দর্শক ফেরাতে হলে সিনেমা ও সিনেমা হল ডিজিটালাইজড করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট: ০৩:৫৯:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ২১

অনলাইন ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,দর্শক ফেরাতে হলে সিনেমা ও সিনেমা হল ডিজিটালাইজড করতে হবে। দেশের জেলা-উপজেলা পর্যায়েও সিনেমা হল ডিজিটাল করতে হবে। কেননা, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। এখন মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। তাদের জন্য সময় উপযোগী বিনোদনের ব্যবস্থা করতে হবে।

রোববার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২০১৭ ও ২০১৮ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা চলচ্চিত্রের উন্নয়নে অনেক কিছু করেছি। আরও অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের সিনেমা দর্শক হারিয়েছে। কীভাবে দর্শককে আবারও হলে ফেরানো যায় সেজন্য অনেক উদ্যোগ হাতে নিয়েছি আমরা।’

প্রধান অতিথি হিসেবে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৭ ও ২০১৮’ পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার ও সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান ও তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য সচিব আব্দুল মালেক।

পুরস্কার প্রদান শেষে শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে বিজয়ীদের অভিনন্দন জানান। তথ্যমন্ত্রী ও প্রতিপ্রতিমন্ত্রীর মাধ্যমে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে দেশের চলচ্চিত্র তথা শিল্প-সংস্কৃতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আগ্রহ, ভালোবাসা ও অবদানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিল্পকলার সবগুলো মাধ্যমের ভেতরে সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম চলচ্চিত্র। এর মাধ্যমে মানুষের মনে ব্যাপক পরিবর্তন আনা সম্ভব। মানুষের মনে গভীর দাগ কাটতে পারে এই চলচ্চিত্র। তাই চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হবে মানুষের জন্য।’

তিনি বলেন, দেশে জঙ্গিবাদ আমরা প্রতিরোধ করছি। শুধু আইনের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। চলচ্চিত্র এখানে বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে। সেদিকে আপনারা আরও বেশি নজর দেবেন।

আগামীতে আরও বড় পরিসরে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান করা যায় কিনা সে ব্যাপারে ভাবা যেতে পারে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যেমন আমরা যাদের পুরস্কার প্রদান করছি, তাদের কাজের কিছু অংশ তুলে ধরা যেতে পারে এই অনুষ্ঠানে।

ব্যস্ততার কারণে সিনেমা দেখা হয় না বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে বিদেশ যাওয়ার সময় বিমানে দেশের সিনেমা দেখেন বলে জানান তিনি; যা তাকে মুগ্ধ করে। এ সময় বাংলাদেশের নাটকেরও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গত ৭ নভেম্বর ২০১৭ ও ২০১৮ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেয়া হবে না-রিজভী

দর্শক ফেরাতে হলে সিনেমা ও সিনেমা হল ডিজিটালাইজড করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: ০৩:৫৯:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,দর্শক ফেরাতে হলে সিনেমা ও সিনেমা হল ডিজিটালাইজড করতে হবে। দেশের জেলা-উপজেলা পর্যায়েও সিনেমা হল ডিজিটাল করতে হবে। কেননা, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। এখন মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। তাদের জন্য সময় উপযোগী বিনোদনের ব্যবস্থা করতে হবে।

রোববার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২০১৭ ও ২০১৮ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা চলচ্চিত্রের উন্নয়নে অনেক কিছু করেছি। আরও অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের সিনেমা দর্শক হারিয়েছে। কীভাবে দর্শককে আবারও হলে ফেরানো যায় সেজন্য অনেক উদ্যোগ হাতে নিয়েছি আমরা।’

প্রধান অতিথি হিসেবে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৭ ও ২০১৮’ পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার ও সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান ও তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য সচিব আব্দুল মালেক।

পুরস্কার প্রদান শেষে শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে বিজয়ীদের অভিনন্দন জানান। তথ্যমন্ত্রী ও প্রতিপ্রতিমন্ত্রীর মাধ্যমে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে দেশের চলচ্চিত্র তথা শিল্প-সংস্কৃতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আগ্রহ, ভালোবাসা ও অবদানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিল্পকলার সবগুলো মাধ্যমের ভেতরে সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম চলচ্চিত্র। এর মাধ্যমে মানুষের মনে ব্যাপক পরিবর্তন আনা সম্ভব। মানুষের মনে গভীর দাগ কাটতে পারে এই চলচ্চিত্র। তাই চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হবে মানুষের জন্য।’

তিনি বলেন, দেশে জঙ্গিবাদ আমরা প্রতিরোধ করছি। শুধু আইনের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। চলচ্চিত্র এখানে বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে। সেদিকে আপনারা আরও বেশি নজর দেবেন।

আগামীতে আরও বড় পরিসরে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান করা যায় কিনা সে ব্যাপারে ভাবা যেতে পারে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যেমন আমরা যাদের পুরস্কার প্রদান করছি, তাদের কাজের কিছু অংশ তুলে ধরা যেতে পারে এই অনুষ্ঠানে।

ব্যস্ততার কারণে সিনেমা দেখা হয় না বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে বিদেশ যাওয়ার সময় বিমানে দেশের সিনেমা দেখেন বলে জানান তিনি; যা তাকে মুগ্ধ করে। এ সময় বাংলাদেশের নাটকেরও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গত ৭ নভেম্বর ২০১৭ ও ২০১৮ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।