নিজস্ব প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অফিসে দুদক অভিযান চালিয়েছে। মৎস্য অফিসে জেলেদের প্রশিক্ষণ, সেলাই মেশিন ও ভ্যানগাড়ী বিতরণে নানান অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচলনা করা হয়। তবে অভিযানের সময় মৎস্য অফিসে কোন উধর্বতন কর্মকর্তা ছিলেননা।
জানাযায়, মৎস্য অফিসে চলতি অর্থ বছরে জেলেদের প্রশিক্ষণ বাবদ বরাদ্ধ পায় ৩৭ লাখ টাকা। এ সব টাকা মাত্র ১১ ধাপে ২০জন করে ২২০জন জেলেকে নামে মাত্র প্রশিক্ষণ প্রদান করে কিছু টাকা ব্যয় করেক বাকী টাকা আত্মসাত করে ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা।
এসব অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক ও বিভিন্ন নিউজ পোর্টাল গুরুত্বসহকারে সংবাদ প্রকাশ করে। সংবাদের ভিত্তিতে দুদক সজেকা (কুমিল্লা আঞ্চলিক জেলা সমন্বয় কার্যালয়) এর সহকারি পরিচালক এইচ এম আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি টিম বৃহস্পতিবার হাজীগঞ্জ মৎস্য অফিসে বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত করে।
দুদকের সজেকা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক এইচ এম আখতরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, জেলেদের প্রশিক্ষণের নামে টাকা আত্মসাতের বিষয়ে তদন্ত চলছে। কোন অনিয়ম পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, এ অফিসে কাগজপত্রে তথ্যের অনেক ফারাক রয়েছে। অনেক কাগজপত্র নেই। তাদের কাছে তথ্য চেয়েও পাওয়া যাচ্ছেনা। জেলেদের তালিকাতেও ব্যাপক গড়মিল দেখা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, হাজীগঞ্জ উপজেলায় সরকারের তালিকভূক্ত ১৮’শ ২৫জন জেলে রয়েছে। এদের মধ্যে ৬১০জনকে বিভিন্ন উপকরণ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে সাবেক ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা কয়েকজনের যোগসাজসে মৎস্য অফিসকে দূর্নীতির আখড়া বানিয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত সাবেক) নতুনেরকথাকে জানান, বিষয়টি নিয়ে আমাদের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী স্যার তদন্ত করেছে। কোন অনিয়মই পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, কোন অনিয়মই হয়নি। জেলেদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তাদের নির্ধারিত ভাতাও প্রদান করা হয়েছে।