হাজীগঞ্জ, ১২ নভেম্বর, মঙ্গলবার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের সংসদ সদস্য, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম।
জননন্দিত এই নেতা বলেন, ‘তূর্ণা নিশীথা ও উদয়ন ট্রেনের দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত সব পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা। যারা নিহত হয়েছে তাদেরকে আল্লাহ জান্নাত নসিব করুন আর যারা আহত হয়েছে সবাইকে আল্লাহ দ্রুত সুস্থ্যতা দান করুন।
সোমবার দিবাগত রাত ৩টায় মন্দবাগ এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা এবং সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রাম অভিমুখী উদয়ন এক্সপ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে অর্ধশতাধিক যাত্রী।
ঘটনা তদন্তে এরই মধ্যে ৫টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে ট্রেনের লেকোমাস্টারসহ তিনজনকে।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মন্দবাগ নামক স্থানে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভোর ২টা ৫৬ মিনিটে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে আন্তনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুটি ট্রেনে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ১৬ যাত্রী। এর মধ্যে চাঁদপুরের ৫জন রয়েছে। নিহতরা হলেন হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজারগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম রাজারগাঁও গ্রামের বেপারী বাড়ীর মৃত আব্দুুল জলিলের ছেলে মজিবুর রহমান (৫০) ও তার স্ত্রী কুলসুমা বেগম (৪২)। চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের উত্তর বালিয়া গ্রামের বিল্লাল বেপারীর মেয়ে ফারজানা আক্তার (২০), হাইমচর উপজেলার ঈশানপুরের গ্রামের জাহাঙ্গীরের মেয়ে মরিয়ম বেগম (৬) একই উপজেলার দক্ষিণ ঈশানপুরের মঈনউদ্দিনের স্ত্রী কাকলী (২০) ।