শাহানা আকতার॥
হাজীগঞ্জে আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে সরগরম হচ্ছে মাঠ। ইতো মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীরা যাওয়া শুরু করেছে কাউন্সিলরদের দ্বারে দ্বারে। ১৪ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে পৌর আওয়ামীলীগের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিল, শেষ হবে ১৯ নভেম্বর। এর পরই পৌর আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রায় ৭ বছর পর এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্মেলনকে ঘিরে আনাগোনা শুরু হয়েছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক রয়েছে সরগরম। অনেকেই ব্যানার, ফেস্টুন দিয়ে জানান দিচ্ছে প্রার্থীতা। প্রায় ৭ বছর পর আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আসন্ন হাজীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন হাজীগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের ৯০ দশকের সভাপতি মো. আহসান উল্যাহ মৃধা।
আহসান উল্যাহ মৃধা আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, দীর্ঘ দিন ধরে আওয়ামী পরিবারের রাজনীতির সাথে জড়িত। আমি একটি এলাকায় থেকে আওয়ামী লীগ করে আসছি, সেখানে আওয়ামীলীগ করাটা দুরূহ ব্যাপার। অনেক মামলা-হামলা হয়েছে। তার পরেও এ দল থেকে সরে যায়নি।
তিনি বলেন, দূঃসময়ে আওয়ামীলীগের হাল ধরেছি। আসন্ন কাউন্সিলে আমি পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। আওয়ামী লীগের কর্মীরা আমার অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ বিবেচনা করে অবশ্যই আমার পক্ষে রায় দিবেন।
আহসান উল্যাহ মৃধা জানান, আমার পিতা মরহুম আলহাজ¦ আনোয়ার উল্যাহ মৃধা সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ডিস্ট্রিক্ট মার্কেটিং অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চাকুরী থেকে অবসর নিয়ে পাট ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। আমরা পারিবারিকভাবে ব্যবসায়ী।
তিনি বলেন, আমি ৯০ দশকে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম, পরর্তীকে চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সদস্য, চাঁদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক ছিলাম ৩ মাস। আমার নেতৃত্বেই চাঁসক কলেজের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক।
আহসান উল্যাহ মৃধা বলেন, আমি বর্তমানে পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি।
আহসান উল্যাহ মৃধা রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িকভাবে বনেদি পরিবারের সন্তান। আওয়ামী রাজনীতি পরিবারের সদস্য এবং একজন ব্যবসায়ী।
তিনি পারিবারিকভাবেও একজন সফল। তার স্ত্রী প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষিকা। তার শ্বশুর মরহুম হুমায়ুন কবির মজুমদার ছিলেন শাহরাস্তি উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রবীণ নেতা, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য, চাঁদপুর জেলা পরিষদের সদস্য ও বৃহত্তর টামটা ইউনিয়নের ৩০ বছরের সফল ইউপি চেয়ারম্যান।