হাজীগঞ্জে কোদালিয়া খাল দখল করে বাঁধ নির্মাণ

  • আপডেট: ০৫:১৩:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০১৯
  • ২৪

গাজী মহিনউদ্দিন:
হাজীগঞ্জ উপজেলায় বিএডিসি’র সেচ প্রকল্পের আওতাধীন কোদালিয়া খাল দখল করে বাঁধ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ৯নং গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের মৈশামুড়ায় অবৈধ বাঁশের জালি, দোয়াড়, ভেসাল জাল ব্যবহার করে মাছ শিকারের মহোৎসবে পরিণত হয়েছে।

কৃষি উন্নয়নে সেচ প্রকল্পের আওতাধীন এ খালটিতে মাছ চলাচলে বাধা সৃষ্টির পাশাপাশি কৃষি জমিতে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এতে দেশীয় প্রজাতির মাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে। দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রজনন ধ্বংস করা হলেও কতৃপক্ষের নজরে আসছে না খালটি।

উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের ইরি-বোরো ধান চাষের পানি ডাকাতিয়া নদীর প্রবাহের জন্য ব্যবহৃত একমাত্র খালের মৈশামুড়া স্ক্রিমে অবৈধ বাঁধ নির্মাণ করে জন প্রতি দুই’শ টাকা ধরে মাছ শিকারের আয়োজন করেন ৯নং গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলী আকবর শেখ।

মুক্ত জলায়শয়ের মাছ এবং কৃষি চাষাবাদের পানি সরবরাহকারী খালের বিভিন্ন স্থানে বাঁধ নির্মাণ করায় মরাখালে পরিণত হয়েছে কোদালিয়া খালটি।

উপজেলার ৯নং গন্ধব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের মৈশামুড়া ইরি-বোরো (ইরিগেশন) স্ক্রিমের ম্যানেজার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলী আকবর শেখ জোরপূর্বক খালের বিভিন্ন স্থানে দখল করে বাঁধ দিয়ে আসছে। তার ভয়ে কেউ কথা বলে না। মৈশামুড়া বড় বাড়ির পশ্চিম পাশে অবস্থিত খালটিতে বাঁধ দিয়ে ব্যবসা করে আসছে বলে জানান কয়েকজন কৃষক।

উপজেলা মৎস অধিদপ্তরের ক্ষেত্র সহকারি মো. মাহবুব বলেন সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। এ বিষয়ে আলী আকবর শেখকে বাঁধ উঠিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

উপজেলা বিএডিসি সেচ প্রকল্পের কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মামুনুর রশিদ বলেন, খাল খননের দায়িত্ব আমাদের খাল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ডের। তারপরও খালটিতে গিয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়–য়া বলেন, নদী-খাল বিলে মুক্তজলাশয়ে মাছ এবং পানি প্রবাহ দন্ডনী অপরাধ। বাঁধ নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্ব-স্ব দপ্তরকে বলা হয়েছে। যদি বাঁধ সরানো না হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

কিস্তির আসায় হাজীগঞ্জ থেকে কয়েক শতাধিক নারী-পুরুষ গেলো ঢাকায়!

হাজীগঞ্জে কোদালিয়া খাল দখল করে বাঁধ নির্মাণ

আপডেট: ০৫:১৩:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০১৯

গাজী মহিনউদ্দিন:
হাজীগঞ্জ উপজেলায় বিএডিসি’র সেচ প্রকল্পের আওতাধীন কোদালিয়া খাল দখল করে বাঁধ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ৯নং গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের মৈশামুড়ায় অবৈধ বাঁশের জালি, দোয়াড়, ভেসাল জাল ব্যবহার করে মাছ শিকারের মহোৎসবে পরিণত হয়েছে।

কৃষি উন্নয়নে সেচ প্রকল্পের আওতাধীন এ খালটিতে মাছ চলাচলে বাধা সৃষ্টির পাশাপাশি কৃষি জমিতে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এতে দেশীয় প্রজাতির মাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে। দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রজনন ধ্বংস করা হলেও কতৃপক্ষের নজরে আসছে না খালটি।

উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের ইরি-বোরো ধান চাষের পানি ডাকাতিয়া নদীর প্রবাহের জন্য ব্যবহৃত একমাত্র খালের মৈশামুড়া স্ক্রিমে অবৈধ বাঁধ নির্মাণ করে জন প্রতি দুই’শ টাকা ধরে মাছ শিকারের আয়োজন করেন ৯নং গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলী আকবর শেখ।

মুক্ত জলায়শয়ের মাছ এবং কৃষি চাষাবাদের পানি সরবরাহকারী খালের বিভিন্ন স্থানে বাঁধ নির্মাণ করায় মরাখালে পরিণত হয়েছে কোদালিয়া খালটি।

উপজেলার ৯নং গন্ধব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের মৈশামুড়া ইরি-বোরো (ইরিগেশন) স্ক্রিমের ম্যানেজার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলী আকবর শেখ জোরপূর্বক খালের বিভিন্ন স্থানে দখল করে বাঁধ দিয়ে আসছে। তার ভয়ে কেউ কথা বলে না। মৈশামুড়া বড় বাড়ির পশ্চিম পাশে অবস্থিত খালটিতে বাঁধ দিয়ে ব্যবসা করে আসছে বলে জানান কয়েকজন কৃষক।

উপজেলা মৎস অধিদপ্তরের ক্ষেত্র সহকারি মো. মাহবুব বলেন সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। এ বিষয়ে আলী আকবর শেখকে বাঁধ উঠিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

উপজেলা বিএডিসি সেচ প্রকল্পের কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মামুনুর রশিদ বলেন, খাল খননের দায়িত্ব আমাদের খাল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ডের। তারপরও খালটিতে গিয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়–য়া বলেন, নদী-খাল বিলে মুক্তজলাশয়ে মাছ এবং পানি প্রবাহ দন্ডনী অপরাধ। বাঁধ নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্ব-স্ব দপ্তরকে বলা হয়েছে। যদি বাঁধ সরানো না হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।