আবারো বুক পেতে লাখো মানুষ রক্ষা করলো সুন্দরবন

  • আপডেট: ০৫:৩৫:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০১৯
  • ১৬

অনলাইন ডেস্ক:

পশ্চিমবঙ্গে তাণ্ডব চালানোর পর দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এখন বাংলাদেশের খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা অঞ্চলে অতিক্রম করছে। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ প্রবেশের মুখে একপাশে ছিল পশ্চিমবঙ্গ, আর সুন্দরবন ছিল তিন পাশে। বাংলাদেশের দিকে যত এগিয়ে আসছে ততই শক্তি হারাচ্ছে বুলবুল। আর প্রতিবারের মত এবারও ঘূর্ণিঝড়ের ধ্বংসযজ্ঞে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে সুন্দরবন। এক কথায় নিজের বুক পেতে রক্ষা করছে বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষের জান ও মাল।

যেহেতু ঘূর্ণিঝড় উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছিল, সুন্দরবনের কারণে তার অবস্থানের পরিবর্তন কমে এসেছে। ঘূর্ণিঝড়ের নিজস্ব শক্তিও কমে আসে। এ কারণে উপকূল অতিক্রম করতে গিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের দীর্ঘক্ষণ সময় লেগেছে। ফলে পূর্ণ শক্তি নিয়ে বুলবুল বাংলাদেশের স্থলভাগে আঘাত করতে পারেনি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল যে গতিতে আসার কথা ছিল, সেই গতিতে আসেনি। ঘূর্ণিঝড়টি জলভাগের ওপর তেমন শক্তি প্রয়োগ করতে পা্রে নি। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে আঘাতের সময় এটি গাছ, স্থাপনাসহ বিভিন্ন কিছুর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, বাধা প্রাপ্ত হয়। এ কারণে গতি আস্তে আস্তে কমে যায়।

এদিকে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

গভীর নিম্নচাপটির প্রভাবে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুমিল্লা, ঢাকা, সিলেট ও ময়মনসিংহ জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিসহ ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

হাজীগঞ্জে বাজার তদারকি অভিযানে ২ প্রতিষ্ঠানকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা

আবারো বুক পেতে লাখো মানুষ রক্ষা করলো সুন্দরবন

আপডেট: ০৫:৩৫:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

পশ্চিমবঙ্গে তাণ্ডব চালানোর পর দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এখন বাংলাদেশের খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা অঞ্চলে অতিক্রম করছে। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ প্রবেশের মুখে একপাশে ছিল পশ্চিমবঙ্গ, আর সুন্দরবন ছিল তিন পাশে। বাংলাদেশের দিকে যত এগিয়ে আসছে ততই শক্তি হারাচ্ছে বুলবুল। আর প্রতিবারের মত এবারও ঘূর্ণিঝড়ের ধ্বংসযজ্ঞে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে সুন্দরবন। এক কথায় নিজের বুক পেতে রক্ষা করছে বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষের জান ও মাল।

যেহেতু ঘূর্ণিঝড় উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছিল, সুন্দরবনের কারণে তার অবস্থানের পরিবর্তন কমে এসেছে। ঘূর্ণিঝড়ের নিজস্ব শক্তিও কমে আসে। এ কারণে উপকূল অতিক্রম করতে গিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের দীর্ঘক্ষণ সময় লেগেছে। ফলে পূর্ণ শক্তি নিয়ে বুলবুল বাংলাদেশের স্থলভাগে আঘাত করতে পারেনি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল যে গতিতে আসার কথা ছিল, সেই গতিতে আসেনি। ঘূর্ণিঝড়টি জলভাগের ওপর তেমন শক্তি প্রয়োগ করতে পা্রে নি। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে আঘাতের সময় এটি গাছ, স্থাপনাসহ বিভিন্ন কিছুর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, বাধা প্রাপ্ত হয়। এ কারণে গতি আস্তে আস্তে কমে যায়।

এদিকে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

গভীর নিম্নচাপটির প্রভাবে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুমিল্লা, ঢাকা, সিলেট ও ময়মনসিংহ জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিসহ ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।