বাংলাদেশি কিনা নিশ্চিত ছাড়া কাউকে সীমান্ত দিয়ে ঢুকতে দেয়া হবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  • আপডেট: ১০:১৯:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ১৮

অনলাইন ডেস্ক:

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন বাংলাদেশি কিনা নিশ্চিত ছাড়া কাউকে সীমান্ত দিয়ে দেশের মাটিতে ঢুকতে দেয়া হবে না। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বরেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে পুশইনের (অনুপ্রবেশ) প্রচেষ্টা বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান।

সাংবাদিকরা তিনি আরো বলেন, ভারতে জাতীয় নাগরিক তালিকা (এনআরসি) শুরু হওয়ার পর হঠাৎ করেই দেশটি থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার সময় দুই শতাধিকেরও বেশি ব্যক্তিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক করে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে। আশঙ্কার কথা হচ্ছে সীমান্তে পুশইন শুরু হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বিজিবির সহায়তা নিয়ে স্থানীয়রা পুশইন ঠেকাতে পাহারা দিচ্ছেন। এটি আতঙ্কের বিষয় কি না- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটা মোটেও আতঙ্কের বিষয় নয়। আমরা কোনোভাবেই বাংলাদেশি ছাড়া কাউকে বাংলাদেশের মাটিতে ঢুকতে দেব না। ঢুকতে দেব না মানে, আমরা তো রোঙ্গিাদের ঢুকতে দিয়েছি, সেই বিষয় নয়। আমাদের সুনিশ্চিত হতে হবে যেগুলো পুশইন করাচ্ছে, সেগুলো বাংলাদেশের নাগরিক কি না। যদি বাংলাদেশের নাগরিক হয়, তাহলে আমরা এগুলোকে রিসিভ করতে পারি। যদি তারা বাংলাদেশের নাগরিক না হয়, তাহলে তাদের কোনো ক্রমেই গ্রহণ করব না।’

বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যে এটা উস্কানিমূলক কি না-এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘না, কোনো উস্কানিমূলক নয়। যদি হাজার হাজার বা শতশত হতো, তাহলে একটা আলোচনার ব্যবস্থা হতো। ভারত সরকার তো আমাদের কাছে কোনো চিঠি দেয়নি, কোনো আবেদনও করেনি। যারাই গিয়েছিল তারাই পালিয়ে আসছেন কি না কিংবা অবৈধভাবে গিয়েছেন বা অবৈধভাবে ফেরত আসছেন কি না-সবকিছু আমাদের জানতে হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সুনিশ্চিত না হয়ে কাউকে আমাদের মাটিতে ঢুকতে দেব না, এটা হলো আমাদের কথা। আমাদের বিজিবিও সেজন্য সচেতন আছে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশ থেকে বিভিন্ন সময়ে পাসপোর্ট নিয়ে অনেকেই গিয়ে থাকেন। যখন ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায় তখন এদেরকে পাঠিয়ে দেয়। এরকম ঘটনা যদি কিছু হয়ে থাকে, তাহলে আমরা অবশ্যই রিসিভ করব। আতঙ্কের কোনো কারণ নেই।’

আগের চেয়ে তো পুশইনের সংখ্যা বেড়েছে-এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘হয়তো কিছু বেড়েছে, আমি সেটা অস্বীকার করছি না। তাদের রাজ্যে একটু কড়াকড়ি করেছে। সেজন্য হয়তো আমাদের যারা ইচ্ছা করে থেকে গেছেন কিংবা তারা ভিসার তোয়াক্কা করে নাই বা তারা অনেকদিন ধরে থেকে গেছেন, এ বিষয়ে চিন্তা করেন নাই, তারা হয়তো আবারও এরকমভাবে আন-অফিসিয়ালি আসার জন্য প্রচেষ্টা নিতে পারেন। এগুলো আমাদের অ্যাজাম্পশন, যেহেতু আমাদের সঙ্গে তারা কোনোভাবে আলোচনায় আসেনি।’

‘আমাদের দেশের মানুষ অনেক বছর ধরে ওখানে (ভারতে) যাওয়া-আসা করে। কেউ শ্রমজীবী হিসেবে, কেউ পেশাদার হিসেবে যায়, কেউ অন্য কোনো সেবা যেমন, চিকিৎসা বা পড়াশোনা করার জন্য যায়। তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়ে থাকলে হয়তো তাদের এই জটিলতা দেখা দিয়েছে। এরকম হতে পারে’ বলেন আসাদুজ্জামান খান।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ঋণের কথা বলে শাহবাগে সমাবেশের ডাক, অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের আহ্বায়ক মোস্তফা আটক

