ভিসা ছাড়াই দেখা যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা

  • আপডেট: ০৩:৩৮:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ২৪

অনলাইন ডেস্ক:

পঞ্চগড়ে বসে দেশের গণ্ডিতেই পাসপোর্ট ভিসা ছাড়াই দেখা যাচ্ছে হিমালয়ের দ্বিতীয় উচ্চতম ও পৃথিবীর তৃতীয় উচ্চতম পর্বত শৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা। শীত এলেই অনেকেই পঞ্চগড়ে ছুটে আসেন এক পলক এই কাঞ্চনজঙ্ঘার মনোহর দৃশ্য উপভোগ করার জন্য।

প্রকৃতিতে চলছে হেমন্তকাল। হেমন্তের এই সময়টিতেই পঞ্চগড়ের বিভিন্নস্থান দেখে খালি চোখেই হিমালয় পর্বত মালার দ্বিতীয় উচ্চতম ও পৃথিবীর তৃতীয় উচ্চতম পর্বত শৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়। তাই পঞ্চগড়কে হিমালয় কন্যা বলা হয়ে থাকে।

পঞ্চগড়ের প্রায় সব জায়গা থেকেই কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা গেলেও সবচেয়ে ভালো করে উপভোগ করা যায় তেঁতুলিয়ার মহানন্দা নদীর তীরে অবস্থিত জেলা পরিষদের ঐতিহাসিক ডাকবাংলো থেকে।

এই আবহাওয়াতেই চমৎকারভাবে ভেসে উঠে কাঞ্চনজঙ্ঘা। সেই সঙ্গে দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি অঞ্চলও কালো পাহাড়ের মতো দেখা যায়।

স্থানীয়রা জানান, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত হালকা শীতে পরিষ্কার আকাশে এই পর্বত চূড়া দেখা যায়। উত্তরে চোখ গেলেই দেখতে পাবেন খোলা মাঠের ফাঁক দিয়ে চোখের সামনে দাঁড়িয়ে আছে শুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘা।

ভোরের আলোয় এবং বিকালে পর্বত চূড়াটি পোড়া মাটির রঙ নেয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু ঝাপসা হয়ে আসে। তখন রং হয় সাদা। দূর থেকে মনে হয় এ যেন আকাশের গায়ে এক খণ্ড বরফ। পর্বত চূড়াটির নিচ দিয়েই কালো রঙে দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি এলাকা দেখা যায়।

সন্ধ্যায় দার্জিলিংয়ের জ্বলে উঠা বাতি গুলোও এখানে দাঁড়িয়ে দেখা যায়। পাহাড়টি উপভোগ করতে তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রশাসন একটি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করেছে।

রাজশাহী থেকে ঘুরতে আসা বঙ্গবন্ধু কলেজের প্রভাষক রওশন আরা খাতুন বলেন, সত্যিই চোখের সামনে কাঞ্চনজঙ্ঘা ভেসে আছে ভাবতেই পারছি না। একদিকে সীমান্ত নদী মহানন্দা আর মহানন্দার তীরেব সে কাঞ্চনজঙ্ঘা উপভোগ করার মজাই আলাদা।

দিনাজপুর থেকে আসা শাহিনুর বলেন, শীতের এই সময়টিতে পঞ্চগড় থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায় এই খবর শুনে পরিবার নিয়ে এসেছি।

বগুড়া থেকে আসা আব্দুল রশিদ বলেন, খুব ভালো লাগলো পবর্ত চূড়ার অপরূপ সৌন্দর্য দেখে। সেই সঙ্গে আমরা পঞ্চগড়ের সমতলের চাবাগান, বাংলাবান্ধা জিরোপয়েন্ট, মহারাজার দীঘিসহ সকল পর্যটন কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখেছি। সব মিলে পঞ্চগড়ের অপরূপ প্রকৃতি আমাদের মুগ্ধ করেছে।

পাবনা থেকে আসা হাবিবুর রহমান বলেন, এমন বিস্ময়কর সৌন্দর্য আমি আগে কখনো দেখিনি। গত কয়েকদিন আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন থাকায় পর্বতচূড়াটি দেখা যায়নি। আমরা ভাগ্যবান যে এমন দৃশ্য দেখার সুযোগ পেয়েছি।

পরিষ্কার মেঘমুক্ত আকাশেই কেবল কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়। তাই অনেক সময় খুব আগ্রহ নিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে এসে অনেককেই নিরাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হয়। তবে এবার অক্টোবর থেকে বেশ অনেকবার চমৎকারভাবে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা গেছে।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

