নিজস্ব প্রতিবেদক:
কার্গো বিমানে করে পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণায় থমকে দাঁড়িয়েছে দেশের পেঁয়াজের বাজার। আড়ত, পাইকারি কিংবা খুচরা বাজার কোথাও ক্রেতা নেই। মজুত করা পেঁয়াজ যে যার মতো করে বিক্রি করে দেয়ার চেষ্টা করছেন। ফলে সব বাজারেই পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। পাইকারি বাজারে আগের দিন যেখানে ২২০ থেকে ২৪০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল সেখানে শুক্রবার বিক্রি হয় অন্তত ৫০ থেকে ৮০ টাকা কমে। চাঁদপুর জেলার কোন কোন বাজারে ১৭০ টাকা কোথাও ১৫০ টাকা আবার ১২০ টাকায় কেউ কেউ পেঁয়াজ বিক্রয় করছে। তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা এক দুই বস্তার বেশী পেঁয়াজ ক্রয় করছেননা। ফলে পাইকারী ব্যবসায়ীরা লোকসানের আশঙ্কায় রয়েছে। এছাড়া পেঁয়াজ পচনশীল দ্রব্য হওয়ায় প্রতিদিনই পচে লোকশান হচ্ছে পাইকারী ব্যবসায়ীদের।
খুচরা বাজারে চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে ২৬০ থেকে ২৭৫ টাকা কেজিদরে বিক্রি হওয়া দেশী পেঁয়াজ সোমবার বিক্রি হয় ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায়। দেশী হাইব্রিড পেঁয়াজ ১৫০ থেকে ১৮০ এবং মিসরের পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাকগুলোর সামনে গতকালও যথারীতি উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা যায়। এ সময় নিম্ন আয়ের মানুষদের দুই থেকে তিন ঘণ্টা লাইন ধরে ন্যায্যমূল্যের পেঁয়াজ কিনতে দেখা যায়।
ভ্যানে করে যারা বিক্রি করতেন তাদের অনেকেই বুধবার ভ্যানে পেঁয়াজ তোলেননি। বিক্রেতাদের আশঙ্কা, কয়েক দিনের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম কমে যাবে। এখন বাড়তি টাকায় কিনলে লোকসান গুণতে হবে। এ দিকে দাম কমে যাওয়ার আশঙ্কায় অনেক খুচরা বিক্রেতা গতকাল লোকসান দিয়ে পেঁয়াজ বিক্রি করে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। কোথাও কোথাও নষ্ট-পচা পেঁয়াজ বিক্রি করতেও দেখা যায়।