বাংলাদেশি কিনা নিশ্চিত ছাড়া কাউকে সীমান্ত দিয়ে ঢুকতে দেয়া হবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট: ১০:১৯:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন বাংলাদেশি কিনা নিশ্চিত ছাড়া কাউকে সীমান্ত দিয়ে দেশের মাটিতে ঢুকতে দেয়া হবে না। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বরেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে পুশইনের (অনুপ্রবেশ) প্রচেষ্টা বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান।

সাংবাদিকরা তিনি আরো বলেন, ভারতে জাতীয় নাগরিক তালিকা (এনআরসি) শুরু হওয়ার পর হঠাৎ করেই দেশটি থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার সময় দুই শতাধিকেরও বেশি ব্যক্তিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক করে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে। আশঙ্কার কথা হচ্ছে সীমান্তে পুশইন শুরু হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বিজিবির সহায়তা নিয়ে স্থানীয়রা পুশইন ঠেকাতে পাহারা দিচ্ছেন। এটি আতঙ্কের বিষয় কি না- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটা মোটেও আতঙ্কের বিষয় নয়। আমরা কোনোভাবেই বাংলাদেশি ছাড়া কাউকে বাংলাদেশের মাটিতে ঢুকতে দেব না। ঢুকতে দেব না মানে, আমরা তো রোঙ্গিাদের ঢুকতে দিয়েছি, সেই বিষয় নয়। আমাদের সুনিশ্চিত হতে হবে যেগুলো পুশইন করাচ্ছে, সেগুলো বাংলাদেশের নাগরিক কি না। যদি বাংলাদেশের নাগরিক হয়, তাহলে আমরা এগুলোকে রিসিভ করতে পারি। যদি তারা বাংলাদেশের নাগরিক না হয়, তাহলে তাদের কোনো ক্রমেই গ্রহণ করব না।’

বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যে এটা উস্কানিমূলক কি না-এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘না, কোনো উস্কানিমূলক নয়। যদি হাজার হাজার বা শতশত হতো, তাহলে একটা আলোচনার ব্যবস্থা হতো। ভারত সরকার তো আমাদের কাছে কোনো চিঠি দেয়নি, কোনো আবেদনও করেনি। যারাই গিয়েছিল তারাই পালিয়ে আসছেন কি না কিংবা অবৈধভাবে গিয়েছেন বা অবৈধভাবে ফেরত আসছেন কি না-সবকিছু আমাদের জানতে হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সুনিশ্চিত না হয়ে কাউকে আমাদের মাটিতে ঢুকতে দেব না, এটা হলো আমাদের কথা। আমাদের বিজিবিও সেজন্য সচেতন আছে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশ থেকে বিভিন্ন সময়ে পাসপোর্ট নিয়ে অনেকেই গিয়ে থাকেন। যখন ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায় তখন এদেরকে পাঠিয়ে দেয়। এরকম ঘটনা যদি কিছু হয়ে থাকে, তাহলে আমরা অবশ্যই রিসিভ করব। আতঙ্কের কোনো কারণ নেই।’

আগের চেয়ে তো পুশইনের সংখ্যা বেড়েছে-এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘হয়তো কিছু বেড়েছে, আমি সেটা অস্বীকার করছি না। তাদের রাজ্যে একটু কড়াকড়ি করেছে। সেজন্য হয়তো আমাদের যারা ইচ্ছা করে থেকে গেছেন কিংবা তারা ভিসার তোয়াক্কা করে নাই বা তারা অনেকদিন ধরে থেকে গেছেন, এ বিষয়ে চিন্তা করেন নাই, তারা হয়তো আবারও এরকমভাবে আন-অফিসিয়ালি আসার জন্য প্রচেষ্টা নিতে পারেন। এগুলো আমাদের অ্যাজাম্পশন, যেহেতু আমাদের সঙ্গে তারা কোনোভাবে আলোচনায় আসেনি।’

‘আমাদের দেশের মানুষ অনেক বছর ধরে ওখানে (ভারতে) যাওয়া-আসা করে। কেউ শ্রমজীবী হিসেবে, কেউ পেশাদার হিসেবে যায়, কেউ অন্য কোনো সেবা যেমন, চিকিৎসা বা পড়াশোনা করার জন্য যায়। তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়ে থাকলে হয়তো তাদের এই জটিলতা দেখা দিয়েছে। এরকম হতে পারে’ বলেন আসাদুজ্জামান খান।