অনলাইন ডেস্ক:
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের (স্নাতক) শিক্ষার্থী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার (২০) মৃত্যুর ঘটনায় তার কথিত প্রেমিক আবদুর রহমান সৈকতকে চার দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার মহানগর হাকিম মামুনুর রশিদ এই রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন। এদিন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে। দুপুর দেড়টার দিকে সৈকতকে গোয়েন্দা কার্যালয় থেকে আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার রাতে তাকে আটকের পর রোববার সকালে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
ডিবি দক্ষিণ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) রাজীব আল মাসুদ গণমাধ্যমকে জানান, সন্দেহভাজন হিসেবে সৈকতকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। রুম্পা হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হবে।
গতকাল শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সৈকতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়। জানা গেছে, রুম্পার সঙ্গে সৈকতের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ’র ছাত্র।
পারিবারিক সূত্র জানায়, রুম্পা দুটি টিউশনি করে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন। পরে কাজ আছে বলে বাসা থেকে বের হন। বাসা থেকে নিচে নেমে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও পরা স্যান্ডেল বাসায় পাঠিয়ে দিয়ে এক জোড়া পুরোনো স্যান্ডেল পায়ে বেরিয়ে যান তিনি। কিন্তু রাতে আর বাসায় ফেরেননি রুম্পা। পরিবারের লোকজনসহ স্বজনেরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও তার সন্ধান পাননি। পরে খবর পেয়ে রুম্পার মাসহ স্বজনেরা রমনা থানায় গিয়ে মরদেহের ছবি দেখে তাকে শনাক্ত করেন।
উল্লেখ্য, রুম্পার বাবা হবিগঞ্জের একটি পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক। বাবা হবিগঞ্জে থাকলেও মা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঢাকার শান্তিবাগে থাকতেন তিনি।