দেশে HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক

ভিসা ছাড়াই দেখা যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা

আপডেট: ০৩:৩৮:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

পঞ্চগড়ে বসে দেশের গণ্ডিতেই পাসপোর্ট ভিসা ছাড়াই দেখা যাচ্ছে হিমালয়ের দ্বিতীয় উচ্চতম ও পৃথিবীর তৃতীয় উচ্চতম পর্বত শৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা। শীত এলেই অনেকেই পঞ্চগড়ে ছুটে আসেন এক পলক এই কাঞ্চনজঙ্ঘার মনোহর দৃশ্য উপভোগ করার জন্য।

প্রকৃতিতে চলছে হেমন্তকাল। হেমন্তের এই সময়টিতেই পঞ্চগড়ের বিভিন্নস্থান দেখে খালি চোখেই হিমালয় পর্বত মালার দ্বিতীয় উচ্চতম ও পৃথিবীর তৃতীয় উচ্চতম পর্বত শৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়। তাই পঞ্চগড়কে হিমালয় কন্যা বলা হয়ে থাকে।

পঞ্চগড়ের প্রায় সব জায়গা থেকেই কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা গেলেও সবচেয়ে ভালো করে উপভোগ করা যায় তেঁতুলিয়ার মহানন্দা নদীর তীরে অবস্থিত জেলা পরিষদের ঐতিহাসিক ডাকবাংলো থেকে।

এই আবহাওয়াতেই চমৎকারভাবে ভেসে উঠে কাঞ্চনজঙ্ঘা। সেই সঙ্গে দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি অঞ্চলও কালো পাহাড়ের মতো দেখা যায়।

স্থানীয়রা জানান, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত হালকা শীতে পরিষ্কার আকাশে এই পর্বত চূড়া দেখা যায়। উত্তরে চোখ গেলেই দেখতে পাবেন খোলা মাঠের ফাঁক দিয়ে চোখের সামনে দাঁড়িয়ে আছে শুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘা।

ভোরের আলোয় এবং বিকালে পর্বত চূড়াটি পোড়া মাটির রঙ নেয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু ঝাপসা হয়ে আসে। তখন রং হয় সাদা। দূর থেকে মনে হয় এ যেন আকাশের গায়ে এক খণ্ড বরফ। পর্বত চূড়াটির নিচ দিয়েই কালো রঙে দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি এলাকা দেখা যায়।

সন্ধ্যায় দার্জিলিংয়ের জ্বলে উঠা বাতি গুলোও এখানে দাঁড়িয়ে দেখা যায়। পাহাড়টি উপভোগ করতে তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রশাসন একটি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করেছে।

রাজশাহী থেকে ঘুরতে আসা বঙ্গবন্ধু কলেজের প্রভাষক রওশন আরা খাতুন বলেন, সত্যিই চোখের সামনে কাঞ্চনজঙ্ঘা ভেসে আছে ভাবতেই পারছি না। একদিকে সীমান্ত নদী মহানন্দা আর মহানন্দার তীরেব সে কাঞ্চনজঙ্ঘা উপভোগ করার মজাই আলাদা।

দিনাজপুর থেকে আসা শাহিনুর বলেন, শীতের এই সময়টিতে পঞ্চগড় থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায় এই খবর শুনে পরিবার নিয়ে এসেছি।

বগুড়া থেকে আসা আব্দুল রশিদ বলেন, খুব ভালো লাগলো পবর্ত চূড়ার অপরূপ সৌন্দর্য দেখে। সেই সঙ্গে আমরা পঞ্চগড়ের সমতলের চাবাগান, বাংলাবান্ধা জিরোপয়েন্ট, মহারাজার দীঘিসহ সকল পর্যটন কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখেছি। সব মিলে পঞ্চগড়ের অপরূপ প্রকৃতি আমাদের মুগ্ধ করেছে।

পাবনা থেকে আসা হাবিবুর রহমান বলেন, এমন বিস্ময়কর সৌন্দর্য আমি আগে কখনো দেখিনি। গত কয়েকদিন আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন থাকায় পর্বতচূড়াটি দেখা যায়নি। আমরা ভাগ্যবান যে এমন দৃশ্য দেখার সুযোগ পেয়েছি।

পরিষ্কার মেঘমুক্ত আকাশেই কেবল কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়। তাই অনেক সময় খুব আগ্রহ নিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে এসে অনেককেই নিরাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হয়। তবে এবার অক্টোবর থেকে বেশ অনেকবার চমৎকারভাবে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা গেছে।