হাইকোর্টের আদেশ বহাল:গ্রামীণ ফোন ৩ মাসের মধ্যে বিটিআরসিকে দিতে হবে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা

  • আপডেট: ০৪:৪৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৯
  • ২৩

অনলাইন ডেস্ক:

বিটিআরসির নিরীক্ষা দাবির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকার বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ফলে আগামী ৩ মাসের মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকা দেওয়া সাপেক্ষে গ্রামীণফোনের কাছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা

অন্যথায় এবিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশটি (ভ্যাকেট) বাতিল হয়ে যাবে বলে আদেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রোববার এই আদেশ দেন।

এসময় আদালতে বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব। গ্রামীণফোনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শেখ ফজলে নূর তাপস ও মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী।

আজকের আদেশের বিষয়ে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী বলেন: ‘আগামি ৩ মাসের মধ্যে বিটিআরসিকে ২ হাজার কোটি টাকা দিতে গ্রামীণফোনের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এই সময়ের মধ্যে টাকা না দিলে বিটিআরসির পাওনা আদায়ের ওপর হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার আদেশটি বাতিল হয়ে যাবে।’

এর আগে গত ১৪ নভেম্বর গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে আপিল বিভাগকে জানানো হয় যে, তারা অর্থমন্ত্রী ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর সাথে সমঝোতা বৈঠকের প্রস্তাবনা অনুযায়ী ২০০ কোটি টাকা বিটিআরসিকে দিতে রাজি আছে।
এরপর গত ১৮ নভেম্বর আপিল বিভাগ এবিষয়ে আদেশের জন্য ২৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। এবং এইসময়ের মধ্যে গ্রামীণফোনকে অন্য কোনো ফোরামে এবিষয়ে মধ্যস্থতা না করতে বলা হয়।

গ্রামীণফোনের কাছে ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বলে চলতি বছর দাবি করে বিটিআরসি। এ পাওনার উৎস গ্রামীণফোনের ওপর ১৯৯৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত এবং রবির ওপর ১৯৯৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত। তবে গ্রামীণফোন ও রবি সব সময় বলে আসছে যে তাদের যুক্তি নিরীক্ষায় বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।

একপর্যায়ে বিটিআরসির দাবি করা টাকার অঙ্ক নিয়ে আপত্তি তুলে নিম্ন আদালতে একটি টাইটেল স্যুট (স্বত্তের মামলা) মামলা করে গ্রামীণফোন। ওই মামলাটি আদালত গ্রহণ করে। ওই টাইটেল স্যুটের অধীনেই গ্রামীণফোন বিটিআরসির পাওনা আদায়ের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করে, যা গত ২৮ অাগস্ট নিম্ন আদালত খারিজ করে দেয়।

নিম্ন আদালতের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে পরে হাইকোর্টে আপিল করে গ্রামীণফোন। এরপর সে আপিলটি শুনানির জন্য গ্রহণ করে বিটিআরসির পাওনা আদায়ের ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। এরপর হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে বিটিআরসি।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

কিস্তির আসায় হাজীগঞ্জ থেকে কয়েক শতাধিক নারী-পুরুষ গেলো ঢাকায়!

হাইকোর্টের আদেশ বহাল:গ্রামীণ ফোন ৩ মাসের মধ্যে বিটিআরসিকে দিতে হবে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা

আপডেট: ০৪:৪৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

বিটিআরসির নিরীক্ষা দাবির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকার বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ফলে আগামী ৩ মাসের মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকা দেওয়া সাপেক্ষে গ্রামীণফোনের কাছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা

অন্যথায় এবিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশটি (ভ্যাকেট) বাতিল হয়ে যাবে বলে আদেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রোববার এই আদেশ দেন।

এসময় আদালতে বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব। গ্রামীণফোনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শেখ ফজলে নূর তাপস ও মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী।

আজকের আদেশের বিষয়ে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী বলেন: ‘আগামি ৩ মাসের মধ্যে বিটিআরসিকে ২ হাজার কোটি টাকা দিতে গ্রামীণফোনের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এই সময়ের মধ্যে টাকা না দিলে বিটিআরসির পাওনা আদায়ের ওপর হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার আদেশটি বাতিল হয়ে যাবে।’

এর আগে গত ১৪ নভেম্বর গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে আপিল বিভাগকে জানানো হয় যে, তারা অর্থমন্ত্রী ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর সাথে সমঝোতা বৈঠকের প্রস্তাবনা অনুযায়ী ২০০ কোটি টাকা বিটিআরসিকে দিতে রাজি আছে।
এরপর গত ১৮ নভেম্বর আপিল বিভাগ এবিষয়ে আদেশের জন্য ২৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। এবং এইসময়ের মধ্যে গ্রামীণফোনকে অন্য কোনো ফোরামে এবিষয়ে মধ্যস্থতা না করতে বলা হয়।

গ্রামীণফোনের কাছে ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বলে চলতি বছর দাবি করে বিটিআরসি। এ পাওনার উৎস গ্রামীণফোনের ওপর ১৯৯৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত এবং রবির ওপর ১৯৯৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত। তবে গ্রামীণফোন ও রবি সব সময় বলে আসছে যে তাদের যুক্তি নিরীক্ষায় বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।

একপর্যায়ে বিটিআরসির দাবি করা টাকার অঙ্ক নিয়ে আপত্তি তুলে নিম্ন আদালতে একটি টাইটেল স্যুট (স্বত্তের মামলা) মামলা করে গ্রামীণফোন। ওই মামলাটি আদালত গ্রহণ করে। ওই টাইটেল স্যুটের অধীনেই গ্রামীণফোন বিটিআরসির পাওনা আদায়ের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করে, যা গত ২৮ অাগস্ট নিম্ন আদালত খারিজ করে দেয়।

নিম্ন আদালতের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে পরে হাইকোর্টে আপিল করে গ্রামীণফোন। এরপর সে আপিলটি শুনানির জন্য গ্রহণ করে বিটিআরসির পাওনা আদায়ের ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। এরপর হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে বিটিআরসি।