রেজাউল করিম নয়ন/ গাজী মহিনউদ্দিন:
হাজীগঞ্জ উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী তৃণমূলে নেতাকর্মীদের আস্তাভাজন সাবেক ছাত্রনেতা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ফিরোজ আলম হীরা। ফিরোজ আলম হীরা গন্ধর্ব্যপুর গ্রামের হাজী বাড়ির হাছান মাস্টারের ছেলে। আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে তারা পারিবারিকভাবে জড়িত।
ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন সাবেক এ ছাত্রলীগ নেতা। প্রত্যেক ওয়ার্ডে নেতাকর্মীদের কাছে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। ১৯৯২ সালের ২ সেপ্টেম্বর সাবেক ৩নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক হিসেবে ২ মাস দায়িত্ব পালন করার পর ১৯৯৩ সালে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নজরে আসেন তিনি। এরপর ১৯৯৪ সালে গন্ধর্ব্যপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার হাত ধরেই এ ইউনিয়নে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কর্মকান্ড সু-প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০২ সালে নেতাকর্মীদের সমর্থনে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দুঃসময়ে সংগঠনের হাল ধরে রাখেন।
হীরা ১৯৯৪ সালে দাখিল পাশ করেন। ১৯৯৬ সালে হাজীগঞ্জ আহমাদিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে আলিম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৯৮ সালে এই মাদ্রাসা থেকে ফাজিল পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়েছেন। ১৯৯৯-২০০০ শিক্ষা বর্ষে কামিল কোর্সে ভর্তি হলেও রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি তাকে। এর পর রাজনৈতিক মামলা হামলার শিকার হয়ে টানা ১০ মাস কারাবরণ করতে হয়েছে তাকে।
বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর ফিরোজ আলম হীরা ও তার পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে। হামলা মামলার কারণে পালিয়ে জীবন যাপন করার এক পর্যায়ে ২০০৩ সালে জীবিকার তাগিতে সৌদি আরবে ফাঁড়ি জমায়।
প্রবাস জীবনেও সৌদি আরবের যুবাইল শাখা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দেশে ফিরে আসেন হীরা। এর পর আওয়ামী লীগের সংগঠন গোছানোর দায়িত্ব নিয়ে নিরলস পরিশ্রম করেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজ ইউনিয়ন ও এলাকায় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত করেন।
২০১২ সালে নেতাকর্মীদের সমর্থনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়ে বিজয়ী প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে সূচনীয় পরাজয় ঘটলেও নেতাকর্মীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ আসছেন তিনি। বর্তমানে তিনি জেলা বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এরপর প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জন সেবার পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের পাশে থাকার চেষ্টা করেন। এবারও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের দাবীর মুখে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ফিরোজ আলম হীরা।
ফিরোজ আলম হীরা বলেন, আমি ওয়ার্ড ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক থেকে আমার রাজনীতি শুরু। পর্যায়ক্রমে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি পদে নেতাকর্মীদের সমর্থনে নির্বাচিত হই। আমি যখন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হই এর আগে কোন কমিটি ছিল না। রাজনীতি করার কারণে দশ মাস কারাবরণ করেছি। ২০১২ সালে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছি। তখন নেতাকর্মীরা আমাকে ভোট দিয়েছে আমি দ্বিতীয় হয়েছি। সামান্য ব্যবধানে পরাজিত হয়েছি। আমার বিশ্বাস এবার নেতাকর্মীর আমাকে ভোট দিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত করবে।