকুয়াশার কারণে শীতকালে চাঁদপুর মেঘনায় নৌ যান চলাচল ব্যহত
অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

নিজস্ব প্রতিনিধি॥
ঘনকুয়াশার কারণে শীতকালে চাঁদপুরের মেঘনায় নৌ যান চলাচল ব্যহত হয়। চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে দক্ষিণে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত প্রায় ৯০ কিলোমিটার এলাকা হচ্ছে নৌ-সীমানা। মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে রয়েছে প্রায় ৩০টির বেশী চর। চরের মধ্যে বছরের অন্য সময় লঞ্চ আটকা না পড়লেও শীত মৌসুম আসলে ঘন কুয়াশার কারণে প্রায়ই যাত্রীবাহী লঞ্চ, লাইটার জাহাজ ও মালবাহী ট্রলার আটক পড়ে।

লঞ্চগুলো আটক পড়লেই চরম ভোগান্তির শিকার হয় শত শত যাত্রী। এই নৌ-রুটে চাঁদপুরের প্রায় ৪০টি যাত্রীবাহী লঞ্চসহ দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকশ’ লঞ্চে কমপক্ষে ৫০ লাখ যাত্রী প্রতিনিয়ত যাতায়াত করেন। নৌ-চ্যানেলগুলো থেকে বয়া, বিকন বাতি কম থাকা এবং তত্ত্ববধানের অভাবে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে এসব যাত্রীদের।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে কথা হয় চাঁদপুর লঞ্চঘাটে হাই স্পীড কোম্পানীর লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি বিপ্লব সরকারের সাথে। তিনি জানান, নৌরূটগুলোতে নাব্যতা সংকট হলে সাধারণত লঞ্চের মাষ্টার ও জাহাজগুলোর ক্যাপ্টেন বিআইডাব্লিউটিএর নৌ সওজ বিভাগকে অবহিত করেন। তারাই সরেজমিন পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেন।

নৌ-সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগ চাঁদপুরের উপ-পরিচালক মো. মাহমুদুল হাসান জানান, চাঁদরপুর-ঢাকা ও চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ নৌ-পথে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলে ৪০টি। এছাড়া ষাটনল থেকে আজাদ বাজার, চাঁদপুর-হিজলা, চাঁদপুর-নন্দির বাজার, চাঁদপুর-মাদারীপুর, চাঁদপুর-মাওয়াসহ বেশকিছু ছোট-ছোট শাখা নদী রয়েছে এরসাথে। বয়া ও বিকন বাতি না থাকায় মাঝে মাঝে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে নৌযানগুলোকে। তবে শীত মৌসুমে ঘন কুয়াশার কারণে অনেক সময় চরে লঞ্চে আটক পড়ে। নদীতে জেগে উঠা চর কিংবা চ্যানেল ঠিক রাখার জন্য খনন কাজগুলো আমাদের হেড অফিস থেকে নিয়ন্ত্রণ করে।

তিনি আরো বলেন, বয়া ও বিকন বাতিগুলো অনেক মূল্যবান। দেশের বাইরে থেকে আমদানি করা একটি বিকন বাতির দাম পড়ে ৬০-৭০ হাজার টাকা। এসব বাতিগুলোর বিভিন্ন প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ যেমন-সোলার, ব্যাটারি ও বাতি চুরি হয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় নদীতে বর্তমানে এত বাল্কহেড চলছে যে এই বাল্কহেডের ধাক্কায় এসব বাতিসহ এর যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যায়। প্রতি মাসেই প্রায় ৩০টি বয়া ও বিকন বাতি মেরামত করতে হচ্ছে। আমাদের স্থানীয়ভাবে মাত্র ১ হাজার টাকা খরচ করার অনুমতি রয়েছে, এর বেশি খরচ করতে হলে হেড অফিসের অনুমতির প্রয়োজন হয়।

চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান বলেন, চাঁদপুর নৌ সীমানায় বর্তমানে বড় ধরণের কোন চর জেগে উঠেনি। তবে আমরা হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধে একটি চর খনন করার জন্য ২০১৩ সালে প্রকল্প পাঠিয়েছিলাম। ২০১৭ সালে সেই প্রস্তাবটি মন্ত্রণালয় গ্রহন করে। কিন্তু এটি এখন পর্যন্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা ২০১৩ কিলোমিটার চর খননের জন্য প্রকল্প দিলেও এখন চর বড় হয়ে দ্বিগুন হয়েগেছে। এসব খনন কাজ অনেক ব্যয় বহুল। নিরাপদে নৌ-যান চলালের জন্য চ্যানেলগুলো ঠিক রাখতে বিআইডাব্লিউটিএর সওজ বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করছেন।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • চাঁদপুর সদর এর আরও খবর
error: Content is protected !!